উত্তরা বিমানবন্দর মহাসড়ক ও সেক্টর এলাকায় প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর উত্তরখান ও দক্ষিণখান থানা এলাকার নতুন ৭ টি ওয়ার্ডের সরকারি বেসরকারি চাকুরী জীবী, গার্মেন্টস কর্মী, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষের চলাচলের একমাত্র বাহন বেটারীচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক। এ ওয়ার্ড গুলোতে এখন পর্যন্ত গণপরিবহনে তেমন কোন ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেই।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় উত্তরা আজমপুর সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের সড়ক, রাজলক্ষ্মী এলাকার পশ্চিম পাশে সড়ক, বিএনএস সেন্টার দুই পাশের সড়ক, হাউজ বিল্ডিং এলাকার সড়ক ও আব্দুল্লাহপুর এলাকার সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, ইজিবাইক ও যাত্রীবাহী লেগুনা রাখা হয়েছে। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে পথচারীরা জানান, সু নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় ঈদুল ফিতরের আগের দিন রাতেও বিমানবন্দর মহাসড়ক দাবিয়ে বেরিয়েছে শতশত বেটারীচালিত অবৈধ অটোরিকশা।
এছাড়াও তারা উত্তরার সেক্টর এলাকার প্রধান সড়ক গুলোতে এলোমেলো ভাবে চলাচল করায় যানজটে পথচারী চলাচলের বিঘ্ন ঘটেছে। গত কয়েক মাস যাবত অটোরিকশার যন্ত্রনায় আজমপুর ফুটওভার ব্রিজ বিএনএস সেন্টার ফুটওভার ব্রিজ ও রাজলক্ষী ফুটওভার ব্রিজে উঠা নামা ছিলো দায়। ব্রিজে উঠানামার মুখের জায়গা গুলো দখল করে তারা স্ট্যান্ড বানিয়ে যানজট সৃষ্টি করে রাখতো। এসব রিক্সার যন্ত্রণায় পুরো রমজান মাসে প্রতিনিয়ত জনদূর্ভোগ বেড়েছিলো কয়েকগুণ বেশি। রমজানের কারণে প্রশাসন ও ছিলো নিরব। পথচারী চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে যত্রতত্র অটোরিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার
বিষয় নিয়ে পথচারী ও অটোরিকশা চালকদের সথে প্রায়ই মারামারিসহ তর্ক বিতর্ক হতে দেখা যেতো।
মানবাধিকার বিরোধী এসব বিষয়গুলো প্রশাসনের দৃষ্টিগোচরে আসলে ঈদুল ফিতরের পরপর তারা অবৈধ অটোরিকশায় শৃংখলায় ফেরাতে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরি ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার ৫ এপ্রিল সকাল থেকে উত্তরা ৬ ও ৪ নং সেক্টর আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মেইন রোড,৭ নং সেক্টর রাজউক কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি মার্কেট, ৩ নং সেক্টর রাজলক্ষ্মী মার্কেট, জসিম উদ্দিন রোড, বিএনএস সেন্টার এলাকা, আব্দুল্লাহপুর চৌরাস্তা এলাকা,হাউজ বিল্ডিং পূর্ব ও পশ্চিশ পাশ সড়কে এলোমেলো এবং বিশৃংখলভাবে কোন ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় নি।
প্রশাসনের নির্দেশে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, ইজিবাইক ও লেগুনা গুলো সারিবদ্ধভাবে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করছে। উত্তরার সেক্টর সড়ক গুলিতে অটোরিকশার এমন শৃঙ্খলা দেখে স্থানীয় পথচারীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা বলছে এটি উত্তরাবাসী প্রানের দাবি ছিলো। তারা আরো বলেন, রমজান মাসে অটো রিক্সার যন্ত্রণায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটওভার ব্রিজ এলাকার মুখে হাঁটা চলা করা যেতো না।
প্রতিদিন শত শত অটোরিকশা ভীড় জমিয়ে সড়কে যানজট সৃষ্টি করে রাখতো। এ সুযোগে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী ও পকেট মারেরা মানুষের মূল্যবান জিনিসসহ সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে যেতো। আজমপুর, রাজলক্ষী ও বিমানবন্দর এলাকার স্থানীয় পথচারীরা ইনকিলাবকে বলেন প্রশাসনের এ অভিযান যদি লোক দেখানো না হয়ে বাস্তব মুখি হয় তবেই এখানকার জনজীবনে স্বস্তি ফিরি আসবে।
এসময় বেটারীচালিত অটোরিকশা চালকরা ইনকিলাবকে বলেন, শৃঙ্খলা ভাবে সিরিয়াল মেনটেইন করে যাত্রী উঠানামা করলে সড়কে যানজট কমবে, সময় বাঁচবে এবং তাদের আয় ও বাড়বে।