ঢাকা   শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | ২১ আশ্বিন ১৪৩১
আলোচনা সভায় বক্তারা

ভোটারদের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের প্রকাশ গাজীপুর নির্বাচনে

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২৬ মে ২০২৩, ১১:৩৩ পিএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

গাজীপুরে নির্বাচনের ফলাফল ভোটারদের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের প্রকাশ বলে মনে করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। তারা বলেন, মানুষের যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ সেটা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোটে প্রকাশ পেয়েছে। আজমত উল্লাহ নিশ্চয়ই একজন পরীক্ষিত রাজনৈতিক নেতা। কিন্তু আওয়ামী লীগের পাপের বোঝা তিনি আর বহন করতে পারছিলেন না। ফলে গাজীপুরের মানুষের, ভোটারের যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ সেটা প্রকাশ পেয়েছে ফলাফলের মাধ্যমে। জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল ‘রাজনৈতিক সংকট ও রাষ্ট্রের গতিপথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় নেতারা এ কথা বলেন।

গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এ সভায় বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

সভায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আজকের ভোর শুরু হয়েছে বিশাল এক নৌকা ডুবি দিয়ে। এই নৌকা ডুবি কয়েক মাস আগে হয়েছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন মানুষ ভোট চোর ভোট ডাকাতদের ক্ষমা করো না। রংপুরের লোকজন সে কথা রেখেছে। নৌকার প্রার্থীকে তারা চার নম্বরে নামিয়ে দিয়েছিল। তার প্রায় জামানত হারানোর মতো অবস্থায় গিয়েছিল। আর এবার গাজীপুরের ভোটারাও প্রধানমন্ত্রীর সে কথার যোগ্য প্রমাণ দিয়েছে।

সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের দেশে দর্শনের দরিদ্রতা খুবই বড় একটা দারিদ্র। নৈতিকতার সংকটটা খুবই বড় সংকট। আমাদের অধ্যাপকরা সিনেমার নায়িকার হাতে হাত ধরে বক্তৃতা করতে পারে। দরকার হলে আরও পাঁচ বছরের জন্য এই সরকারকে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হোক বলতে পারে। আমাদের সবচেয়ে বড় জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়। যেটা নৈতিকতার লড়াইয়ের জায়গা সেটা কোথায় গেছে সেটা তো দেখছি না আমি। নৈতিক লড়াই তো রাজনৈতিক দলই করবে। গণতন্ত্রের লড়াই, বিজয়ের জন্য লড়াই-সেই লড়াই রাজনৈতিক দলেরই করতে হবে।

মান্না বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের জেলা কমিটির নেতা বলেছেন আমি আপনার জন্য কবর রচনা করব। এরকম কথা আমরা প্রতিনিয়তই বলি। হয়তো তার কথাটা শুনতে খারাপ লেগেছে। সেইজন্য তার বিপক্ষে বক্তব্য রাখাই যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু একদম নতি স্বীকার করতে হবে.. সেটা কেমন কথা? এরকম ভুল আপনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রতিনিয়ত করেন। আপনি ৭৮ বছর বয়সী, তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে পদ্মাসেতু থেকে নদীতে ফেলে দিতে চান; সেটা তো মৃত্যুরই সামিল।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদকের বাসা থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদকের বাসা থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ফুলপুরে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয়কেন্দ্র চালু, এলাকা পরিদর্শনে ইউএনও

ফুলপুরে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয়কেন্দ্র চালু, এলাকা পরিদর্শনে ইউএনও

ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলায় যুগান্তর সাংবাদিক আহত

ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলায় যুগান্তর সাংবাদিক আহত

চবির অতীশ দীপঙ্কর হল কেবল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিদের জন্য নির্মিত হয়নি

চবির অতীশ দীপঙ্কর হল কেবল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিদের জন্য নির্মিত হয়নি

জয়শঙ্করের সফরে কি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি হবে?

জয়শঙ্করের সফরে কি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি হবে?

ধামরাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামীলীগ নেতা ২ দিনের রিমান্ডে

ধামরাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামীলীগ নেতা ২ দিনের রিমান্ডে

ছাত্র-জনতা হত্যাকারীকে গ্রেফতারে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছাত্র-জনতা হত্যাকারীকে গ্রেফতারে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঈশ্বরগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত

ঈশ্বরগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত

সখিপুরে একদিনে কুকুরের কামুড়ে ২১জন আহত, ১৪জন ঢাকায় রেফার্ড

সখিপুরে একদিনে কুকুরের কামুড়ে ২১জন আহত, ১৪জন ঢাকায় রেফার্ড

শিক্ষার বিরাজমান বৈষম্য দূর করতে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের কোন বিকল্প নেই- জাতীয় শিক্ষক ফোরাম

শিক্ষার বিরাজমান বৈষম্য দূর করতে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের কোন বিকল্প নেই- জাতীয় শিক্ষক ফোরাম

শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতি: উজানের উন্নতি, ৩ জনের প্রাণহানি, পানি বন্দি হাজারো পরিবার!

শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতি: উজানের উন্নতি, ৩ জনের প্রাণহানি, পানি বন্দি হাজারো পরিবার!

রংপুরে হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেফতার

রংপুরে হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেফতার

কুরস্কে একদিনে ইউক্রেনের ৩৫০ সেনা নিহত

কুরস্কে একদিনে ইউক্রেনের ৩৫০ সেনা নিহত

প্রবাসীরা বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা পাবেন : প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা

প্রবাসীরা বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা পাবেন : প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা

কুমিল্লায় মামলার তিন নেতা আসামি মৃত! বাদি বললেন নাম শনাক্তে নিশ্চিত হতে পারেন নি

কুমিল্লায় মামলার তিন নেতা আসামি মৃত! বাদি বললেন নাম শনাক্তে নিশ্চিত হতে পারেন নি

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হবে না- ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হবে না- ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ

কচুয়ায় মাদ্রাসা মাঠসহ অর্ধ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি, চরম দুর্ভোগ

কচুয়ায় মাদ্রাসা মাঠসহ অর্ধ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি, চরম দুর্ভোগ

ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের বরিশাল শাখার উদ্বোধন

ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের বরিশাল শাখার উদ্বোধন

ব্যাংক নোটের নতুন নকশা, বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবের ছবি

ব্যাংক নোটের নতুন নকশা, বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবের ছবি

সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক