ক্ষতির শঙ্কায় মেঘনা উপকূল
২৩ মে ২০২৩, ১১:৩২ পিএম | আপডেট: ২৪ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় বাধ নির্মাণে ধীরগতির কারণে ঝড় বা ভারী জলোচ্ছ্বাস ও পূর্ণিমার জোয়ারের পানি বাড়লে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সদর উপজেলার চররমনী মোহনের দক্ষিণাংশ, কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন, চর লরেন্স, সাহেবেরহাট, চরকালকিনি, চরফলকন, পাটওয়ারীহাট, রামগতির চরবাদামের পশ্চিমাঞ্চল, আলেকজান্ডার, বড়খেরী, চররমিজ, চরগাজী ও চরআবদুল্লাহ ইউনিয়নসহ মেঘনার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাস হলেই বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কায় থাকে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় বাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ঝড় জলোচ্ছ্বাস হলে নির্মাণাধীন সেই বাঁধও ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক এবং সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পলোয়ান বলেন, কিছু অসৎ ঠিকাদার সব সময় দুর্নীতির ফাঁকফোকর খোঁজে। যে কোনো ঘূর্ণিঝড় কিংবা অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে বাঁধের জিওব্যাগের সামান্য ক্ষতি হলে ঠিকাদারগণ বড় অজুহাত দেখিয়ে দুর্নীতির সুযোগ পেয়ে যাবে। তারা হয়তো কাজ না করেও সেখানে কাজ হয়েছে বলে দেখিয়ে দেবে। শুরু থেকেই আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিবাদ করে আসছি যে এত বড় একটি প্রকল্প চলছে কোনো রকম তদারকি ছাড়াই। জিওব্যাগের যে কাজগুলো হচ্ছে, তা দায়সারাভাবে করা হচ্ছে। জিওব্যাগ রক্ষায় এখনো বড় প্রতিরক্ষা তৈরি করা হয়নি। ফলে যে কোনো ধরনের ঝড়, জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসকে পূঁজি করে এ অঞ্চলের মানুষের বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীর পূর্বপাড়ের জেলা লক্ষ্মীপুরের ৩৩ কিলোমিটার এলাকায় নদী তীর রক্ষায় ৩ হাজার ৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের অধীনে চলতি অর্থ বছরে প্রায় দুইশ’ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া বাঁধ নির্মাণের প্রাথমিক কাজ হিসেবে প্রকল্পের আওতায় কিছু এলাকায় জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পের কিছু অংশের কাজের মেয়াদ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ করার কথা রয়েছে। তবে বাকি কাজ আগামী তিন বছরে শেষ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ জানান, নদী ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ২০২১ সালের ১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির একনেক সভায় ৩ হাজার ৮৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়। বাঁধ নির্মাণের জন্য টেন্ডার হওয়া ৯৯টি লটের মধ্যে ৪৩ লটে প্রায় ১৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় জিওব্যাগের ড্যাম্পিং শুরু হয়েছে। কিন্তু একটি পয়েন্টেও ড্যাম্পিং শেষ হয়নি। এর মধ্যে মাত্র ৪ কিলোমিটার এলাকায় ৫০-৮০ ভাগ ড্যাম্পিং কাজ শেষ হয়েছে। যা ৩৩ কিলোমিটার পুরো প্রকল্পের ১০-১৫ ভাগ। ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে এ পর্যন্ত প্রায় ২শ’ আড়াইশ’ কোটি টাকার কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের পর থেকে ৪৩ লটের মধ্যে মাত্র ৮টি লটে (প্রতি লটে ৩৩০ মিটার) কাজ চলছে। ড্যাম্পিং করা জিওব্যাগ নদী ভাঙন ঠেকাতে পারলেও বাঁধের কাজ শেষ না হলে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে তা লড়াই করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে ঝড় বা ভারী জলোচ্ছ্বাস ও পূর্ণিমার জোয়ারের পানি বাড়লে বড় ক্ষতি হতে পারে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার