দীর্ঘ চার মাস পর বৈধপথে মালয়েশিয়ায় গিয়ে হাইকমিশনের সহায়তায় কাজ পেয়েছে ৮৪ জন বাংলাদেশি কর্মী। কাজ পেয়ে প্রতারণার শিকার এসব কর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশটির সরকারের সহায়তায় তারা কাজ পেয়েছেন। অঘোষিতভাবে এসব কর্মীদের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ড ওভারসীজ জন প্রতি চাল লাখ টাকা করে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর রিক্রুটিং এজেন্সি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার ইলোমিনাস ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে যান ওই ৮৪ বাংলাদেশি। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর প্রথমে তাদের এক মাস সেরিকামবাগান এলাকায় রাখা হয়। এরপর ২০ দিন রাখা হয় কুয়ালালামপুর কেপং এলাকায়। কেপং থেকে তাদের কাজ দেয়ার কথা বলে নেওয়া হয় পেনাংয়ে। সেখানে রাখা হয় দুই মাস। পেনাংয়ে কোনো কাজ দিতে পারেনি গ্রিনল্যান্ড ওভারসীজ। এরপর হতাশাগ্রস্ত এসব কর্মীদের নেওয়া হয় সুবাং যায়াতে। সেখানে রাখা হয় ১২ দিন। এসময়ের মধ্যে ইলোমিনাস কোম্পানির মালিক তাদের কাজ দিতে ব্যর্থ হন। গ্রিনল্যান্ড ওভারসীজের মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কাজ দেই দিচ্ছ করে নানা টালবাহানা শুরু করে।
এমন পরিস্থিতিতে দিন পার করছিলেন ওই ৮৪ কর্মী। প্রতারণার শিকার এসব কর্মী বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করেন। বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের চাকরি পেতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি নিয়োগকর্তার কাছ থেকে প্রত্যেককে ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত করে নগদ অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
এরপর বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্ট এবং কর্মীদের নিয়োগকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে তাদের পোর্ট ক্লাংয়ের আইয়ামাস ফুড প্রসেসিং কোম্পানিতে নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। হাইকমিশন ও মালয়েশিয়া সরকারের সহায়তায় কাজ পেয়ে কর্মীরা খুশি। কাজ পেয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা। গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম শাখার প্রথম সচিব সুমন চন্দ্র দাশ সরেজমিনে তাদের অবস্থা পরিদর্শন করেন। সুমন চন্দ্র দাশ জানান, আইয়ামাস ফুড প্রসেসিং কোম্পানিতে নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে কর্মীরা কাজ করছেন এবং কাজের পরিবেশও সন্তোষজনক।