ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ‘অধিকার হরণের আইন’,
০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৪ পিএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০১ এএম
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে ‘অবৈধ, অন্যায্য ও অধিকার হরণের আইন› হিসেবে অভিহিত করেছেন একটি মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা। তারা বলেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে শাসক শ্রেণিকে রক্ষা করার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার হরণের কাজ নির্বিঘœ করার জন্য এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ সব ধরনের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের সমালোচনা বন্ধ রাখার জন্য।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর প্রতিবাদে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
ডিএসএ ভিকটিমস নেটওয়ার্ক নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই মানববন্ধনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাভোগকারী ৪ জন বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তারা আটক হওয়ার পর বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, এই আইনে গ্রেপ্তার দেখানো এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার ধাপগুলোতে নিজেদের দুর্ভোগের কথাগুলো তুলে ধরেন। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে কথা বলেন একাধিক রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তাদের সবার ভাষ্য, এই আইন কেবল সংশোধন করলে হবে না, পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে এই আইনে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আইনটি প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও তোলেন তারা।
মানববন্ধনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‹বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য আইন› হিসেবে অভিহিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‹ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কোনোরকম ডিজিটাল সিকিউরিটির জন্য করা হয় নাই। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে যারা অত্যাচার করে, যারা নির্যাতন করে, যারা শোষণ করে, যারা দুর্নীতি করে, সেই শাসক শ্রেণিকে রক্ষা করার জন্য। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে গুম করার জন্য। গুমকে নির্বিঘœ করার জন্য। ভোটাধিকার হরণকে নির্বিঘœ করার জন্য। রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাচারকে নির্বিঘœ করার জন্য। দেশের স্বার্থ বিদেশের কাছে বিকিয়ে দেওয়াকে নির্বিঘœ করার জন্য।’
মানববন্ধনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ মাস কারাভোগ করা কিশোরগঞ্জের ইমতিয়াজ কাজল জানান, তাকে মামলা দেওয়া হয়েছিল ‹রাতের ভোট› নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কারণে। ‹সত্য-ন্যায়ের পক্ষে কথা বলা আমাদের অধিকার। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে আমাদের অধিকারকে হরণ করেছে। আমরা আমাদের অধিকার নিয়ে যদি ফেসবুকে লেখালেখি করি, যদি কথা বলি, তাহলে আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আরেক ভুক্তভোগী এন ইউ আহমেদ বলেন, ‹আটক করার পর ২ দিন আমাকে গুম করে রাখা হয় বিভিন্ন জায়গায়। ২ দিন পর মামলা দিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই আইনটি যে একটি কালাকানুন এবং গুম-খুনের জন্য সহযোগিতাকারী, এটা আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি। এই আইনের মাধ্যমে সরকার মূলত অপরাধকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে। একই আইনে গ্রেপ্তার হয়ে ১০ মাস কারাগারে ছিলেন ঢাকার গোলাম মাহফুজ জোয়ারদার। মোট ৭ বার তার জামিন আবেদন নাকচ করা হয়। তিনি কথা বলেছিলেন ‹বিচারবহির্ভূত হত্যা› নিয়ে।
গোলাম মাহফুজ বলেন, অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিলোপ করা হোক। যারা যারা এই আইনে হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভর শীতে ও গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের বিলে-ঝিলে দেখা মিলছে না অতিথি পাখির!
এ বছর আর হচ্ছে না বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক
দীর্ঘদিন শরীর সুস্থ রাখার উপায়
গফরগাঁওয়ে ভয়াবহ ব্রহ্মপুত্র ট্রেন দুর্ঘটনা: গুরুতর আহত ১
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম গুরুতর বার্ড ফ্লু সংক্রমণে মিউটেশন, শনাক্ত একজন
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সূর্যের নিকটতম যাত্রা, নিরাপদে ফিরে এলো নাসার পার্কার সোলার প্রোব
দোয়ারাবাজার পল্লীতে যুবক খুন
স্পেনগামী সমুদ্রপথে ২০২৪ সালে অভিবাসীদের রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু
অভিনয়ের জন্য গোসল করতেন না অনিল কাপুর
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০২৫ সালে রাশিয়া সফর করবেন
শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী টাইম ওয়ার্নারের প্রাক্তন সিইও রিচার্ড ডি. পারসন্সের মৃত্যু
নারীকে যৌন নিপীড়ন: খোদ মহারাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসী জুতাপেটা
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
আফগানিস্তানকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠলেন উইলিয়ামস
অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু
বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে: জেফার
নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত