চৌগাছায় হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে এলাচ চাষ
১৩ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৬ পিএম
যশোরের চৌগাছায় বাণিজ্যিকভাবে এলাচ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কৃষক নজরুল ইসলাম। তিনি বান্দরবন ও কুড়িগ্রামের মত বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন সুগন্ধি মসলা এলাচ। অধিক লাভজনক এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় মসলা এলাচ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তিনি। ইতোমধ্যে সাফল্যও পেয়েছেন এ কৃষক। তাঁর বসত বাড়ির পাশে মেহগনি বাগানের মধ্যে পতিত জমিতে এ চাষ করেছেন তিনি। এ ক্ষেত থেকে উৎপাদিত এলাচ আমদানি নির্ভরতা কমাবে। একই সাথে উপজেলার কৃষিতে একটি নতুন চাষ সংযুক্তি হবে। যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখাবে উপজেলার অনেক প্রান্তিক কৃষক।
কৃষক নজরুল ইসলাম চৌগাছা পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মডেল পাড়ার মৃত মানিক মাস্টারের ছেলে। শখের বসে বেনাপোল এলাকার ইলাচ চাষী শাহাজান আলীর ইলাচ বাগান দেখতে গিয়ে তিনি এই চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের শেষের দিকে কয়েকজন বন্ধু মিলে বেনাপোল এলাকার শাহাজান আলীর এলাচ ক্ষেত দেখতে যায়। সেখানে গিয়ে তিনি এই চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন। শাহাজানের বাগানে চারার দাম বেশি হওয়ায় তিনি ভারতে গিয়ে ৩ হাজার ২শ’ টাকায় ১শ’টি চারা সংগ্রহ করেন। সেখান থেকে চাষ পদ্ধতি শিখে নেন। বাড়ি ফিরে বাড়ির আঙ্গিনায় ১ বিঘা মেহগনি বাগানের মধ্যে এলাচের চারাগুলো রোপণ করেন। পরে ইউটিউব দেখে পরিচর্চা করে আসছেন। বর্তমানে এলাচ বাগানের বয়স প্রায় তিন বছর। এ পর্যন্ত তার বাগানে মোট খরচ হয়েছে ৪০ থকে ৫০ হাজার টাকা।
বর্তমানে বাগান ফুলে ও ফলে সুশোভিত হয়ে উঠেছে। কৃষক নজরুল ইসলামের তিন বছরের লালিত স্বপ্ন সফল হতে চলেছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এলাচ চাষে আগ্রহীরা তার কাছ থেকে চারা কিনতে যোগাযোগ করছেন। তারাও বাণিজ্যিকভাবে এলাচ চাষ করতে চান। তিনি এ বছর চারা বিক্রি শুরু করবেন। ৫ বিঘা জমির চারা অর্ডারও পেয়েছেন। তিনি জানান, চলতি বছরে চারা বিক্রি করে ৫ লাখেরও বেশি টাকা আয় হবে। সরকার যদি এলাচ চাষে আগ্রহীদের আর্থিক সহযোগিতায় স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে তাহলে ভবিষ্যতে এলাচ মসলা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব। এতে দেশের বেকারত্ব সমস্যাও কমবে এবং তৈরি হবে অনেকের কর্মসংস্থান।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের মাটিও এলাচ চাষের জন্য উপযোগী। অন্য মসলার মতো এলাচ চাষের জন্য আলাদা কোনো জমির প্রয়োজন হয় না। এটা অন্য গাছের ছায়াতলে চাষ করা যায়। এলাচ চাষে রাসায়নিক সার খুবই কম লাগে। জৈব সারই যথেষ্ট যা অন্য মসলা চাষের তুলনায় অনেক লাভজনক। এলাচ গাছে ফল আসতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগে। এক একর জমিতে ১২শ’ এলাচ চারা রোপণ করা যায়। পাঁচ বছর পর থেকে এক একর জমির এলাচ গাছ থেকে প্রতি বছরে প্রায় ১৫শ’ কেজি ফল পাওয়া যাবে। যার বাজার মূল্য ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এছাড়া একটি এলাচ গাছ ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে ও ফল দেয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসাইন বলেন, এলাচ মসলার চাষ আমাদের এলাকায় একেবারেই নতুন। তবে নজরুল ইসলাম নামে এক কৃষক চাষ করেছেন, তার ক্ষেতও পরিদর্শন করেছি। তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই আউট মুশফিক
ঝাড়খন্ডে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের
মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর
ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি
আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩
বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না
দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত
জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও
খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার
জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল
গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন
দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি - মুশফিকুর রহমান
ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা
মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ