লক্ষ্যমাত্রার নিচে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি
০৩ মে ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৪ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম নয় মাস (জুলাই-মার্চ) লক্ষ্যমাত্রার নিচে অবস্থান করছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি। খাতটিতে ধারাবাহিকভাবে ঋণ বিতরণ কমছে। মার্চে এ খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। কিন্তু মার্চ শেষে এ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে। আগের মাস ফেব্রুয়ারি শেষে যা ছিলো ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ।
আর্থিক সঙ্কটের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। এসবের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে, ডলার সঙ্কট বেশ ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। এ সঙ্কট সমাধানে সরকার রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে। এতে রিজার্ভের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বর্তমানে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। চলতি সপ্তাহে আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ নেমে আসবে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদ-ে হিসাব করলে রিজার্ভের পরিমাণ আরও কমে দাঁড়াবে ২৩ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে বেসরকারি খাতে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিলো ১২ লাখ ৯১ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা।
তথ্য মতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিলো ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগস্টে তা আরো বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশে। তবে সেপ্টেম্বরে ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে আবার ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয় ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ করে। বেসরকারি খাতের ঋণের এ প্রবৃদ্ধি ডিসেম্বরে আরো কমে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এ খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে আসে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশে এবং ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ১৪ শতাংশে। তবে এরপরের মাস মার্চে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি আরো কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে।
বেসরকারি খাতের ঋণের এ প্রবৃদ্ধি সাধারণভাবে দুই অঙ্কের ঘরেই থাকে। তবে ২০১৯ সালের নভেম্বরে এর ব্যত্যয় ঘটে। ওই মাসে প্রথমবারের মতো তা নেমে যায় ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে। তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাব শুরুর পর ব্যাপক হারে এটি কমে গত ২০২০ সালের মে মাস ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমে আসে। পরের মাস জুন থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বেসরকারি খাতের ঋণের এই প্রবৃদ্ধি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফেরাতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবুও সঙ্কট কাটছে না। ডলার বিক্রিসহ অন্য খাতে ব্যয় কমাতে না পারলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়বেই। এসব কারণে অর্থনীতিতে সঙ্কট কাটছে না।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এবি ব্যাংক পিএলসি. এর "বিজনেস রিভিউ মিটিং" অনুষ্ঠিত
উথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল সোনালী লাইফ
নেতাকর্মীদের রেখে লক্ষণ সেনের মত পালিয়ে গেছে স্বৈরাচার: ব্যারিস্টার সালাম
অভিনেতা অপূর্বকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচার
বরিশালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অংশীজন সভায় প্রধান প্রকৌশলী
দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতিতে সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস
সংস্কারোত্তর পিআর পদ্ধতিতেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে
‘শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে’
‘রাষ্ট্রের সকল স্তরে ইসলামী সংস্কৃতির অনুশীলন নিশ্চিত করতে হবে’
মেট্রোকে থামিয়ে ফাইনালে রংপুর
৪৩ বছর পর কুয়েতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি, হাসিনার ভরসা ভারতে: দুলু
মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল, কানাডায় কি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন ট্রুডো?
পাকিস্তান থেকে যেসব পণ্য নিয়ে এবার এলো জাহাজ
ভারতের সেবাদাসী হাসিনাকে পুনর্বাসনে এবার জঙ্গি মিশনে তারা!
মাহফুজকে উপদেষ্টা থেকে বাদ দেওয়া উচিত? যা বললেন ড. জাহেদ
৬ বছরের মধ্যেই চীনের হাতে হাজার পরমাণু বোমা! উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের
বিগত সময়ে দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে বড় ধরনের অপরাধ করেছে পুলিশ, এ জন্য আমরা লজ্জিত: আইজিপি
ব্রাহ্মণপাড়ায় পাঁচ দিনেও খোঁজ মিলেনি নিখোঁজ সোহাগের
কসবায় পাহাড় কাটার অপরাধে ২ জনের অর্থদণ্ড