বিমানবন্দর যাত্রী ছাউনি-ফুটপাত আন্তজেলা বাস কাউন্টারের দখলে
২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম

বিমানবন্দর মহাসড়কের ফুটপাত ও যাত্রী ছাউনি দখল করে চলছে পরিবহন মালিকদের রমরমা ব্যবসা।সরেজমিনে দেখা যায়, বিমানবন্দর গোলচক্কর এলাকার ব্যস্ততম ফুটপাত দখল করে রেখেছে এনা পরিবহন, একতা পরিবহন, হানিফ পরিবহন, পিপিএন পরিবহন, কাজী পরিবহন, বিলাস পরিবহনসহ আরও কিছু গাড়ির টিকিট কাউন্টার। পাশাপাশি আরও রয়েছে চা-পান, বিড়ি-সিগারেটের দোকান। পথচারীদের অভিযোগ, এসব দোকানে রয়েছে টানা পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারীদের আড্ডা।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢুকতেই নতুন করে তৈরি করা হয়েছে নান্দনিক দুটি বড় বড় শপিং কমপ্লেক্স। এসব শপিং মলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করে। পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বিমানবন্দর গোলচক্কর এলাকার নান্দনিক দুটি ভবনের পাশে এসব বাস কাউন্টার ও ঝুপড়ি দোকানপাট যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, বিমানবন্দর এলাকায় নগরীর গণপরিবহন যাত্রীদের জন্য তৈরি করা যাত্রী ছাউনিটি উত্তরবঙ্গের নামি-দামি পরিবহনের মালিকগণ দখল করে সেখানে বাসের টিকিট বিক্রির কাউন্টার বানিয়েছে। কাউন্টারের সামনের সড়কের এক লেন দখল করে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে থাকার কারণে পথচারীরা চলন্ত বাসের সামনেই ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলাচল করছে।
ব্যস্ততম বিমানবন্দর সড়কের এই অংশে পথচারী চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের বড় বড় চলন্ত গাড়ির সামনেই চলতে হচ্ছে।
অবৈধভাবে ফুটপাত বন্ধ করা পরিবহন সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি এক প্রকার বাধ্য হয়েই নিরীহ পথচারীদের এই দুর্দশা দেখার যেন কেউ নেই। অথচ বিমানবন্দর গোলচক্করে রয়েছে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যালয়। সেখানে রয়েছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ বক্স, রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়, এছাড়াও রয়েছে রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মীসহ বিভিন্ন বাহিনীর আনাগোনা। পথচারীরা বলছেন, এতসব বাহিনী থাকার পরও অদৃশ্য কোনো শক্তির বলে এখানকার ফুটপাত দখল করে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর মহাসড়ক গোলচক্কর এলাকার সড়কে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা বক্স ইনচার্জ এস. এম. আব্দুল গফুর ইনকিলাবকে বলেন, “আমি এখানে এসেছি প্রায় এক মাস হলো, এরই মধ্যে তিনি যাত্রী ছাউনি দখলমুক্ত করতে একাধিকবার চেষ্টা করেছেন। বিষয়টি তিনি উপর মহলে ও জানিয়েছেন। তবে তিনি ফুটওভার ব্রিজের আশপাশের এলাকার অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে ব্রিজের দুই সাইট হকার মুক্ত করেছেন।” এ সময় তিনি আরও বলেন, “এখানকার পথচারী ও রোজাদার সাধারণ মানুষ যেন চুরি-ছিনতাইয়ের কবলে না পড়ে, সেই দিকে তারা বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।” এস. এম. আব্দুল গফুর আরও বলেন, তিনি বিমানবন্দর এলাকাকে চুরি-ছিনতাই মুক্ত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের এনা পরিবহন, একতা পরিবহন, হানিফ পরিবহন, পিপিএন পরিবহন, কাজী পরিবহন, বিলাস পরিবহন বিমানবন্দর মহাসড়কের ব্যস্ততম ফুটপাত ও যাত্রী ছাউনি দখল করে বানিয়েছে তাদের বাস কাউন্টার।
পথচারী চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়েই চলাচল করতে হয়। ফুটপাত বন্ধ করে পরিবহন সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে নিরীহ পথচারীদের এই দুর্দশা দেখার যেন কেউ নেই। অথচ বিমানবন্দর গোলচক্করে রয়েছে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যালয়। সেখানে রয়েছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ বক্স, রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়, এছাড়াও রয়েছে রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মীসহ বিভিন্ন বাহিনীর আনাগোনা।
এতসব বাহিনী থাকার পরও তাদেরকে ফুটপাত থেকে সরানো যাচ্ছে না। স্থানীয়রা বলছেন, এখনো বিমানবন্দর এলাকার ফুটপাত দখল করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাদের এই অবৈধ কর্মকাণ্ড থেকে মুক্তি চায় এখানকার পথচারীরা।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

নিকলী খেলাফত মজলিসের আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠিত

পুরো মাহে রমজান উপলক্ষে ফ্রি ইফতার বিতরণ

দিল্লিতে বিচারপতির বাংলো থেকে টাকা উদ্ধার নিয়ে নতুন নাটক

বিষক্রিয়ার আশঙ্কা, ভারতের বাজার থেকে সরানো হল কয়েক হাজার কাশির ওষুধ

আরও ২৯৫ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আগামী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে : সাঈদ সোহরাব

ইউটিউব দেখে নিজেই নিজের পেট কেটে ১১টা সেলাই যুবকের!

জমানো টাকার যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।

রাস্তা সংস্কার চাই

ইতিকাফের ফজিলত

অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক

হয়রানিমূলক মামলা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রশ্ন : আমার মা গত ২০১৭ সালে দীর্ঘ দিন কিডনি, ক্যান্সারসহ নানা জঠিল রোগে ভুগে আমার উপর বেশ রাগ, অভিমান নিয়ে মারা গেছেন। মা খুব অসহায় অবস্থায় মারা যান। বড় সন্তান হিসেবে তার প্রতি দায়িত্ব পালন করিনি। অনেক অবহেলা করেছি, রাগারাগি করেছি, তার চিকিৎসাও ঠিকমতো করিনি। আমি এখন খুব মর্মাহত, ক্ষমা পাওয়ার উপায় আছে কি?

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কী বলছে?

মাহে রমজান : অর্জন-বর্জন ও ঈমান নবায়ন

রমজান : মুমিন হৃদয়ের বসন্ত

মহাকাশে হীরার গ্রহের সন্ধান, অবাক নাসার বিজ্ঞানীদের

রমজানের রোজা যেভাবে ফরজ হলো

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে যাকাতের ভূমিকা

মূকাভিনয় দিবসে মূকনাট্য ‘ম্যাকবেথ’