দেশে প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে অপরিহার্য অংশ মুক্ত গণমাধ্যম
০৩ মে ২০২৩, ১১:২৩ পিএম | আপডেট: ০৪ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মুক্ত গণমাধ্যমকে প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ বলে মন্তব্য করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের জন্য হয়রানি ও ভয়ভীতি ছাড়া কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের সদস্য ১১টি দেশের ঢাকায় অবস্থিত দূতাবাস ও হাইকমিশন। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ওই ১১টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনাররা গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত এক ভিডিওবার্তায় এই আহবান জানান। একই সঙ্গে ‘মুক্ত গণমাধ্যম’ বলতে তারা কি বোঝেন সে অভিব্যক্তিও ব্যক্ত করেন।
সুশাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীকরণের উপর জোর দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য অংশ বলে আমি মনে করি।
কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস বলেন, আমার কাছে মুক্ত গণমাধ্যম মানে সরকারকে জবাদিহিতার আওতায় আনা। গণতান্ত্রিক সমাজে এবং মানবাধিকার নিশ্চিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকাটা জরুরি।
ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা বলেন, কর্তৃত্ববাদের দিকে যাওয়া ঠেকাতে এবং বহুমতের সমাজ বিনির্মাণে গণতন্ত্রের মৌলিক একটি নীতি হলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।
নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তিপ্রস্তর আখ্যা দিয়ে বলেন, আপনি বলে দিতে পারেন না যে এটা ওটা ছাড়া আপনি যে কোনো কিছু ছাপার ক্ষেত্রে স্বাধীন।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন বলেন, আমি প্রতিদিনই কোনো লেখা পড়ার সময় লেখাটির সাথে একমত হতে না পারলে মুক্ত গণমাধ্যমের কথা ভাবি।
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে বলেন, আমার মতে, গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। এটি মানুষকে নিজেদের কণ্ঠস্বর শোনাতে এবং সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করে তোলে। এটি সুবিবেচনা এবং জবাবদিহিতাকেও কার্যকর করে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, সমালোচনাকে গ্রহণ করার সক্ষমতা এবং বাক স্বাধীনতাকে (তা অপ্রীতিকর হলেও) মেনে নেওয়া গণতন্ত্রের নির্দেশক। তথ্যকে জনগণের পণ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজেদের নেতাদের সম্পর্কে, তাদের নীতিগুলো সম্পর্কে সত্য জানার অধিকার রয়েছে মানুষের, যেগুলো তাদের জীবনে প্রভাব ফেলে। সত্য প্রকাশ না করার জন্য প্রচন্ড চাপ থাকা সত্ত্বেও অসামান্য সাহসিকতা দেখানো সাংবাদিক বন্ধুদের ধন্যবাদ।
মানবাধিকার এবং মুক্ত গণমাধ্যমকে সমর্থন করা সুইজারল্যান্ডের অন্যতম নীতি বলে জানান ঢাকায় দেশটির দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সুজান মুলার। বৃটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার ম্যাট ক্যানেল বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম সরকার, বেসরকারি খাত সহ অন্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।
মুক্ত সমাজ গঠনে মুক্ত গণমাধ্যম জরুরি বলে মনে করেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসান। ফ্রান্স দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশন গিলিয়াম এড্রেল ডে কের্ডেলের মতে, সঠিক তথ্য পাওয়া নাগরিকের অধিকার। ##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী
মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান
সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান
ভারতকে পারমাণবিক সাবমেরিন আন্ডারওয়াটার ড্রোন দেবে ফ্রান্স