৩৮ কাউন্সিলর প্রার্থীর নামে রয়েছে মামলা
৩০ মে ২০২৩, ১১:৩৬ পিএম | আপডেট: ৩১ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে এবার মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা চারজন হলেও কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে শতাধিক। এরই মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর ছাড়া অন্যকোন প্রার্থী না থাকায় ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এবার কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনেকে রয়েছেন মামলার আসামি। আবার প্রতারণার মামলায় জেলে বন্দি থেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এক প্রার্থী। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় হলফনামায় দেখাযায় মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে খায়রুজ্জামান লিটনের দুটি রাজনৈতিক মামলা থাকলেও তা বহু আগেই নিষ্পত্তি হয়েছে। অন্য তিনজনের মামলার কোন খবর নেই। অন্যদিকে ১১৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩৮ জন কেউ হত্যা মামলার আসামি, কেউ অস্ত্র মামলার, মাদক চোরাচালান, বোমাবাজি বা মারামারি মামলার আসামি। বর্তমানদের পাশপাশি নতুন প্রার্থীরাও এই তালিকায় আছে। এদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ ২০টি করে মামলা বর্তমানে চলমান।
রাজশাহী নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা কাউন্সিলর প্রার্থীদের হলফনামায় দেখা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে রাসিকের ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে ১১৭ জনের। এরমধ্যে ৩৮ জন বর্তমানে বিভিন্ন মামলার আসামি। এছাড়া আরো ১৮ জন আগে মামলার আসামি ছিলেন। তারা মামলা থেকে অব্যাহতি কিংবা খালাস পেয়েছেন। অন্যদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই।
এদিকে ১০টি সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ৪৬ জন। তাদের নামে কোন মামলা নেই। আগে দুজনের নামে মামলা হলেও তারা খালাস পেয়েছেন। ফারজানা হক নামে একজন নারী প্রার্থী বর্তমানে প্রতারণার মামলায় কারাগারে রয়েছেন। এবার সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ৪৪ শতাংশই বিভিন্ন মামলার আসামি।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ২০টি মামলা চলমান রয়েছে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. কামরুজ্জামানের। এরমধ্যে বিচারাধীন রয়েছে ১২টি মামলা। তদন্ত চলছে ৬ টির। তিনি ইতোমধ্যে তিনটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে থাকা বর্তমান মামলাগুলোর বেশিরভাগই বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের।
নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আফজাল হোসেনের মামলা আছে ১৪টি। আগের তিনটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুবেলের নামে মামলা আছে তিনটি। একটি হত্যা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন ২০১৮ সালে। নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আশরাফ হোসেন বাবু তিনটি মামলার আসামি। এরমধ্যে দুটি বিচারাধীন অন্যটি স্থগিত। একই ওয়ার্ডের প্রার্থী নুরুজ্জামান টিটোর নামে আছে হত্যাসহ দুটি মামলা। নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা চলছে শ্রম আদালতে। নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী জামায়াত নেতা আবদুস সামাদের মামলার সংখ্যা ছয়টি। এরমধ্যে দুটি বিচারাধীন, চারটির তদন্ত চলছে এবং চারটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা চলমান। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমানের নামেও আছে একটি মামলা। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু দুটি বিচারাধীন মামলার আসামি। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের রবিউল ইসলাম চারটি বিচারাধীন মামলার আসামি। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আলিফ আল মাহামুদ লুকেন তিনটি বিচারাধীন মামলার আসামি। আগে ছয়টি মামলায় খালাস পেয়েছেন। ১৫টি মামলা থেকে আগে খালাস পেলেও এখনও একটি মামলা চলমান ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রেজাউন নবী আল মামুনের। ১০ নম্বরের প্রার্থী রাজ্জাক আহমেদ রাজনের মামলার সংখ্যা দুটি।
নগরীর ১৬ নম্বরের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর বেলাল আহমেদের বিচারাধীন মামলা আছে দুটি। ৩০ নম্বরের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পিন্টুর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলা ১টি। ২৩ নম্বরের প্রার্থী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ১টি মামলার আসামি।
২ নম্বরের নোমানুল ইসলামের মামলা আছে দুটি। ২৬ নম্বরের মহিউদ্দিন বাবুর বিচারাধীন মামলা চারটি। তিনটিতে খালাস পেলেও এখনো দুটি মামলা চলছে ২৯ নম্বরের প্রার্থী মাসুদ রানার। আদালতে ৪ নম্বরের প্রার্থী রুহুল আমিনের বিচার চলছে ৮টি মামলা। ৩ নম্বরের প্রার্থী বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানের বিচারাধীন মামলা তিনটি। ৫ নম্বরের হামিদুল ইসলাম সুজনের বিচারাধীন মামলা দুটি। ২ নম্বরের প্রার্থী মুখলেসুর রহমানের মামলা ৭টি।
এছাড়া নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বিচারাধীন ৯টি মামলার আসামি। একই ওয়ার্ডের আনারুল ইসলাম ও একলাস হোসেন লাকি ১টি করে মামলার আসামি। ২৭ নম্বরের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আনোয়ারুল আমিন আযব ৩টি বিচারাধীন মামলার আসামি। ১১ নম্বরের প্রার্থী আবু বাক্কার কিনুর নামেও ১টি মামলা আছে। ১৪ নম্বরের মো. টুটুলের মামলার সংখ্যা ৩টি।
২৫ নম্বরের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টুর বিচারাধীন মামলা ৩টি। এছাড়া নগরীর ১৪ নম্বরের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও মুরাদ আলী একটি করে মামলার আসামি। ২৬ নম্বরের প্রার্থী আখতার আহম্মেদ বাচ্চু, ২৯ নম্বরের আবু জাফর বাবু, ৬ নম্বরের মো. বদিউজ্জামান, ২৬ নম্বরের মখলেসুর রহমান খলিল, ২৭ নম্বরের মো. মনিরুজ্জামান, ৮ নম্বরের জানে আলম খান জনি, ২৪ নম্বরের জাহাঙ্গীর আলম ও ১০ নম্বরের আমিনুল ইসলামেরও মামলা আছে ১টি করে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের ভেতরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বিএসএফের, দু’দিন ধরে উত্তেজনা চলছে
পঙ্গু হাসপাতালে আগুন, ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই নির্বাপণ
কত তারিখে কোথায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির জনসংযোগ
তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬, নিখোঁজ অনেকে
খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন : মির্জা ফখরুল
বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করলেন জামায়াত আমির
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫ শিশুসহ ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত
প্রত্যর্পণের চাপের মধ্যেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত
বগুড়ার টপ টেরর যুবলীগ নেতা আলহাজ শেখ গ্রেপ্তার
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস
সাতক্ষীরায় অপহৃত তরুণী উদ্ধার, যুবদল নেতাসহ গ্রেপ্তার দুই
পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইইউর সহায়তা চাইলেন- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশ সফর, দেশবাসীর নিকট দোয়া চাইলেন কায়কোবাদ
লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করা সেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া হাসপাতালের ফ্লোরে ও বারান্দায় ঠাঁই হচ্ছে রোগীদের
সাতসকালেই ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু নিয়ে দূষণের শীর্ষে ঢাকা
সচিবালয়ের গেটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া-পুলিশের ফাঁকা গুলি
ফ্রান্সের উগ্র ডানপন্থী রাজনীতিবিদ মারি লা পেনের মৃত্যু
দুদক কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার তিন ভুয়া কর্মকর্তা রিমান্ডে, হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা সোহাগ রিমান্ডে,
শিগগিরই চালের দাম কমে আসবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা