জাতির মূল সঙ্কট নির্বাচনকালীন সরকার
০৩ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২৬ পিএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৩৫ এএম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন জাতির কাছে মূল সঙ্কট হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ে কোন সরকার থাকবে, কি ধরণের সরকার থাকবে। অন্য কিছু নিয়ে বিএনপি ভাবছে না। তিনি বলেন, আমরা অনেকগুলো রাজনৈতিক দল মিলে একমত হয়ে যে কথাগুলো বলছি তা হলো- এই সরকার জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়, তারা গণতন্ত্রকে ধবংস করে দিয়েছে। তাদেরকে পদত্যাগ করতে হবে, এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতেই ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর লেডিসকøাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সম্মানে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচন ইভিএমে নয়, ব্যালটে করার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। কারণ মূল সঙ্কট হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার। আমরা এই রাষ্ট্রের যে কাঠামোর জায়গাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সংবিধান, বিচারালয়, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন সেগুলো আবার পুনরায় আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মানের উপযোগী করে গড়ে তোলবার জন্য, সেইগুলোর সংস্কারের কথা বলেছি এবং সেভাবে আমরা কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি যে, এদেশের জনগণ তারা কখনোই কোনো একনায়কোতন্ত্র বা স্বৈরাচারকে মেনে নেয়নি। বরাবর বাংলাদেশের বীর জনগণ তাদের অধিকারের জন্য, তাদের স্বাধীনতার জন্যে লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে এবং সফল হয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে আমরা বিশ্বাস করি, সেই সংগ্রামে দেশের সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং সকল মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে তারা শরিক হবেন এবং তাদের অধিকার আদায় করে নেবেন।
দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ মানুষ নির্যাতিত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের সময়ে দিন তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ, সংগঠক, রাজনীতিক, আইনজীবী, সাংবাদিক, যারা ভিন্নমত পোষণকারী তারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দেয়া হচ্ছে। একটা অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, আজকে সারা দেশে একটা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার। আমরা শুধু বিএনপির কথা বলছি, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কথা বলছি না, সাধারণ মানুষও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। নওগাঁয়ে একজন নারীকে বেআইনিভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে ৩৬ ঘণ্টা পরে মিথ্যা মামলা দেখিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এই ইফতারে দীর্ঘ ১৬ বছর জাতীয় পার্টি সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, ফখরুল ইমাম অংশ নেন।
এছাড়া আন্দোলনরত দলগুলোর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদ, ড. রেদোয়ান আহমেদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আসম আবদুর রব, তানিয়া রব, গণফোরামের মোস্তফা মোহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, ফোরকান ইব্রাহিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জাতীয় পার্টির (জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নুরুল আমিন বেপারী, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, আবু সৈয়দ, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী পরিষদের রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, বাংলাদেশে এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা এম এ রকীব, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির আবু তাহের, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বিএলডিপির আব্দুল গণি, সাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, মাইনোরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি মন্ডল, সোশ্যালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির আবুল কালাম আজাদ, সাম্যবাদী দলের নুরুল ইসলাম ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জহির উদ্দিন স্বপন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমূখ ছিলেন ইফতারে। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এবার হলিউডের সিনেমায় জ্যাকুলিন
৯ বছর পর ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে পাকিস্তানি সিনেমা!
জামাত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
‘হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি
ঢাকাস্থ গণচীনের দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত
‘হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি
রাসূলুল্লাহ (সা.) আদর্শই একমাত্র অনুসরণীয় আদর্শ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
নারী মাদকসেবীদের জীবন মান উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার: তারেক রহমান
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কাম্য নয় : ইউট্যাব
আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি চরমোনাই পীরের
কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও অনুপ্রবেশকারীর দলে জায়গা হবে না-কেন্দ্রীয় যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরল ইসলাম নয়ন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে সমাবেশ
বিগত ৫৩ বছরের জঞ্জাল দূর করে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি