সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আইনজীবীরা
০৩ জুন ২০২৩, ০৯:৫৬ পিএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৩, ০১:০১ এএম
প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন সিনিয়র আইনজীবীরা। বিচার বিভাগ সম্পর্কে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে-এই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা।
গত ২৩ মে ‘একজন চীফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’ শীর্ষক বক্তব্য প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। তার এ বক্তব্য পরদিন ২৪ মে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর দৃষ্টিতে আনেন বর্ষীয়ান আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার এম.আমীর উল ইসলামের নেতৃত্বে বেশ ক’জন সিনিয়র আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগে বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন। প্রতিবেদনের অংশ বিশেষ পাঠ করে তিনি বলেন, সংক্ষুব্ধ! বাংলাদেশের জনগণ বিচার বিভাগের দিকে তাকিয়ে থাকে। মেয়র বলেছেন একজন চীফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম, মানবজমিনে এসেছে। গর্ব করে, যা দুর্ভাগ্যজনক।
প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে ব্যারিস্টার এম.আমীর-উল ইসলাম বলেন, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেশতা আসছে।...মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। যেখানে মুগুও দেয়ার সেটিও জানি। একজন চীফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে (বারের গত নির্বাচনে সাব কমিটির প্রধান ) মনে করতাম ওরে বাবা, কী জানি ফেরেশতা আসছে ! সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যেসব সুশীল আমাদের বুদ্ধি দিতে যাবেন, সেসব সুশীলকে আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেব। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এমন মন্তব্য করেন বলে উল্লেখ করেন ব্যারিস্টার এম.আমীর-উল ইসলাম। পরে তিনি প্রতিবেদনের পুরোটা পড়তে শুরু করেন। তখন
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা একটু দেখি। এখন কোর্টের কাজ করি। আমীর-উল ইসলাম জানতে চান, বিষয়টি কি ‘ফুল কোর্টে আসবে?’ তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা পড়ি, পড়ে দেখি। কী করতে হবে না হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে না?’
এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী কায়সার কামাল, সরকারপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন , সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজউদ্দিন ফকীরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আদালত থেকে বেরিয়ে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য আমীর-উল ইসলাম বলেছিলেন, এটি বড় রকমের অবক্ষয়। এ জন্য আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়েছিলাম। আদালত বলেছেন, তাঁরা দেখবেন। আমরা প্রত্যাশা করছি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এটি দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এই বক্তব্যে বিচার বিভাগ শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষ মন ক্ষুন্ন হয়েছে। সারা দেশের মানুষ বিচারব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে থাকে। বিচারকদের কথা শুনলে গ্রামের একজন চাষীও মনে করেন, সেখানে ন্যায়বিচার পাব।’
এ ঘটনার পর ১০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু আপিল বিভাগ থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী একটি সেমিনারে যোগ দিতে চলে যান দক্ষিণ কোরিয়া। এ সপ্তায় তাঁর ফিরে আসার কথা। সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো: জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা আশায় আছি। দেখি তিনি (প্রধান বিচারপতি) কী করেন !
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরাজিত শক্তি এবং সুবিধাবাদীরা সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে লিপ্ত- বিমানবন্দরে সংবর্ধনা কালে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মুশাহীদ
নোয়াখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ‘জুলুম-নির্যাতন করে আস্তাকুঁড়ে চলে গেছেন কাদের মির্জা’
পুলিশের সামনে হামলা বিএনপি ও যুবদল নেতা আহত
গাজীপুরে ছুটির দিনেও ২৫ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা জাতিসংঘে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা
তিন জেলাসহ সাত বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি
দুই দিনেই পরাজয়ের ধ্বনি শুনছে বাংলাদেশ
ছাত্রআন্দোলনে শহীদ ছাত্রদলনেতা ওয়াসিমের কবর জিয়ারতে কেন্দ্রীয় নেতারা
অনেক সচিবসহ কর্মকর্তারা নাশকতা করার চেষ্টা করছে:রিজভী
রাজধানীতে ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ফিরে আসছে: উপদেষ্টা নাহিদ
কমলা হ্যারিস জিতলে বিনিয়োগ তুলে নেয়ার হুমকি প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়ারেন বাফেটও: ইলন মাস্ক
বান্দরবানের রুমায় অস্ত্র গোলাবারুদ জ্যামার উদ্ধার
প্রথমবারের মতো ছুটির দিনেও চলছে মেট্রো
বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ ও বিচারের দাবীতে খুলনায় মানববন্ধন
শেখ হাসিনার দলবলকে আগলে রেখেছে বর্তমান প্রশাসন: সেলিমা রহমান
রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ জনে
অনতিবিলম্বে ভিসি নিয়োগ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী ইবি শিক্ষার্থীদের