গণহত্যার বিচার-সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন হবে অতীতের মতো পাতানো : ড. মাসুদ

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম

জামায়াতে ইসলামী গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি পূরণে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত না করে নির্বাচন জনগণ চায় না। যেটা জনগণ চায় না, সেটা জামায়াতে ইসলামীও চায় না। গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচনও হবে অতিতের মতো পাতানো নির্বাচন।

 
 
 

রোববার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-শ্যামপুর এলাকায় গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। অন্তবর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা থাকলে আগামী রমজানের আগেই গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার শেষ করে জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে। ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ নতুনভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

 

 
 
 

তিনি বলেন, একাত্তরের সোনার বাংলা আজও গঠিত হয়নি, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায়। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর যেমনিভাবে সোনার মদিনা গঠিত হয়েছে, একইভাবে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই সোনার বাংলাদেশ গঠিত হবে। সোনার বাংলা গঠনের এখনই উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করতে হলে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের বিকল্প নেই। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে আগামী নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে সমর্থন দিতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

 

 

জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে জাতিকে শোষণমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দেওয়া হবে উল্লেখ করে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও জনগণ শোষণের হাত থেকে মুক্তি পায়নি। এই জাতি ১৯৪৭ সাল থেকে শোষণের হাত থেকে মুক্তির লড়াই করলেও শোষণের হাত থেকে মুক্ত হতে পারেনি। স্বাধীন দেশের জনগণ নিজ দেশের স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক শোষণের শিকার হয়েছে। অতীতে যত সরকার ক্ষমতায় বসে সব সরকারই জনগণকে শোষণ করেছে। কারণ মানুষের তৈরি আইনে রাষ্ট্র পরিচালিত হওয়ায় জনগণকে শোষণের শিকার হতে হয়েছে।

 

 

তিনি আরও বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণ শোষিত হবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিক দলমত, ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে। তাই শোষণের হাত থেকে মুক্তি ও নাগরিক হিসেবে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে তিনি শান্তিকামী জনতার প্রতি আহ্বান জানান। এর আগে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে যাত্রাবাড়ী-শ্যামপুর এলাকার ব্যবসায়ী, পথচারী, রিকশা-ভ্যান চালক ও জনসাধারণের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতি উপকরণ বিতরণ করে স্থানীয় নেতারা।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত
৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে, ইসলামী গণজাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে
নতুন এডহক কমিটি পেলো রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়
ছাত্রলীগ নেতাদের পুনর্বাসনের অভিযোগ ছাত্রদল নেতা সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে
নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি
আরও
X

আরও পড়ুন

ইবিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিককে বাধা দিলো সহ-সমন্বয়করা

ইবিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিককে বাধা দিলো সহ-সমন্বয়করা

মানিকগঞ্জে আ.লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর উজ্জ্বল হোসেনে গ্রেফতার

মানিকগঞ্জে আ.লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর উজ্জ্বল হোসেনে গ্রেফতার

পেকুয়ায় একদিনে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত- ২০

পেকুয়ায় একদিনে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত- ২০

ছয় গোলের রোমাঞ্চ শেষে বার্সা-ইন্টার

ছয় গোলের রোমাঞ্চ শেষে বার্সা-ইন্টার

চেন্নাইয়কে বিদায় করে শীর্ষ দুইয়ে পাঞ্জাব

চেন্নাইয়কে বিদায় করে শীর্ষ দুইয়ে পাঞ্জাব

সেমিফাইনালে হেরে আল নাসেরের বিদায়

সেমিফাইনালে হেরে আল নাসেরের বিদায়

দুদকের মামলা :  আমানউল্লাহ আমান ও তার স্ত্রীর দন্ডাদেশ বাতিল

দুদকের মামলা :  আমানউল্লাহ আমান ও তার স্ত্রীর দন্ডাদেশ বাতিল

অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরো সঙ্কটে পড়েছে : রিজভী

অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরো সঙ্কটে পড়েছে : রিজভী

বাংলাদেশ-মিয়ানমার একমত হলে করিডোর চালু করতে পারে জাতিসংঘ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার একমত হলে করিডোর চালু করতে পারে জাতিসংঘ

কলকাতায় হোটেলে আগুন নিহত ১৪

কলকাতায় হোটেলে আগুন নিহত ১৪

ইউক্রেন খুব শিগগিরই ‘ধ্বংস’ হবে: ট্রাম্প

ইউক্রেন খুব শিগগিরই ‘ধ্বংস’ হবে: ট্রাম্প

টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কে অবরোধ

টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কে অবরোধ

প্রশ্ন : ঈদের বাজারে জীনদের বাজার করা প্রসঙ্গে।

প্রশ্ন : ঈদের বাজারে জীনদের বাজার করা প্রসঙ্গে।

ভ্যান চালক হত্যাচেষ্টা: অভিনেতা সিদ্দিকের ৭ দিনের রিমান্ডে

ভ্যান চালক হত্যাচেষ্টা: অভিনেতা সিদ্দিকের ৭ দিনের রিমান্ডে

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা ছাড়া রাখাইনে মানবিক করিডোর দেয়া থেকে বিরত থাকুন

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা ছাড়া রাখাইনে মানবিক করিডোর দেয়া থেকে বিরত থাকুন

প্রোটন বাজারে আনল দেশীয় অ্যাসেম্বল এক্স৭০ এসইউভি গাড়ি

প্রোটন বাজারে আনল দেশীয় অ্যাসেম্বল এক্স৭০ এসইউভি গাড়ি

হজযাত্রীদের জন্য বাংলাদেশি টাকায় রবির রোমিং প্যাকেজ

হজযাত্রীদের জন্য বাংলাদেশি টাকায় রবির রোমিং প্যাকেজ

উত্তরপ্রদেশে মুসলিম ছাত্রের উপর অমানবিক অত্যাচার

উত্তরপ্রদেশে মুসলিম ছাত্রের উপর অমানবিক অত্যাচার

দেশের স্থিতিশীলতার জন্য দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি: কাজী শিপন

দেশের স্থিতিশীলতার জন্য দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি: কাজী শিপন

ফেনীতে প্রধান উপদেষ্টার আবাসন পেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবার

ফেনীতে প্রধান উপদেষ্টার আবাসন পেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবার