সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অংশ নিতে কেন্দ্র বিএনপির কোন আগ্রহ নেই। সাংগঠনিক সিদ্ধান্তও হয়েছে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার। এমন পরিস্থিতিতে দলের সিদ্ধান্ত না মেনে খুলনায় কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা এ কথা বলেছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ না নেয়া প্রসঙ্গে মনা আরও বলেন, এটি নতুন কিছু না। সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। দলের সবাই এ সিদ্ধান্ত মেনে চলবে।

এদিকে, মাঠ পর্যায়ে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, স্থানীয় বিএনপির অনেকেই নির্বাচন করতে আগ্রহী। ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আগ্রহীর সংখ্যা বেশি। তারা বলছেন, কারচুপি হবে এটা আমরা জানি। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিলে কর্মীদের মাঝে প্রেরণার সৃষ্টি হত। তাছাড়া সরকার ভোট চুরি করলে তা জাতির সামনে তুলে ধরা যেত। কাজেই এই নির্বাচনে অংশ নেয়া দরকার ছিল।
অন্যদিকে, বিএনপির অপর একটি অংশ বলছে, কোনো ভাবেই এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়া যাবে না।

কেসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা আশফাকুর রহমান রহমান কাকন বলেন, ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হই। নির্বাচনে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে সম্মানিত করে। জনতার এ সম্মানকে শ্রদ্ধা জানাতে হলে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে খুলনার খালিশপুরের একজন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, নির্বাচনে তিনি সরাসরি অংশ নিচ্ছেন না, কিন্তু তার পরিবর্তে নিজস্ব আরেকজনকে দাঁড় করিয়েছেন। আওয়ামী লীগকে কোনভাবেই ছাড় দিতে রাজী নন এই সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ২০১৮ সালের খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মডেল দিয়েই বর্তমান সরকার সব নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে সফল হয়েছে। সেক্ষেত্রে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত শতভাগ সঠিক। শুধু কৌশলগত কারণে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই নির্বাচন করা যায় কিনা, বিএনপি নির্বাচন টেস্ট কেস হিসেবে এটিকে দেখতে পারতো।