পদ্মা-যমুনায় নাব্যতা সঙ্কটে আটকে আছে পণ্যবাহী কার্গো
২৯ মার্চ ২০২৩, ১০:১৭ পিএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৫১ এএম
পদ্মা ও যমুনা নদীতে নাব্যতা সঙ্কট কাটছে না। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৬ নং ফেরি ঘাটে পদ্মা নদীতে আটকে আছে উত্তরাঞ্চলগামী কয়েকটি জরুরি পণ্য বোঝাই কার্গো। এখান থেকেই পণ্য খালাস করতে বাধ্য হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের ৬ নম্বর ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, উত্তরাঞ্চলের পণ্য পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ দৌলতদিয়া, নগরবাড়ী, বাঘাবাড়ী এ নৌপথ। প্রতিদিন বিভিন্ন পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ চলাচল করে থাকে। চলতি শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি অস্বাভাবিক ভাবে হ্রাস পাওয়ায় নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে। পাশাপাশি চ্যানেলের পানি গভীরতা কমে যাওয়ায় পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এক একটি জাহাজ গন্তব্যে পৌঁছাতে ৫-৭ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। এ অবস্থায় চট্রগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা পাবনার নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী বন্দরগামী বিভিন্ন মালামাল সার, গম, কয়লা বোঝাই কোস্টার জাহাজ গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরি ঘাটে পদ্মা নদীতে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। আটকে থাকা কার্গো জাহাজ থেকে ট্রলার ও বাল্কহেডের মাধ্যমে পণ্য খালাস করে গন্তব্য নেয়া হচ্ছে।
দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে নোঙর করে আছে এমভি আব্দুল কাদের, এমভি শেখ সুরজাত আলী, এমভি ল্যাবস, এমভি গোলাপ-১, রশিদ শিপিং লাইন, এমভি এসটিএস-১, এমভি মোর্শেদা বেগমসহ ৮টিরও বেশি কোষ্টার জাহাজ। অনেক শ্রমিক ওই জাহাজ থেকে মালামাল নামাতে কাজ করছেন।
জাহাজের মাস্টার আ. আলীম বলেন, চট্রগ্রাম থেকে জাহাজ নিয়ে আসতে নৌপথে নদীর মাঝে বড় বড় ডুবোচর জেগেছে। ওইসব ডুবোচরে জাহাজ আটকে যাচ্ছে। ডুবোচরের কারণে নদী পথে ঘুরে আসতে জ্বালানি খরচ ও সময় বেশি লাগছে। তারপর আবার ঘাটে এসে নদীর পারে জাহাজ চাপাতে পারছি না। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে নদীতে জাহাজ আটকে যাওয়ার কারণে এখানেই ট্রলার ও বাল্কহেডে করে মালামাল খালাস করতে হচ্ছে। নদীতে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে বেশির ভাগ জাহাজ দাসকান্দিতে ঘাটে চলে যাচ্ছে।
জাহাজের মাস্টার রশিদ সরদার বলেন, চট্রগ্রাম থেকে দৌলতদিয়ায় আসতে নদীতে পানি থাকলে সময় লাগতো ২-৩ দিন। নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতা সঙ্কটে সময় লাগছে ৬-৭ দিন। আবার ঘাটে এসে মালামাল খালাসের জন্য থাকতে হয় ২-৩ দিন। জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করে তারপর ছেড়ে যাব বাঘাবাড়ী বন্দরে।
ফেরির মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, ড্রেজিংয়ে একটি চ্যানেল সচল আছে। ওই চ্যানেলটি শুধু মাত্র দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় ব্যবহার করি। আর পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার সময় স্বাভাবিক নদীপথই ব্যবহার করা হয়। তবে নদীতে অসংখ্য ডুবোচরে ঝুঁকি থাকলেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে আপাতত কোনো ঝুঁকি নেই।
বিআইডাব্লিটিসি দৌলতদিয়ার ঘাট শাখার সহকারী ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, নদীতে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দেয়ার কারণে ফেরিগুলো নদীর ভাটি দিয়ে ঘুরে আসছে। আগের চেয়ে অনেক সময় বেশি লাগছে। নদীর চ্যানেল ঠিক করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। নদীতে এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য ১২ থেকে ১৭ ফিট পানির গভীরতার প্রয়োজন। তা না থাকায় দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় পণ্য খালাস করতে হচ্ছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন
এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস
লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের
সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক
ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!
যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে