ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১
জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

রমজানের শিক্ষাকে বাকি ১১ মাস কাজে লাগাতে হবে

Daily Inqilab শামসুল ইসলাম

২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৩ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৯ পিএম

পবিত্র রমজান ছিল মূলত সত্যিকার মুত্তাকি হিসেবে জীবন গড়ে তোলার প্রশিক্ষণের মাস। পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস ছিল তাকওয়া অর্জন, সংযম, সবর, শোকরের গুণে গুণান্বিত হওয়ার। এ মাস ছিল পারস্পরিক সমবেদনা সহানুভূতির গুণ হাসিলের প্রশিক্ষণের। রমজানের শিক্ষাকে বাকি ১১ মাস কাজে লাগাতে হবে। গতকাল জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে খতিব এসব কথা বলেন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিন গতকাল জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে বলেছেন, আল্লাহপাকের নৈকট্য লাভে মাহে রমজানে তাকওয়া অর্জনের সুযোগ এসেছিল। তাকওয়াভিত্তিক জীবনব্যবস্থার মাধ্যমেই ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ রয়েছে। খতিব বলেন, আল্লাহর হুকুম-আহকাম যথাযথ পালনের মাধ্যমেই তার প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দিতে হবে। প্রতিটা মুহূর্ত আল্লাহর বিধিবিধান অনুসরণ করে চলতে হবে। খতিব বলেন, কাপড় যেমন ময়লা হলে পরিষ্কার করতে হয়; তেমনি বেশি বেশি তাওবাহের মাধ্যমে ঈমানের ময়লাকে দূর করতে হবে। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, উত্তম ব্যক্তি সেই যে তাওবাহ করে আল্লাহর পথে ফিরে আসে। সমাজে জান্নাতি পরিবেশ তৈরিতে সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কোনো প্রতিবেশিকে কষ্ট দেয়া যাবে না। খতিব বলেন, শাওয়াল মাসে ৬টি নফল রোজার খুবই ফজিলত রয়েছে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য শাওয়াল মাসে ৬টি রোজা রাখতে হবে। তিনি বলেন, কিছুদিন পরেই পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। সামর্থবান ব্যক্তিদের জীবনে একবার পবিত্র হজ করা ফরজ। হজের যে পরিমাণ ফজিলত তা পালন না করলেও বড় গুনার কাজ। রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ থাকার পরেও হজ পালন করল না সে ইহুদি হয়ে বা নাসারা হয়ে মারা যাক তা দেখার বিষয় না।

রাজধানীর মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজমের খতিব মাওলানা কবি রূহুল আমীন খান জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে বলেন, পবিত্র রমজান ছিল মূলত সত্যিকার মুত্তাকি হিসেবে জীবন গড়ে তোলার প্রশিক্ষণের মাস। এ প্রশিক্ষণ ছিল তাকওয়া অর্জনের, সংযমের, সবর শোকরের গুনে গুণান্বিত হওয়া, এ মাস ছিল পারস্পরিক সমবেদনা সহানুভূতির গুণ হাসিলের প্রশিক্ষণের। আমরা দীর্ঘ একমাস ব্যাপী কৃচ্ছ্রতা, সংযম আত্মশুদ্ধি সাধনার মধ্য দিয়ে যে প্রশিক্ষণ লাভ করেছি বাকি এগারো মাস তথা সারাবছর তা কার্যকর রাখতে হবে। প্রশিক্ষণ যদি কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ না করা হয় তবে তা নিছক আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তার আসল উদ্দেশ্য হাসিল হয় না। তাকওয়ার গুণে ভূষিত হওয়ার জন্য ছিল রমজান। পেটে দারুণ ক্ষুধা ছিল, মজাদার খাদ্য পানীয়ও মওজুদ ছিল কিন্তু আল্লাহর ভয়ে সে সুযোগ আমরা নেইনি। কেউ না দেখুক আল্লাহ দেখেছেন এই অনুভূতি ছিল সদা জাগ্রত। আল্লাহু হাজেরী আল্লাহু নাজেরী, আল্লাহু শাহেদী, আল্লাহু মায়ী-অর্থাৎ আল্লাহ সম্মুখে উপস্থিত, আল্লাহ আমার কর্মসমূহ দেখছেন, প্রত্যক্ষ করছেন, সাক্ষী আছেন। আল্লাহ আমার সঙ্গেই রয়েছেন এই অনুভূতি যেমন রোজাদারের মধ্যে বিদ্যমান থাকে বলেই তো সে খায় না, সম্ভোগ করে না। যে আল্লাহ রোজার ক্ষেত্রে দেখেন, সে আল্লাহ কি ঘুষ নেয়ার ক্ষেত্রে পরের হক নষ্ট করার ক্ষেত্রে পরের সম্পদ আত্মসাৎ করার, জুলুম অত্যাচারের ক্ষেত্রে দেখেন না? শোনেন না? তাই রোজার প্রশিক্ষণকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে। যে পারস্পরিক সহানুভূতি ও সমবেদনার প্রশিক্ষণ দিয়ে গেল রমজান তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে সারা বছর আমাদের সমাজে। দরিদ্র-অসহায়, নিরন্ন বুভুক্ষ লোকদের দুর্দশা মোচনে আমরা যদি সচেষ্ট না হতে পারি তবে রমজানের প্রশিক্ষণতো আমার জীবনে ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়তই দেখতে পাচ্ছি, সবর ও ধৈর্যের অভাব। চলছে হানাহানি, সংঘাত, সংঘর্ষ। রমজানের সবর ও ধৈর্যের যে প্রশিক্ষণ লাভ করলাম তার প্রতিফলন কোথায়? রমজানে দেওয়া এ ধৈর্য ও সবরের প্রশিক্ষণ যদি আমরা সারা বছর বাস্তবায়ন করতে পারতাম তাহলে সমাজ হতো শান্তির সমাজ। প্রশিক্ষণ লাভ করলাম কিন্তু তা জীবনে কার্যকর করলাম না। তাতে লাভ কি হলো। রমজান ছিল কোরআন নাজিলের মাস। আমরা যথাসাধ্য কোরআন তেলাওয়াত করেছি, শুনেছি। খতমে তারাবিতে শরিক হয়েছি, অনেকে কিয়ামুল লাইলে অংশগ্রহণ করেছি। কোরআনের সাথে এই সম্পর্ক আরো মজবুত করতে হবে। সারা বছর কোরআন তেলাওয়াত জারি রাখতে হবে। তেমনি কোরআন বুঝবার জন্য চেষ্টা করতে হবে। কেবল পড়া আর বোঝাই না কোরআনের আদেশ-নিষেধ জীবনের সকল ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করতে হবে। পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বাকি ১১ মাস তথা সামগ্রিক জীবনে বাস্তবায়ন করে যাওয়ার তৌফিক আল্লাহপাক আমাদের দান করুন। আমিন।

মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে বলেন, আরবি চন্দ্র বছরের দশম মাস শাওয়ালের আজ প্রথম জুমা। এটা আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো উঁচু করা, উন্নতকরণ, পূর্ণতা, পাল্লা ভারী হওয়া, গৌরব করা, বিজয়ী হওয়া। এসব অর্থের প্রতিটির সঙ্গেই শাওয়ালের সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই মাসের আমলের দ্বারা উন্নতি লাভ হয়, আমলে পূর্ণতা আসে, নেকীর পাল্লা ভারী হয়, গৌরব অর্জন হয় ও সাফল্য আসে, এসবই হলো শাওয়াল মাসের নামের যথার্থতা। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার মহৎ শিক্ষাটা শুধু রমজানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে বছরভরে জীবনজুড়ে যেন-এর অনুশীলন হতে থাকে, সেজন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বছরের বিভিন্ন সময়ে নিজে নফল রোজা রেখেছেন এবং উম্মতকে রাখতে উৎসাহিত করেছেন। এই নফল রোজাগুলোর অন্যতম হলো শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা। এ রোজার ফজিলত প্রসঙ্গে হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের সব রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল। (সহিহ মুসলিম)। হযরত উবাইদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমি কি সারা বছর রোজা রাখতে পারব? রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমার ওপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে। কাজেই তুমি সারা বছর রোজা না রেখে রমজানের রোজা রাখো এবং রমজান পরবর্তী শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখো, তাতেই সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবে (তিরমিজি)। তিনি আরও বলেন, মাহে রমজানের রোজার কমতি পূর্ণ করতেই শাওয়ালের ছয়টি রোজা। এ রোজার মাধ্যমে রমজানের রোজা আদায়ের তাওফিকের শুকরিয়াও আদায় করা হয়। আল্লাহ তায়ালা যখন কোনো বান্দার নেক আমল কবুল করেন, তখন তাকে অন্য একটি নেক আমলের তাওফিক দেন। সুতরাং এই রোজাগুলো রাখতে পারা রমজানের রোজা কবুল হওয়ারও লক্ষণ। এ রোজা নারী-পুরুষ সবার জন্যই সুন্নত। মাসের শুরু-শেষ কিংবা মাঝামাঝি, সবসময়ই রাখা যায় এই রোজা। একনাগাড়ে অথবা মাঝে ফাঁক রেখে পৃথকভাবেও রাখা যায়। শাওয়াল মাসে শুরু করে শাওয়াল মাসে শেষ করলেই হলো। তবে ঈদুল ফিতরের পর শাওয়ালের প্রথম দিকে একসঙ্গে ছয়টি রোজা রাখাই উত্তম।

খতিব আরও বলেন, রমজানের ইবাদতের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমাদের কিছু আমল করা দরকার। প্রথমত শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকা। কারণ শয়তান আমাদের প্রকাশ্য শত্রু। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, হে মানবম-লী! পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তুসামগ্রী ভক্ষণ করো। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারা-১৬৮)। দ্বিতীয়ত নামাজ না ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করা। নামাজের হেফাজত করা। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমরা সকল নামাজ এবং (বিশেষ করে) মধ্যবর্তী নামাজের হেফাজত করো। (সূরা বাকারা-২৩৮)। তৃতীয়ত রমজানের ন্যায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। কারণ কোরআন তেলাওয়াত করলে কিংবা শুনলে ঈমান বৃদ্ধি পায়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর যখন তাদের নিকট তার আয়াতসমূহ পাঠ করা হলে তা তাদের ঈমান বাড়িয়ে দেয়। (সূরা আনফাল-২)। চতুর্থ সত্যবাদীদের সংশ্রব অবলম্বন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও। (সূরা তওবা-১১৯)। পঞ্চম বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিক পরিমাণে আল্লাহকে স্মরণ করো। (সূরা আহযাব-৪১)। তাই আসুন, আমরা সব ধরনের হারাম ও গোনাহের কাজ পরিত্যাগ করে আমলিজিন্দেগী গঠন করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাওফিক দান করেন। আমীন।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

সুনামগঞ্জে নিখোঁজের ৩৩ ঘণ্টা পর গাছের নিচে মিললো যুবকের মরদেহ

সুনামগঞ্জে নিখোঁজের ৩৩ ঘণ্টা পর গাছের নিচে মিললো যুবকের মরদেহ

নগরকান্দায় সড়কে প্রাণ গেল দুই কলেজ শিক্ষার্থীর

নগরকান্দায় সড়কে প্রাণ গেল দুই কলেজ শিক্ষার্থীর

মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৩ রোহিঙ্গাসহ ১০ জন আটক

মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৩ রোহিঙ্গাসহ ১০ জন আটক

বগুড়ার দুই সাংবাদিক গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন

বগুড়ার দুই সাংবাদিক গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার পর এবার মজুরি ২৫,০০০ টাকা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার পর এবার মজুরি ২৫,০০০ টাকা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এমডি শূন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো হ য ব র ল

এমডি শূন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো হ য ব র ল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলি, নিহত ৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলি, নিহত ৪

হাসিনা সরকারের ৬ মাসে মেট্রেরেলে ১৮ কোটি, বর্তমানে ১৮ দিনে সাড়ে ২০ কোটি টাকা আয়

হাসিনা সরকারের ৬ মাসে মেট্রেরেলে ১৮ কোটি, বর্তমানে ১৮ দিনে সাড়ে ২০ কোটি টাকা আয়

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হলেন কুমারা দিসানায়েকে, শপথ আগামীকাল

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হলেন কুমারা দিসানায়েকে, শপথ আগামীকাল

রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, পরিস্থিতি স্বাভাবিক

রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, পরিস্থিতি স্বাভাবিক

রিমান্ড শেষে দীপু, ইনু, মেনন, পলকসহ ৭ জন কারাগারে

রিমান্ড শেষে দীপু, ইনু, মেনন, পলকসহ ৭ জন কারাগারে

ইলিশ যাচ্ছে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’: উপদেষ্টা

ইলিশ যাচ্ছে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’: উপদেষ্টা

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ দুই বন্ধুর

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ দুই বন্ধুর

ইরানের কয়লা খনিতে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণ, নিহত ৩০, আহত ১৭

ইরানের কয়লা খনিতে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণ, নিহত ৩০, আহত ১৭

'নিরাপদ চাঁদপুর' চাই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

'নিরাপদ চাঁদপুর' চাই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৩ মাসেরও বেশি সময় পর ঢাবিতে ক্লাস শুরু

৩ মাসেরও বেশি সময় পর ঢাবিতে ক্লাস শুরু

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

৩৫ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক, চলছে সমালোচনা

৩৫ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক, চলছে সমালোচনা

ইবিতে ভিসির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, মহাসড়ক অবরোধ

ইবিতে ভিসির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, মহাসড়ক অবরোধ

অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য

অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য