উত্তরায় বদর দিবসের আলোচনা ও ইফতার মাহফিল

Daily Inqilab উত্তরা সংবাদ দাতা

২০ মার্চ ২০২৫, ১২:২৪ এএম | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:২৪ এএম

ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র, বাধা-প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন।
 
 
তিনি গতকাল  বিকালে রাজধানীর উত্তরার ১১ নং সেক্টর পার্কে উত্তরা পশ্চিম থানা ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত বদর যুদ্ধের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন উত্তরা পশ্চিম থানা সভাপতি আলাউদ্দিন সাবেরীর সভাপতিত্ব করেন।
 
 
থানা সেক্রেটারি মাওলানা জিয়াউর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফরিদুল ইসলাম।
 
 
আরও উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি উত্তরা পশ্চিম থানার সাবে ছদর ও দলিপাড়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি আবু জাফর আলম,জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ উত্তরা পশ্চিমর সভাপতি মুফতি মফিজুর রহমান, যুব আন্দোলনের সভাপতি, রেজাউল করিম, শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি এইচ এম আলমগীর হোসেনসহ থানা ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ।
 
 
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মুফতি ফরিদুল ইসলাম বলেন, ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের দ্বিতীয় হিজরীর ১৭ রমজান বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিলো ঐতিহাসিক বদরযুদ্ধ। এ যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পেয়েছিলো। বিশ্ব দরবারে মুসলিমরা উদীয়মান ও অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তিতে পরিণত হয়েছিলো। আর পবিত্র কালামে হাকীমে এ যুদ্ধকে সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী যুদ্ধ বলে অভিহিত করা হয়েছে। ইসলামের বিরুদ্ধবাদী কাফিরদের বিশাল সামরিক শক্তির মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের শসস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি।
 
 
এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সবরকমের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্রশস্ত্রহীন ইমানদারদের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেছিলেন। মূলত, রাসূল (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানদের দৃঢ় ঈমানী প্রত্যয় ও আল্লাহর প্রত্যক্ষ সাহায্য এ অসম যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামে পাকের সূরা আল ইমরানের ১২৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর বদরের যুদ্ধে আল্লাহ অবশ্যই তোমাদেরকে সাহায্য করেছিলেন অথচ তোমরা হীনবল ছিলে। কাজেই তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার’। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কোন বাধা-প্রতিবন্ধকতায় ভীত-সন্ত্রস্ত হলে চলবে না বরং ঈমানের আলোকিত হয়ে সকল প্রকার অশুভ, স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী শক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
 
 
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ তৌহিদে বিশ্বাসীদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি জয়-পরাজয় বৈষয়িক শক্তি- সামর্থের ওপর নির্ভর করে না বরং তা আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন তারা সংখ্যায় বা সম্পদে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। যা বাস্তব প্রমাণ ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব।
 
 
পতিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদী অপশক্তি সেদিন দলীয় পশুশক্তি, রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার ও আধিপত্যবাদী শক্তির সহযোগীতায়ও ছাত্র-জনতার বিজয় রুখতে পারেনি। তাই আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় দেশকে অপশাসন- দুঃশাসন মুক্ত করে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে দলমত নির্বিশেষে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যথায় পতিতরা মাথাচাঁরা দিতে পারে বলে সকলকে হুশিয়ার করেন তিনি।

বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

উত্তরখান-দক্ষিণখানে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত; জনমনে স্বস্তি
ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যা বিশ্ব মানবতার জন্য কলঙ্ক বিভিন্ন ইসলামী দলের প্রতিবাদে রাজধানী উত্তাল
ঢাকা কলেজস্থ গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের গুরুত্ব দিতে হবে— মাহবুব আলম
বিপিজেএ’র ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
আরও
X

আরও পড়ুন

স্ত্রী-ছেলেসহ রনজিত ৭৯ বিঘা জমি জব্দ, ১৩৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

স্ত্রী-ছেলেসহ রনজিত ৭৯ বিঘা জমি জব্দ, ১৩৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত মার্কিন বিচারকরা

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত মার্কিন বিচারকরা

মাদক মামলায় নারীসহ একই পরিবারের ৩ পলাতক আসামি গ্রেফতার

মাদক মামলায় নারীসহ একই পরিবারের ৩ পলাতক আসামি গ্রেফতার

এবার মার্কিন শিক্ষা বিভাগই তুলে দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

এবার মার্কিন শিক্ষা বিভাগই তুলে দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড

সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা জার্মানির

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা জার্মানির

ঈদযাত্রায় রেলে বাড়বে কোচ

ঈদযাত্রায় রেলে বাড়বে কোচ

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শাস্তি সাত বছর কারাদণ্ড

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শাস্তি সাত বছর কারাদণ্ড

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় জামায়াতের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় জামায়াতের বিক্ষোভ

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে থাকবে : আমীর খসরু

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে থাকবে : আমীর খসরু

শাহতলী পীর সাহেব মাওলানা আবুল বাশারের দাফন সম্পন্ন

শাহতলী পীর সাহেব মাওলানা আবুল বাশারের দাফন সম্পন্ন

ঐকমত্য কমিশনের ৪২ প্রস্তাবে একমত নয় এলডিপি

ঐকমত্য কমিশনের ৪২ প্রস্তাবে একমত নয় এলডিপি

৯৬টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলে চূড়ান্ত অনুমোদন

৯৬টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলে চূড়ান্ত অনুমোদন

পরিবেশগত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করবে বাংলাদেশ-নেপাল

পরিবেশগত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করবে বাংলাদেশ-নেপাল

সাবেক সেনা কর্মকর্তা-আমলাদের নিয়ে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ

সাবেক সেনা কর্মকর্তা-আমলাদের নিয়ে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে জামায়াতের মত

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে জামায়াতের মত

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুল-রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুল-রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন

ধর্ষণের শিকার অভিযোগে শিশু-কিশোরীসহ ৫ জন ঢামেকে ভর্তি

ধর্ষণের শিকার অভিযোগে শিশু-কিশোরীসহ ৫ জন ঢামেকে ভর্তি