চলনবিলে বোরোর বাম্পার ফলন
৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১৬ পিএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:২০ এএম
বৈশাখী বাতাসে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালী ধান। নতুন ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণে মাতোয়ারা কৃষক।
এবার সারা দেশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে কৃষকরা বৈশাখের প্রখর তাপদাহ মাথায় নিয়ে সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। দেশের সর্বত্র চলছে বোরো ধান কাটার উৎসব। মাঠের পাকা ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় নেওয়া এবং মাড়াই শেষে গোলায় তোলার মহাব্যস্ততা সর্বত্র। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং সমৃদ্ধ জলাভূমির নাম চলনবিল। নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার বড় একটি অংশ জুড়ে এ বিলের অবস্থান। বর্ষা মৌসুমে পানিতে পরিপূর্ণ থাকলেও শীতে শুকিয়ে যায়। তখন থেকে এ বিলে চাষ হয় নানান শষ্য। বর্ষায় পানি আসার আগে চলনবিলে সর্বশেষ ফসল হলো বোরো ধান। পুরো চলন বিলজুড়েই এখন চলছে বোরো কাটার মহোৎসব।
নাটোরের সিংড়া থেকে গুমনী পাড়ের কচিকাটা পর্যন্ত এ বিলের দীর্ঘতম অংশ, প্রায় চব্বিশ কিলোমিটার দীর্ঘ। নাটোরে অবস্থিত প্রায় ৪০ হাজার একরের হালতি বিল দেশের সবচেয়ে বড় ও প্রসিদ্ধ চলন বিল। বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে পরিণত হয় বিলটি। ফেব্রুয়ারিতে পানি শুকিয়ে গেলে ধান চাষ করা হয় সেখানে। এপ্রিল থেকে শুরু হয় ধান কাটা। এ সময় বিলজুড়ে ধান কাটার ‘উৎসব’ শুরু হয়ে যায়। বিঘাপ্রতি ধান উৎপাদন হয় ২৫ থেকে ৩২ মণ।
নাটোরে চলতি মৌসুমের বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়ে গেছে। গ্রীষ্মের তপ্ত রোদেও দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে চলছে ধান কাটার মওসুম। হলুদ ধানের শিষে কৃষকের স্বপ্ন জেগে উঠেছে। কিন্তু শ্রমিক সংকটে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধান ঠিকঠাক ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তায় আছেন তারা। ফলে দ্রুত ধান কাটা ও মাড়াই করতে চড়া মজুরি দিয়ে শ্রমিক নিতে হচ্ছে। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৫৮ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৬১ হাজার ২০৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার ৪ লাখ ৩২ হাজার ৪০৫ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। গত বোরো মৌসুমে ৬০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে।
চলনবিলের কৃষক মুনছুর রহমান ও চৌগ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, এ বছর বোরো ধানের ভাল ফলন হয়েছে। ৬ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছিলাম। ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় বেশ বিপদে ছিলাম। অন্যদিকে কখন যে ঝড় ও বৃষ্টি হয়। পরে শ্রমিকসহ ছেলেদের নিয়ে ধান কাটতে নেমেছি। এখন মাড়াই করে ঘরে তুলতে পারলে প্রাণে বাঁচি। শ্রমিক সঙ্কটের কারনে এবার শ্রমিক প্রতি ৭শ টাকা খরচ করে ধান কাটাতে হচ্ছে। অনেকে ধানের বিনিময়েও কাজ করছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে সা'দ পন্থিদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে: হাটহাজারীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা
ভারত বাধা পেরিয়ে শিরোপা জিততে মরিয়া বাংলাদেশ
দোয়ারাবাজারে ভ্যানের ধাক্কায় শিশু নিহত
গারো পাহাড়ের পানি হাতায় ঘুরতে এসে ভোগা নদীতে ডুবে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সিলেট-তামাবিল চার লেন উন্নতিকরণে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ
১০ বছর আগে উধাও মালয়েশিয়া বিমানের নতুন করে খোঁজ শুরু
৯/১১-র ধাঁচে রাশিয়ায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের, বন্ধ বিমানবন্দর
আজ ঐতিহ্যবাদী লেখক হোসেন মাহমুদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী
দ. আফ্রিকাকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের অভিযানে পাকিস্তান
পাকিস্তানে তল্লাশিচৌকিতে সশস্ত্র হামলা, নিহত ১৬ সেনা
বড়দিনের ধর্মীয় ইতিহাস ও তাৎপর্য
ঝিকরগাছায় মোটরসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ১৫
হিলিতে বিএনপির উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের খসড়া তালিকা প্রকাশ
বদলগাছীতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের দায় আছে: অর্থ উপদেষ্টা
সা'দ অনুসারী কতৃক হত্যা-তান্ডবের বিচার দাবীতে কটিয়াদীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
এক সময় কোরআন ও হাদিসের আলোকে কথা বলা দুরহ ছিল: অতিরিক্ত আইজিপি খোন্দকার রফিকুল
নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত, বৃষ্টি ও শীতে জনজীবনে চরম ভোগান্তি
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের দখলে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি