রিকশা লীগ হয়ে ফিরে আসতে চায় স্বৈরাচার হাসিনা
২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পিএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন ব্যাটারিচালত অটোরিকশা চালকরা। পরে তারা মহাখালীতে যান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি রেললাইনে বসে ট্রেন চলাচলও বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পালটা জবাবে আন্দোলনকারীরাও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় সেনাবাহিনীর এসকেএস টাওয়ারে হামলা চালায় রিকশা চালকরা। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরগরম। সবাই বলছে, দ্রুত এই হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
জানা গেছে, রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষেধ থাকার পরও তারা তা বন্ধ করেনি। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে থেকে এ ব্যাপারে শহরে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর থেকেই তারা হিংস্র হয়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করতে থাকে। পরে প্রশাসন কঠোর হয়ে তাদের বেত্রাঘাত করতে থাকে।
নেটিজেনরা বলছেন, ৫ আগস্টের আগে রাজধানীতে আগে এত রিকশা ছিল না। পরে কোথা থেকে শহরে এত ব্যাটারিচালিত রিকশা আসলো। রিকশাচালকদের ব্যবহার তো এত হিংস্র না। তারা কেন দেশের অতন্ত্র প্রহরী সেনাবাহিনীর এসকেএফ টাওয়ারে হামলা চালালো। দ্রুত এই অমানুষ, জানোয়ার ও রিকশাচালক নামক পশুদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
নেটিজেনরা আরও বলছেন, আমাদের তো মনে হয় রিকশাচালকদের পেছনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ কাজ করছে। তারা চাচ্ছে দেশে যাতে আবার ফ্যাসিস্টরা ফিরে আসে। তাদের আচার-আচরণ রিকশাচালকদের মতো মনে হয় না। কারণ কয়েকদিন আগেও এই চালকরাই জাহিঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। সাধারণ রিকশা চালকরা কোনো মানুষকে হত্যা করতে পারে না। তারা পরিকল্পিতভাবে ফ্যাসিস্ট ও খুনি হাসিনার পক্ষে আন্দোলন করছে। অথচ দেশের পচানব্বই পারসেন্ট মানুষ চাই না রাজধানীতে অটো চলুক।
সাকলায়েন রাসেল নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, বেপরোয়া অটোচালকদের শক্ত হাতে দমন করুন। এদের ইন্ধনদাতা মালিকদের চিহ্নিত করুন। ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশাকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা বলছেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় সাধারণ জনতা-শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনী, তাদের গাড়ির ওপর হামলা চালায়নি। সেই সময় অনেক কিছুর ওপর হামলা করলেও সেনাবাহিনী ওপর কোনো হামলা হয়নি। কারণ সবাই মনে করেছে, সেনাবাহিনী ছিল নিরপেক্ষ। আর তারা দেশের বিপদের সময় পাশে ছিল। সেই বিবেচনায় কেউ তাদের ওপর হামলা করেনি।
ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বলেন, সবকিছু বিবেচনায় বুঝা যাচ্ছে রিকশা লীগদের পেছনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের হাত আছে। আর তাদের আন্দোলনের সময় দেখা গেছে, তাদের আচরণ কত হিংস্র ছিল। প্রকৃত পক্ষে খুনি, ডাকাত, চোর, বাটপাররাই এই আন্দোলন করেছে। তারপরও কি সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে না।
তারা আরও বলছেন, ভারত চাচ্ছে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বাংলাদেশে ক্ষমতায় বসাতে। সেই পরিকল্পনায় তারা এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ভারত পররাষ্ট্রনীতি সব সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তারা কোনো সময় আমাদের বন্ধু ছিল না। আর ভবিষ্যতে হবে না। তারা হাসিনাকে পুতুল হিসেবে ব্যবহার করেছে। এখনও করতে যাচ্ছে। আর হাসিনাও দেশের সম্পদ বিক্রি করে দিয়ে তাদের কথা বাস্তবায়ন করে ক্ষমতায় থেকেছে। এখনও যাচ্ছে। যার প্রমাণ বিভিন্ন ফোনালাপের মাধ্যমেই প্রমাণ হয়েছে। যেই খুনি হাজার হাজার লোক খুন করেও কোনো অনুশোচনা নেই। তাকে ফাঁসির কাষ্টে না ঝুলানো হোক।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আওয়ামী পন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপি নেতার মতবিনিময়
পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শরিফুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ
আ.লীগের দোসর সালাম আলী এখন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী!
ঘুস নেওয়ার অভিযোগ, টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ
তালাক নিয়ে যুক্তরাজ্যে যেতে চান বাশার আল-আসাদের স্ত্রী
গভীর রাতে মেসে ছাত্রীদের বিক্ষোভ, মালিকের দুই ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা