অর্থনীতির ঝুঁকি নিয়ে আইএমএফ’র সতর্কতা
০৭ মে ২০২৩, ১১:১৩ পিএম | আপডেট: ০৮ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে অবস্থান ধরে রাখতে পারলেও বাংলাদেশের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ দেখতে পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। বাংলাদেশ সফর শেষে আইএমএফ এর মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ, বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতা এবং প্রধান বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোর অর্থনীতির ধীর গতি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এবং টাকার মানের ওপর চাপ বেড়েছে যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশে সফররত আইএমএফ স্টাফ মিশনের প্রধান রাহুল আনন্দ বলেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই বাংলাদেশ দ্রুত হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে বৈশ্বিক সঙ্কটের এই সময়ে বাংলাদেশের জন্য তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এগুলো হচ্ছে ধারাবাহিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈশ্বিক আর্থিক খাতের অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধির শ্লথগতি। তবে চ্যালেঞ্জ থাকলেও আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গতকাল প্রায় ১৪ দিনের সফর শেষে আইএমএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন স্টাফ মিশনের প্রধান রাহুল আনন্দ। এর আগে এদিন সকালে অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিনিধিদলটি। এরপরই প্রতিনিধিদলটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠকে মিলিত হয়। আইএমএফের স্টাফ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলটি গত ২৩ এপ্রিল থেকে রবিবার ৭ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেছে। সেই সফরের পরিসমাপ্তিতে বাংলাদেশ মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন। আইএমএফ মনে করছে, বৈশ্বিক সঙ্কট ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে দেশের প্রবৃদ্ধি, বিদেশি মুদ্রার মজুত ও স্থানীয় মুদ্রা টাকার ওপর চাপ অব্যাহত থাকবে। রাহুল আনন্দ আরও বলেন, এবারের সফরে আমরা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতের সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করেছি। আইএমএফÑসমর্থিত কর্মসূচির মূল যেসব প্রতিশ্রুতি ছিল, সেগুলো কতটা পূরণ হলো, তার অগ্রগতিও পর্যালোচনা করেছি। বর্ধিত ঋণসুবিধা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সুবিধা (ইএফএফ), রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) ব্যবস্থার প্রথম পর্যালোচনায় আনুষ্ঠানিকভাবে তা মূল্যায়ন করা হবে, যা এ বছরের শেষের দিকে হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবার, সফরের সময় আইএমএফের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান এবং অন্য ঊর্ধ্বতন সরকারী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। এ ছাড়া তারা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, দ্বিপক্ষীয় দাতা ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ জুলাই ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। এতে পরিমাণের কথা উল্লেখ ছিল না। পরে ১২ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণসহায়তার কথা জানান। এরপর চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। এই ঋণের প্রথম কিস্তি ইতোমধ্যে ছাড় করা হয়েছে। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির বাকি ৬টি কিন্তি পাওয়া যাবে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে আইএমএফ দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করবে বলে আশা করছে সরকার।
আইএমএফের ঋণের সঙ্গে দেয়া বেশ কিছু শর্ত বাংলাদেশ এরই মধ্যে পূরণ করেছে এবং আরও কিছু শর্ত পূরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ভর্তুকি কমিয়ে আনা এবং আর্থিকখাতে সুশাসন নিশ্চিত করার ওপর। রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কথাও বলছে সংস্থাটি। এছাড়া আগামী জুনমাসের মধ্যে নিট রিজার্ভ সাড়ে ২৪ বিলিয়ন ডলারের কথা বলেছে আইএমএফ। তবে বৈশ্বিক সঙ্কট, রফতানি ও আয় রেমিট্যান্সের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বেশকিছু শর্তপালনের বিষয়ে কঠোরতা থেকে সরে এসেছে। বরং ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো, জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারণ এবং ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের মতো উদ্যোগ নেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তবে এগুলো নিয়মিত করার ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়েছে। এদিকে, খোলাখুলি আলোচনা ও আন্তরিক আপ্যায়নের জন্য বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায় আইএমএফের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনে আইএমএফ’র সম্পৃক্ততা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক
বেশকিছু চ্যালেঞ্জ থাকার পরও আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া যাবে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সফররত প্রতিনিধিদলটির সর্বশেষ বৈঠক গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশ ব্যাংক এর মূখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক। তিনি জানান, কোভিড মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ দেশের অর্থনীতিতে বাড়তি চ্যালেঞ্জ যোগ করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইএমএফ এর ঋণের সব শর্ত পূরনে ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অবশ্য কাঙ্খিত রিজার্ভসহ আইএমএফ এর সব শর্ত পূরণ না হলেও ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা হবে না বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএমএফ এর ঋণের সমঝোতা অনুযায়ী অর্থনীতিতে নীতি ও কাঠামো সংস্কারের একাধিক শর্ত বাস্তবায়নের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ মাসের আমদানি দায় পরিশোধ করার সক্ষমতা থাকা। নানা কারণে গত জুলাই থেকে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার পূর্বে ও গত অর্থবছরে গড়ে প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলারের আমদানি দায় তৈরি হয় বাংলাদেশের। এ হিসাবে তিন মাসের আমদানি দায় মেটাতে নিট রিজার্ভ প্রয়োজন প্রায় সাড়ে ২৪ বিলিয়ন ডলার। আগামী জুন মাসে এ পরিমাণ রিজার্ভ থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে আইএমএফ।
রিজার্ভ ইস্যু ছাড়া দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির প্রায় সবগুলো সূচক আইএমএফ এর শর্ত অনুযায়ী কাঙ্খিত মানে পৌঁছাতে পারার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এর মূখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক জানান, রিজার্ভ হিসাব করা ও টার্গেটে পৌঁছাতে পারার একটা ইস্যু আছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনা মহামারি দেখেছে তার একটি চাপ আছে, মূল্যস্ফীতি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দেশের অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জতো রয়েছেও। এর মধ্যে শুধু করোনার চ্যালেঞ্জটি নেই। তার সঙ্গে আছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের মতো একটি চ্যালেঞ্জ। সব নির্বাচনের সময়ই অর্থনীতির গতি কমে আসে জানিয়ে মেজবাউল হক বলেন, এসময় সবাই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এজন্য কিছু জায়গায় আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে-এটা ট্রু (সত্য)। আমরা আশা করছি এগুলো সমাধান করার মতো যথেষ্ট সময় আছে।
সব শর্ত পূরণ না হলে যে ঋণের পরবর্তী কিস্তি পাওয়া যাবে না- তা নয়। দেখতে হবে আমরা ঋণ কর্মসুচির সঠিক পথে রয়েছি কি না। আমরা এখনো সঠিক পথেই আছি। আগে-পরে আইএমএফ ঋণ কর্মসূচির সব মান দ-েই পৌঁছাতে পারবো। রিজার্ভ কাঙ্খিত মানে আসতে সময় লাগলেও বিশ্বব্যাংক ও জাইকা যে ঋণ অনুমোদন করেছে তার একটি অংশ আগামী জুন মাসের মধ্যে পেয়ে যাবে বাংলাদেশ জানিয়ে মেজবাউল হক বলেন, এতেও রিজার্ভ বাড়াতে সহায়ক হবে। গতকাল আমদানি দায় বাবদ ১ দশমিক ১ বিলিয়নের ‘আকু (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন)’ পেমেন্ট হওয়ায় আগামী জুনের মধ্যে বড় কোনো দায় নেই বাংলাদেশের জানিয়ে তিনি বলেন, আকু পেমেন্টের পূর্বে বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্য ও ঋণের অগ্রগতি জানতেই এবারের আইএমএফ কর্মকর্তাদের সফর জানিয়ে মেজবাউল হক বলেন, আমাদের অগ্রগতিতে তারা সন্তুষ্ট। কিছু পর্যবেক্ষণ যা দিয়েছে-তা নিয়ে মিউচুয়ালি আরো অনেক কাজ করার সময় আছে- আমরা তা করবো।
এদিকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশকে আইএমএফের সব শর্ত মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। হোক আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ সেসব শর্তই মানবে যা দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো। গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাজেট আলোচনার সময় ও পরিধি বাড়ানো উচিত। বাজেট নিয়ে বর্তমানে যতটুকু আলোচনা হয় তা পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়া কীভাবে কর আদায়ের পরিধি বাড়ানো যায়, তা নিয়েও এখন থেকে ভাবা উচিত। কর আদায়ের পরিধি বাড়ালে বাজেট ঘাটতিও কমে আসবে।
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আশপাশের অনেক দেশের থেকে ভালো। এ ছাড়া ২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার চীন ও ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দেশের রফতানি খাত নিয়ে তিনি বলেন, সবাই বলে বাংলাদেশের রফতানি একমুখী। স্বীকার করছি, তৈরি পোশাক খাত দেশের রফতানির সবচেয়ে বড় উৎস। তবে খেয়াল করলে দেখা যায়, এবার প্রথমবারের মতো ওষুধশিল্প, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও পাটশিল্পের রফতানি আয় আলাদা আলাদাভাবে বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এটি একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত। মূল্যস্ফীতি এখন দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি বাড়লে সুদের হার বাড়িয়ে দেয়া হয়। এ নীতি দেশে খুব একটা কার্যকর হবে না। এ ছাড়া বাংলাদেশকে নিজস্ব নীতিতে চলতে হবে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান জায়েদি সত্তার, এডিবির আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রানা হাসান প্রমুখ।#
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোল উৎসবে বার্সার ছয়ে ছয়
রোনালদোর দ্রততম শত গোলের রেকর্ড ছুঁলেন হল্যান্ড
ঘটনাবহুল ড্রয়ে শেষ আর্সনাল-সিটি মহারণ
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী