মোহাম্মদপুরের কিশোর গ্যাং আতঙ্ক
০৮ জুন ২০২৩, ১১:৩০ পিএম | আপডেট: ০৯ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আধিপত্য বিস্তারে ব্যবহার করা হচ্ছে কিশোর গ্যাংদের। তুচ্ছ ঘটনাকেও কেন্দ্র করে এরা নিজেদের শক্তি জাহির করতে নানা ধরনের অপরাধে জড়াচ্ছে। ছোট ছোট ঘটনা দিয়ে শুরু করে এক সময় নিজের অজান্তেই নাম লেখায় আন্ডারওয়াল্ডে।
কিশোরগ্যাংয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, এলাকায় অহরহ ঘটছে ছিনতাই, চাঁদাবাজী, দিনে-দুপুরে জমি বা স্থাাপনা দখল ও সিনিয়র-জুনিয়রের দ্ব›েদ্ব মারামারি। স্কুল পড়–য়া কিশোররাও বিভিন্ন গণ পরিবহন থেকে চাঁদা তুলছে। এমনকি খুনাখুনিও হচ্ছে। গত এপ্রিল মাসে লেগুনার লাইনম্যান মোহাম্মদ নবী হোসেনের খুনের ঘটনায়ও কিশোর গ্যাং চক্র জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
গণ পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, গোটা মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন গণ পরিবহন থেকে চাঁদা তুলছে কিশোর গ্যাংরা। তাদের চাহিদা মতো চাঁদা না দিলেই হামলা, ভাংচুরসহ নানা হুমকি ধমকি চলে। এছাড়া ফুটপাতের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অন্তত কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়।
গোয়েন্দাসূত্র মতে, মোহাম্মদপুর এলাকায় অন্তত সাতটি কিশোর গ্যাং সক্রিয়। এর মধ্যে রয়েছে-গ্রæপ টোয়েন্টিফাইভ, লাড়া দে, লেভেল হাই, দেখে ল-চিনে ল, কোপাইয়া দে ও ঝিরঝির গ্রæপ। ওই সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন সময় মোহাম্মদপুর থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। গত জুনে বিভিন্ন গ্যাংয়ের ২২ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন গ্রæপের সক্রিয় সদস্য। তারা পড়ালেখা করে না। এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত কয়েকজন খুবই দুর্ধর্ষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা তাদের শেল্টারদাতা। ভুক্তভোগীরা জানান, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, জমিদখল আর কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজীর নিয়ন্ত্রণ করছে স্থাানীয় সন্ত্রাসী বাদল ওরফে কিলার বাদল। যার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যাসহ একাধিক মামলা। বাদলের এই অপরাধ সা¤্রাজ্যের সাথে আছে কাইল্যা সুমন, তাজেল গাজী, হালিম, গ্যারেজ সোহেল, লটারি জসিম, ঘাট বাবু, ক্যাশিয়ার শাহজাহানসহ আরো অনেকে।
এব্যাপারে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমাদের কাছে বেশ কিছু গোয়েন্দা তথ্য আছে যে, মোহাম্মদপুরে অস্ত্রধারীরা তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপরাধ তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের ধরার জন্য আমরা গোয়েন্দা নজরদারী চালাচ্ছি।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের ডিসি মো: ফারুক হোসেন বলেন, সন্ত্রাসী বাদলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে পলাতক রয়েছে। তাকে ও তার বাহিনীর সদস্যদের ধরার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারীর পরও সন্ত্রাসীদের অপরাধ থেমে নেই।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড
সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড
শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই, জবাব তাকে দিতেই হবে : মির্জা ফখরুল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে