আমলকি চাষে কৃষকের মুখে হাসি
০৯ জুন ২০২৩, ১১:২৫ পিএম | আপডেট: ১০ জুন ২০২৩, ১২:০২ এএম
সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলা (উত্তর) ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী গারো পাহাড়ি অঞ্চলে চাষ হচ্ছে ভেষজ আমলকি ফল। আমলকির জনপ্রিয়তা বহুদিনের। ক্রমেই বাড়ছে চাহিদা। হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে দেদার। ভাল দাম পাওয়ায় বেজায় খুশি কৃষকরা। বিক্রিতে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। ভাগ্য খুলে গেছে তাদের। স্থানীয় কৃষি বিভাগ আমলকি চাষে সাহায্য-সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে এ পর্যায়ে এনেছেন, দাবি কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের।
আমলকি পাহাড়ি ফল। ইতোপূর্বে এমনিতেই গারো পাহাড়ে জন্মাতো বলে শতবর্ষী আমলকি চাষিরা জানান, ফলটির রোগ নিরাময় ক্ষমতা না থাকলেও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। রুচি বর্ধক ফল হিসেবে সমাদৃত। অ্যাসিডিটিতে এক গ্লাস দুধ বা পানির সাথে আমলকির গুড়া চিনি মিশিয়ে দৈনিক ২ বার খেলে ভাল হয়ে যায়। ভেষজ হিসেবে এর জনপ্রিয়তা পুরোনো। রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক ফল। হাট বাজারে প্রচুর আমলকি বিকিকিনি হচ্ছে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ভরপুর। রয়েছে ডায়েটারী ফাইভার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ক্যারোটিন। তাই আমলকির এতো চাহিদা। চুলের পরিচর্যায়, গোড়া মজবুতিকরণ, চুল বৃদ্ধি, খুশকি দূর এবং চুল পাকা দূর করে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্যতা ও পাইলস ছাড়াও বদহজম দূর করে। সর্দি-কাশি, লিউকেরিয়া, স্কার্ভি রোগ নিরাময় করে। ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়, কালো দাগ দূর করে প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে। ফাইটো-কেমিক্যাল থাকায় চোখের প্রদাহ, দৃষ্টিশক্তি বাড়ানো, চুলকানী ভাল হয়। এটি খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর, মাড়ি সুস্থ, মানসিক চাপ কমায়, বুক ধড়পর করে না, ঝুঁকি থাকে না হৃদরোগের। কফ-কাশি, অনিদ্রা, বমি, ব্যথা দূর হয়। শরীর ঠা-া রাখে, অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট কমায়, পেশি মজবুত করে, কার্যক্ষমতা বাড়ায়। আমলকি অনেক উপকারী ভেষজ ফল। কৃষকরাও ঝুঁকেছেন আমলকি চাষে। ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় তারা দারুণ খুশি। তাই দ্রুত বাড়ছে চাষির সংখ্যা। বাড়ছে কৃষকদের আগ্রহ। হচ্ছে লাভবান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার দৈনিক ইনকিলাকে বলেন, কৃষি বিভাগের সাহায্য-সহযোগীতায় পাহাড়ি অঞ্চলে আমলকির চাষাচাদ হচ্ছে। কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন। ফলে অন্যান্য কৃষকরা উদ্বোদ্ধ হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমলকি পাহড়ি ফল। ইতোপূর্বে গারো পাহাড়ে এমনিতেই এ ফলের গাছ ছিল। এ ফল চাষে এই এলাকা উপযোগী। সুতরাং ব্যাপক চাষ করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশ-বিদেশে রফতানীতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব এবং বেকার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন বাইডেনের
পাবর্ত্য চট্টগ্রামে দুর্গম পাহাড়ি সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন সেনা প্রধানের
নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
আম্মু তোমাকেও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে
দেশের মাজার রক্ষা করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য চীন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
ক্ষোভ বাড়ছে ভারতে
ভারতীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন ড. ইউনূস
সোনারগাঁওয়ে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা, আহত ৮
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চায় পবিপ্রবির গ্রাজুয়েটবৃন্দ
হামজাকে পাওয়ার আরও কাছে বাংলাদেশ
বান্দরবানে জামাতুল আনসারের ৩১ সদস্য কে ৪ মামলায় জামিন
সাগরে লঘুচাপ, চার সমুদ্রবন্দরে বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
সকল অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে -চকরিয়ায় নারী সমাবেশে বক্তারা
সেনা কর্মকর্তা হত্যাকারীদের অবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি পঞ্চগড়ে
আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
এবার প্রকাশ্যে এলো চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
জাতিসংঘ মহাসচিবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ড. ইউনূস
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি ছাড়াল ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা