রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। গতকাল রোববার দুপুরে মেয়র প্রার্থী এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলীসহ প্রমুখ।

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীর ছড়াছড়ি থাকলেও এনিয়ে তেমন উৎসাহ নেই সাধারণ মানুষের। নির্বাচনের আগে হোটেল রেস্তরাঁয় মহল্লার মোড়ের আড্ডায় চায়ের কাপে ঝড় উঠত। আলোচনা সমালোনার খৈ ফুটত। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কুশল বিনিময় সালাম কদমবুসি আর দোয়া নিতে দেখা যেত। বর্তমানে সে চিত্র দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে অনিহা ফুটে উঠছে। তবে বসে নেই মহল্লার কিশোর গ্যাং গ্রুপ। তারা গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত হয়ে টাকা ওয়ালা প্রার্থীর কাছে ঘেষার চেষ্টা করছে।

গত নির্বাচনে বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে যারা কাজ করেছিল তাদের এবার অনেক ঐ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দি হতে দেখা যাচ্ছে। লক্ষ্য কোন রকমে কাউন্সিলর হতে পারলে আর ঠেকায় কে। তাদের কাঁধে পা দিয়ে কাউন্সিলর হবার পর বনে গেছে কোটি কোটি টাকার মালিক। ‘‘ব’’ কলম কিন্তু গাড়ি, বাড়ি, জমিজমা সব হয়েছে। স্বাভাবিক কারনে সবার লক্ষ্য কোন রকমে কাউন্সিলর হওয়া। এবার নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হবে।

অন্যদিকে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে গত শনিবার রাতে জাতীয় পাটির সাইফুল ইসলাম স্বপন দলীয় কার্যালয়ের মিটিংয়ের পর প্রচারণায় নেমেছেন। রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে রাসিক নির্বাচনে একজন মেয়র পদে ও কাউন্সিলর পদে ১০৯জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন। এরমধ্যে সংরক্ষিত আসনে ৩৫ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে রয়েছে ৭৪ জন। এরমধ্যে বেশ কিছু কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত ২৭ এপ্রিল থেকে রোববার পর্যন্ত মেয়র পদে একজনসহ ৪১৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন।