কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে বিএনপির ২১ নেতা
০৩ মে ২০২৩, ১০:৪৮ পিএম | আপডেট: ০৪ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহানগরের বিভিন্ন পদে থাকা বিএনপির ২১ নেতাকর্মী কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
এই সরকারের অধীনে বিএনপির কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না কেন্দ্রীয় এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি। তবে এই সিদ্ধান্তের বাহিরে বিএনপির ২১ নেতাকর্মী কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা বলছে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়া যাবে না বিএনপির কেন্দ্রীয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত তারা জানেন না।
গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন পথে থাকা যে সব বিএনপি নেতাকর্মী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ২০১৮ সালের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুরুজ আহমেদ জানান, বর্তমান সরকারের আমলে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে দল।
গাজীপুরে কারাবন্দি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারের ছেলে সরকার শাহনুর ইসলাম রনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সুরুজ আহমেদ বলেন, সরকার শাহনুর ইসলাম রনি বিএনপির কেউ না। তার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া তিনি বিএনপির কোনো পদে নেই। এমনকি প্রাথমিক সদস্যও নন। তাই তিনি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করলে এতে বিএনপির কোনো দায় নেই।
এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপির ২১ জন নেতাকর্মী ও সমর্থক তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে ৮ জনই ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন।
বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ডে (জয়ারটেক-নছর মার্কেট) কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর হোসেন আলম, ১৫ নং ওয়ার্ডে (ভোগড়া) কাউন্সিলর শ্রমিক দল নেতা ফয়সাল আহমাদ সরকার, ১৬নং ওয়ার্ডের (দিঘিরচালা-বারবৈকা) বর্তমান কাউন্সিলর বাসন থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা, বাসন থানার ১৭নং ওয়ার্ডে (চান্দনা-যোগীতলা) ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম (রাতা), ১৯নং ওয়ার্ডের (কাউলতিয়া-সালনা) বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মো. তানভীর আহম্মেদ, সদর মেট্রো থানার ২২নং ওয়ার্ডে (বাংলাবাজার-বাহাদুরপুর) বিএনপি নেতা ছবদের হাসান, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে (পোড়াবাড়ি-ভাওরাইদ) বিএনপি সমর্থক খোরশেদ আলম রিপন, ২৪নং ওয়ার্ডে (শিমুলতলী-চতর) বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুর রশিদ খান শিপু, ২৫নং ওয়ার্ডে (ভুরুলিয়া) বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি সমর্থক মজিবুর রহমান, ২৬নং ওয়ার্ডের (বিলাসপুর-মারিয়ালী) বর্তমান কাউন্সিলর ও সদর মেট্রো থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান মিয়া হান্নু, ২৮নং ওয়ার্ডের (জয়দেবপুর শহর) বর্তমান কাউন্সিলর সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হাসান আজমল ভুঁইয়া, ২৯নং ওয়ার্ডের (ছোট দেওড়া) বিএনপি নেতা খায়রুল আলম ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জিএস মনির হোসেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে (কানাইয়া-নীলেরপাড়া) বিএনপি সমর্থক শামসুল আলম অরুণ কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন।
এছাড়া গাছা থানা এলাকায় ৩৪নং ওয়ার্ডে (শরীফপুর) বিএনপি সমর্থক সাবেক কাউন্সিলর মো. মাহফুজুর রহমান ও ৩৫নং ওয়ার্ডে (বাদে কলমেশ্বর) গাছা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ ফারুক হোসেন, পূবাইল থানা এলাকার ৪০নং ওয়ার্ডের (মেঘডুবি) পুবাইল থানা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম বিকি, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে (তালটিয়া) বিএনপির নেতা সুলতান উদ্দিন আহমেদ, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের (টঙ্গীর দত্তপাড়া) বর্তমান কাউন্সিলর টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউদ্দিন আহমেদ, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের (মিলগেইট) কাউন্সিলর শ্রমিক দল নেতা আবুল হোসেন প্রার্থী হয়েছেন।
নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সদর মেট্রো থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান মিয়া হান্নু বলেন, কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের ব্যাপারে দলীয় কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। কাউন্সিলররা দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তাছাড়া দুই মেয়াদে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছি। তারপরও দল যদি কোনো নির্দেশনা দেয় তাহলে প্রার্থী হওয়া না হওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখবো।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রো বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ জানান, আমি গাজীপুর মহানগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। পরে যখন জানতে পারি এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নিবে না বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি সেই সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রা জানিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হইনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৮ মে। নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ৯ মে এবং ভোটগ্রহণ হবে ২৫ মে। সব ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। গাজীপুর জেলা নির্বাচন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭২১, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪২ এবং হিজড়া ভোটার ১৮ জন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মাগুরায় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
দেশের প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা তৈরিতে বাজারে অত্যাধুনিক ফিড নিয়ে এল আকিজ রিসোর্স
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তানের টানা ষষ্ঠ সিরিজ জয়
কমিউনিটি ব্যাংকে ট্রাফিক মামলার জরিমানা দেওয়া যাবে
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: দ্য ইকোনমিস্টকে ড. ইউনূস
‘ফ্যাসিবাদী প্রধানমন্ত্রী ও এমপিরা তাদের কৃত কর্মের জন্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে’
ব্রাহ্মণপাড়ায় ট্রাক্টরের চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু, আহত ২
কুরআন শিক্ষা বোর্ড ঢাকা মহানগর উত্তরের নগর সম্মেলন অনুষ্ঠিত
এবি ব্যাংক পিএলসি. এর "বিজনেস রিভিউ মিটিং" অনুষ্ঠিত
উথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল সোনালী লাইফ
নেতাকর্মীদের রেখে লক্ষণ সেনের মত পালিয়ে গেছে স্বৈরাচার: ব্যারিস্টার সালাম
অভিনেতা অপূর্বকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচার
বরিশালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অংশীজন সভায় প্রধান প্রকৌশলী
দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতিতে সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস
সংস্কারোত্তর পিআর পদ্ধতিতেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে
‘শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে’
‘রাষ্ট্রের সকল স্তরে ইসলামী সংস্কৃতির অনুশীলন নিশ্চিত করতে হবে’
মেট্রোকে থামিয়ে ফাইনালে রংপুর
৪৩ বছর পর কুয়েতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি, হাসিনার ভরসা ভারতে: দুলু