খুলনায় পুলিশের হামলায় ১৯ মে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ১৫৪ নেতাকর্মী
২৩ মে ২০২৩, ১১:২০ পিএম | আপডেট: ২৪ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, গত ১৯ মে খুলনায় পুলিশ যে নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে তা নজিরবিহীন। পুলিশের গুলিতে মহানগর ও জেলার ১৫৪জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৯ জন নেতাকর্মীতে। এছাড়া বিএনপির শান্তিপুর্ণ কর্মসুচিতে পুলিশ নির্বিচারের গুলিবর্ষণ চালিয়েছে, অমানবিকভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে আবার ১হাজার ৩শ’ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এভাবে প্রকাশ্যে পুলিশ গুলি করে নেতাকর্মীদের পঙ্গু বানাবে এটা কোনো গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না। বিনা উস্কানিতে খুলনার পুলিশ-প্রশাসন এই রক্তাক্ত সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছে। এই সহিংস সন্ত্রাসের জন্য দায়ী খুলনার পুলিশ প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার, পুলিশের হয়রানি, নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের ও পরিবার পরিজনের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণের প্রতিবাদে প্রেসব্রিফিং এ তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাড. মনা বলেন, একজন ওসি প্রকাশ্যে অন্যের শর্টগান কেড়ে নিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন ওই ওসি কি আইনের উর্ধ্বে ? যদি তা না হয় তবে ওসি কিভাবে বারংবার এ ধরনের অন্যায় করে? ওই ওসিসহ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের ভিডিও ফুটেজ ও নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে শীঘ্রই আদালতে মামলা দায়ের করা হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দিঘলিয়ার উপজেলা যুবদলের নেতা সোহেল ১৮ মে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও ১৯ মে তারিখের মামলায় পুলিশ তাকে এজাহার নামীয় আসামি করেছে। যা রীতিমত হাস্যকর। বন্দুকের নলের জোরে কোন স্বৈরাচার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেনি, বর্তমান অবৈধ সরকারও পারবে না। সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। চলমান আন্দোলনে জনস্রোতে সরকার ভেসে যাবে।
তিনি খুলনার পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশ সদস্যরা যদি কারো পক্ষ অবলম্বন করেন তাহলে যেকোন পরিস্থিতির জন্য ওই সকল পুলিশ সদস্যরাই দায়ী থাকবেন। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ ১৩ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সাথে অহেতুক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, পরিবার পরিজনকে হয়রানী ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করা থেকে বিরত থাকার আহবানসহ চলমান আন্দোলনে বাধাসৃষ্টি না করার আহবান জানিয়েছেন।
প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, স. ম. আব্দুর রহমান, শের আলম শান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, সাইফুর রহমান মিন্টু, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, আশরাফুল আলম খান নান্নু, এনামুল হক সজল, মুরশিদ কামাল প্রমুখ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার