ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রাণ কেড়ে নেয়ার মতো ভয়ংকর

স্টাফ রিপোর্টার

১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫১ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:০২ এএম

বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে একটি ওয়েবিনারে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার হরণসহ ক্ষেত্রবিশেষে প্রাণ কেড়ে নেওয়ার মতো ভয়ংকর আইনে পরিণত হয়েছে। এই আইন যে কেবল নাগরিকের কন্ঠরোধ করছে তা নয়, এটি অপরাপর সব অধিকার হরণ করছে। গতকাল শনিবার ‹কেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই› শিরোনামের এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। এটি আয়োজন করে মানবাধিকার ও আইনের শাসন বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম নাগরিক।

ওয়েবিনারে উপস্থাপন করা এ সংক্রান্ত ধারণাপত্রে বলা হয়, আইনটি সুরক্ষা প্রদানের পরিবর্তে কেবল নিয়ন্ত্রণমুখী ও নিপীড়নমূলক চেহারা ধারন করেছে এবং এই আইনে মামলা করার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে যেমন দমন করা হচ্ছে, তেমনি যেকোনো প্রকারের বিরুদ্ধ মত দমনে ভূমিকা রাখছে।

এতে আরও বলা হয়, ‹সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা কোনো কোনো মামলায় দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রথমে সাময়িক সময়ের জন্য জোরপূর্বক গুমগ্ধ এবং পরবর্তীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। কিংবা কোনো ব্যক্তি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত হওয়ার পর এবং হেফাজতে নির্যাতনে মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার শিকার হয়েছে। এটি সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন এবং উচ্চ আদালত কর্তৃক ব্লাস্ট বনাম বাংলাদেশ মামলায় প্রদত্ত নির্দেশনাসমূহের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।›

এ অবস্থায় অবিলম্বে এই আইন বাতিল হওয়া দরকার মন্তব্য করে ধারণাপত্রে বলা হয়, ‹ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যত আইনের শাসন নয়, আইন দ্বারা শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনোভাবেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের রক্ষা করছে না; বরং নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি তৈরি করছে।›

ওয়েবিনারে অংশ নেন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর আনু মোহাম্মদ, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী রোজিনা বেগম এবং ডিজটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ভুক্তভোগী কয়েকজন। সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ও অধিকার কর্মী সি আর আবরার, সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন নাগরিক›র সদস্য ও অধিকারকর্মী রেজাউর রহমান লেনিন।

বিভাগ : জাতীয়