পায়ের ওপর বাস তুলে দিলেন চালক
০৯ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫১ পিএম

রাজধানীর ফার্মগেটের আল-রাজি হাসপাতা –সংলগ্ন সড়কে রিকশার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন ফাতেমা কাশেম ওরফে ওয়াফা (২৫)। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলাইক পরিবহনের একটি বাস তাঁকে ধাক্কা দেয়। তিনি ছিটকে পড়েন রাস্তার পাশে । এ সময় বাস চালক তার ডান পায়ের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এর পর তার ঠিকানা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মাত্র পাঁচ মাস আগে এমবিবিএস পাস করেন ফাতেমা কাশেম। এরপর শুরু করেন ইন্টার্নশিপ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফাতেমার কোমরের হাড় ভেঙে চার টুকরা হয়ে গেছে। তার ডান উরুর হাড়ও ভেঙেছে। থেঁতলে গেছে দুই পা। এখন তার দুই পায়ে ব্যান্ডেজ ও নাকে অক্সিজেনের নল। কোমরে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে বেল্ট। রক্ত ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত বিরতিতে। তার অবস্থাও শঙ্কটাপন্ন। এ সবই হয়েছে বেপরোয়া বাস চালকের কারনে।
ফাতেমা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বেসরকারি শমরিতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। এখন পঙ্গু হাসপাতালের শয্যায় অসহনীয় ব্যথায় কাতরাচ্ছেন তিনি। ফাতেমার তত্ত্বাবধানকারী পঙ্গু হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন সঞ্জয় কুমার রায় বলেন, তার অবস্থা বেশ গুরুতর। শকে যাওয়ায় তাঁকে তার সেরে উঠতে অনেক দিন সময় লাগবে।
এদিকে ফাতেমা বলেন, ‘এমবিবিএস পাস করে পাঁচ মাস আগে ইন্টার্নশিপ শুরু করি। সুস্থ হয়ে ইন্টার্নশিপ শেষ করতে পারব তো?’ তার জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলার জন্য দায়ী বাসচালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
খবর পেয়ে ফাতেমার মা-বাবা ছুুঁটে আসেন পঙ্গু হাসপাতালে। ফাতেমার বাবা আবুল কাশেম রাজধানীর গ্রিন রোডে সেন্ট্রাল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। মেয়ের অবস্থা দেখে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘বাসা থেকে মেয়েটা আমার সুস্থ অবস্থায় বের হলো। আর এখন শরীরের একি হাল হলো তার।’ তিনি বলেন, ফাতেমা বরাবরই মেধাবী। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তিনি বলেন, তিন মেয়ের মধ্যে ফাতেমা ছোট। তার বড় দুই মেয়েও চিকিৎসক। তাঁদের বাসা রাজধানীর মিরপুরের দক্ষিণ পীরেরবাগের অমতলায়। মেয়ে মেডিকেল কলেজে বাসে যাতায়াত করতেন।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান ও পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার রুবাইয়াত জামান হাসপাতালে যান। তারা ফাতেমার বাবাকে মামলা করার অনুরোধ করেন। তিনি রাজি হচ্ছিলেন না। মেয়ের শয্যাপাশে বসে থাকা উদ্বিগ্ন মা জেবুন্নাহারও বলেন, মেয়ের যে ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে। মামলা করে তো তা আর ফেরত পাওয়া যাবে না। মামলা করে আর কী হবে? তবে দুর্ঘটনার পথচারীরা বাস চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। জব্দ করা হয়েছে এলাইক পরিবহনের বাসটিও।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ

সংঘাত নয় শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই : প্রধানমন্ত্রী

মার্কিন ভিসা নীতিতে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে

কিসের জাদুতে আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে

টিভিতে দেখুন

মেয়র তাপসকে গ্রেফতার দাবি

বাফুফেকে পদত্যাগপত্র পাঠালেন ছোটন

নেইমারহীন ব্রাজিলে নতুনের ছড়াছড়ি

লেস্টারের অবনমন টিকে রইল এভারটন

আজ ট্রফির জন্য লড়বে মোহামেডান-আবাহনী

দেড় ঘণ্টার ম্যাচ সাড়ে ৩ ঘণ্টা!

ইউক্রেনের বিমানঘাঁটির সব লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস

নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শুরু ১০ জুন

এমবাপের চারে-চার

আফগানিস্তান সিরিজ ছেড়ে হজে মাহমুদউল্লাহ

হজের সংক্ষিপ্ত নিয়ম ও জরুরি মাসায়েল-২

এক্সেস রোডে স্বস্তি

সপ্তঋষি স্থানচ্যুত

ক্যানেলের পানি সবুজ

৩৬ মিলিয়নের নতুন চুক্তি