সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে
০২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪২ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫০ পিএম
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জনমত যাতে প্রকাশিত না হয় এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে দমন করবার জন্যে তারা গত ১৪ বছর ধরে একই কায়দায় সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করছে, হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে, গ্রেফতার করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বিশেষ করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে ব্যবহারকে সংবাদপত্রের যে স্বাধীনতা, সংবাদ মাধ্যমের যে স্বাধীনতা তাকে তারা পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
গতকাল রোববার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই কালো আইন বাতিলের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। আপনারা জানেন, এই অ্যাক্টে সরকারের নির্যাতনের কারণে কয়েকজন সম্পাদক দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের বহু সাংবাদিক তারা নির্যাতিত হয়েছেন, তারা নিহত হয়েছেন, তারা গ্রেফতার হয়েছেন এই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলার কারণে।
নওগাঁয়ে র্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একজন নিরহ নারীকে র্যাবে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে ৩৬ ঘণ্টা পরে মৃত ঘোষণা করা যে, তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন- এই বিষয়ে আমাদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা একমত হয়েছে যে, এটা একটি হত্যাকা-। র্যাবের হেফাজতে মৃত্যুর হয়েছে এর আমরা নিন্দা জানিয়েছে।
গতকাল বেলা ১১টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সাথে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির হয়। বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যুগপৎ আন্দোলনকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা একমত হয়েছি যে, এই সরকারের অধীনে আমরা হতে দেবো, জনগণ হতে দেবে না।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়কারী রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা যে যুগপৎ ধারায় আন্দোলন করছি, সেই যুগপৎ ধারায় আন্দোলনকে সারাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় না, নির্বাচনের আগে তার পদত্যাগ চায়। তারপরে নির্বাচনের পরে দেশ কোন পথে পরিচালিত হবে, কোন ধরনের সরকার ব্যবস্থা হবে, কোন শাসনব্যবস্থা কি দেশ পরিচালনা করবো-এগুলো নিয়ে যে যৌথ ঘোষণার কথা হচ্ছিল সেই যৌথ ঘোষণার বিষয়ে আমরা বিএনপির সাথে কথা বলেছি। আমরা আশা করি যে, অল্প সময়ের মধ্যে সারাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার যে যৌথ ঘোষণা সেটা আসবে এবং অচিরেই আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারবো।
এই বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবুল ও গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
বিএনপি মহাসচিবের সাথে ছিলেন দলের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফের্নন্দেসের লাল কার্ডের দিনে ফের হারল ইউনাইটেড
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু