ঢাকা   বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০ আশ্বিন ১৪৩১
নৌ-অধিদফতরে দুর্নীতি গিয়াসের ঘুসের হাট

দায়মুক্তি দিচ্ছে দুদক?

Daily Inqilab সাঈদ আহমেদ

১০ জুন ২০২৩, ১১:৩১ পিএম | আপডেট: ১১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

চাকরিতে যোগদান চতুর্থ গ্রেডের নটিক্যাল সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার হিসেবে। যোগদানের তারিখ: ১১ নভেম্বর ২০১২ খ্রি:। যখন যোগদান করেন তখন তার বয়স হয়ে যায় ৪২ বছর। নৌ-পরিবহন অধিদফতরে মাত্র ১৩ বছরের চাকরি জীবনে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। ঢাকায়-গ্রামের বাড়ি বিপুল বিত্তবৈভব। রয়েছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসাসহ একাধিক বেনামী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। দেশের বাইরেও করেছেন সম্পদ। ক্যাপ্টেনশিপ পরীক্ষায় চুক্তিভিত্তিক পাস করিয়ে দেয়া,জাহাজের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির মাস্টারশিপ এবং ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা, তৃতীয় শ্রেণির মাস্টারশিপ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং সার্টিফিকেট ইস্যুসহ প্রতিষ্ঠানের নানা অনৈতিক কর্মকা-ের মাধ্যমে তিনি হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা । স্বীয় অনুগত প্রকৌশলী রাশেদী,আব্বাস,সাগর,কমলেশ ও বাট্টু তুষারের মাধ্যমে তিনি এ ঘুষ নেন। অভিযোগ রয়েছে, এই কর্মকর্তা নৌপরিবহন অধিদফতরে বসান ঘুষের হাট। বহুল বিতর্কিত এই কর্মকর্তা আর কেউ নন। দুর্নীতিপ্রবণ খাত হিসেবে চিহ্নিত নৌ-পরিবহন অধিদফতরের চীফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার ওপর অনুসন্ধান চালায় দীর্ঘ দিন। তবে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে তাকে দায়মুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের।

সূত্রটি জানায়, দায়সারা অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দায়মুক্তি প্রদানের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায় প্রতিবেদনে। সম্পদ বিবরণীতে নৌ-পরিবহন অধিদফতরের এই কর্মকর্তা কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করলেও দায়ের হয়নি মামলা। উপরন্তু গোপনকৃত অর্থ-সম্পদের উৎস সম্পর্কে গাওয়া হয়েছে সাফাই। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রত্যায়নপত্র আমলে নিয়ে তাকে দায়মুক্তির সুপারিশ করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, নৌ পরিবহন অধিদফতরের ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ছিলেন নটিক্যাল সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার। বর্তমানে রয়েছেন চীফ নটিক্যাল সার্ভেয়ারের চলতি দায়িত্বে। কন্ট্রোলার অব মেরিটাইম এডুকেশন’র চলতি দায়িত্বও পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে মাস্টারশিপ ও ক্যাপ্টেন শিপ পরীক্ষায় চুক্তিতে পাস করিয়ে দেয়ার ছিলো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ। কিন্তু ঘুষ লেনদেনের কোনো প্রমাণ না থাকায় দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে পাশ করার পর জাহাজে চাকরি (সিডিসি নং-সিও৩৯৬৯) নেন ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। নৌপরিবহন অধিদফতরে চাকরি পান ২০১২ সালে। দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি নিজ নামে ৪ কোটি ৮৮ লাখ ১১ হাজার ৬৮০ টাকার স্থাবর সম্পত্তি দেখিয়েছেন। অস্থাবর সম্পত্তি দেখিয়েছেন ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫ টাকা। মোট সম্পদ দেখান ৭ কোটি ২ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৫ টাকা।

১১/০৬/১৯৯২ সাল থেকে ২৩/০৬/২০১২ সাল পর্যন্ত ২০ বছর আয়ের উৎস দেখিয়েছেন অন্তত: ২১টি বৈদেশিক বাণিজ্যিক ট্যাংকার জাহাজে বিভিন্ন পদে চাকরিলব্ধ আয়। এখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় মোট আয় দেখিয়েছেন ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৬ টাকা। তবে তার সমমর্যাদার মেরিন অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের পক্ষে এই পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা অসম্ভব। মূলত: কর সুবিধা নিতে এবং ঘুষের টাকা ‘বৈধ’ করতে তিনি বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় দেখিয়েছেন । দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দাখিল করেন। দায়মুক্তি পেতে তিনি দাখিল করেন পরোক্ষভাবে তারই অধীনস্থ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র। কয়েকটি ক্রু ম্যানেজমেন্ট শিপিং এজেন্সি থেকে এসব ‘প্রত্যয়নপত্র’ সংগ্রহ করেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদে অবস্থিত ‘হক অ্যান্ড সন্স লিমিটেড’, ‘রিলায়েন্স শিপিং সার্ভিস’,‘রাইজিং সান করপোরেশন’। তবে তিনি এমন সব জাহাজ কোম্পানিতে চাকরির তথ্য দিয়েছেন তার অনেকগুলোরই বাস্তবিক কোনো অস্তিত্ব নেই। আবার এমন জাহাজের নামও দিয়েছেন সেগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও কখনোই তিনি তাতে চাকরি করেন নি। এছাড়া বৈদেশিক কোন জাহাজ কোম্পানি থেকে কোন্ অ্যাকাউন্টে কত টাকা বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে-তারও কোনো রেকর্ড দাখিল করেন নি সম্পদ বিবরণীতে। কিছু বৈদেশিক মুদ্রা এলেও তার অধিকাংশই হচ্ছে তার নিকটাত্মীয়ের নামে হুন্ডি করে পাঠানো টাকা। পরবর্তীতে ‘বৈদেশিক মুদ্রা’ হিসেবে নিজ অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে নিজের পাঠানা টাকা।

খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক কোনো ট্যাঙ্কার জাহাজ কোম্পানি কোনো প্রমাণপত্র ছাড়াই এমপ্লয়ীকে বেতন বাবদ থোকা থোকা নগদ ডলার হাতে গুঁজে দিয়েছে-এমন দাবি অবিশ্বাস্য ও হাস্যকর।
তদুপরি অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা রুজুর পরিবর্তে তার পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, ‘গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর থানাধীন লোহাইঢ় গ্রামের পৈত্রিক ভিটায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত একটি দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। ক্যাপ্টেন গিয়াস সম্পদ বিবরণীতে এর নির্মাণ ব্যয় দেখিয়েছেন ৩০ লাখ ৯,২৯০ টাকা। পিডব্লিউডি’র প্রকৌশলী দ্বারা বাড়ি পরিমাপের পর মূল্য পাওয়া গেছে ৫৯ লাখ ৪৩ হাজার ১১২ টাকা। অর্থাৎ ২৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকার তথ্য গোপন করা হলেও অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বরং সাফাই গাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বাড়িটি ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদের ভোগদখলে আছেন মর্মে বিবেচনা করা হলেও তার সম্পদের পরিমানের চেয়ে আয়ের উৎসের পরিমাণ বেশি মর্মে দেখা যায়। যাতে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায় নি। অভিযোগটির অনুসন্ধানকালে ক্যাপ্টেন মো: গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, স্ত্রী/পুত্র/কন্যার নামে স্থাবর অবস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য/ রেকর্ডপত্রাদি সংগ্রহের নিমিত্তে ৫৯টি সরকারি/ বেসরকারি ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তরে নোটিশ প্রেরণ করা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত তথ্যে ক্যাপ্টেন মো: গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী সাজেদা আহমেদ এবং পুত্র-কন্যার নামে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদের বাইরে আর কোনোরূপ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্যাদি পাওয়া যায় নি।’

অথচ চাকরিতে যোগদান করেই তিনি ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোডে ইস্টার্ণ হাউজিং কোম্পানি (ধানমন্ডিস্থ ১০৫/সি, রোড-২৭, ইস্টার্ণ ডালিয়া) থেকে যে ফ্ল্যাট কিনেছেন সেটির মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। সম্পদ বিবরণীতে এ ফ্ল্যাটের প্রকৃত মূল্য এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ইস্টার্ণ হাউজিংকে মূল্য পরিশোধে গিয়াসউদ্দিন একবছরে তার অ্যাকাউন্টে যে লেনদেন করেছেন সেটি অস্বাভাবিক। কিন্তু ওই ফ্ল্যাটের বিপরীতে পরিশোধিত অর্থের স্পষ্ট কোনো উৎস তিনি উল্লেখ করেন নি।

দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২০১২-২০২১ সাল পর্যন্ত নৌপরিবহন অধিদফতরে চাকরি করে বেতনভাতাদি বাবদ দেখিয়েছেন ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকার কিছু বেশি। তবে মার্চেন্ট মেরিনার পরীক্ষা সম্মানী দেখিয়েছেন ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি। মাস্টার ড্রাইভারদের পরীক্ষা সম্মানী বাবদ দেখিয়েছেন ৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ভ্রমণ ব্যয় বাবদ পেয়েছেন ১৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার বেশি। এভাবে নৌপরিবহন অধিদফতর থেকে তার মোট আয় দেখিয়েছেন ৩ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয় ২০ বছর বৈদেশিক বাণিজ্যিক জাহাজে চাকরিলব্ধ আয়। সব মিলিয়ে তার কর্মকালিন আয় দেখানো হয় ১২ কোটি ৫৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৯৫ টাকা। এ টাকার মধ্যে স্ত্রী সাজেদা আহমেদের নামে কিনেছেন ৯ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার টাকার বেশি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি।

দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে আশ্রয় নেয়া হয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকির। এখানে অস্বাভাবিক রকম বেশি ‘আয়’ দেখিয়েছেন তিনি। সম্পদ বিবরণীতে তিনি দাবি করেছেন, সমুদ্র রাজ-এ তিনি ডেক অফিসার হিসেবে চাকরি করেছেন। এ দাবি সত্যি হলেও এখানে তিনি ১৯ হাজার ৯৫০ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত দেখিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি এ জাহাজে কখনোই চাকরি করেন নি। ‘এমভি সমুদ্র স¤্রাট’ এ তিনি চাকরি করেন জুনিয়র অফিসার হিসেবে। এখানে তিনি অতিরিক্ত ২৭ হাজার ৩শ’ ডলার বেশি দেখান। ‘এমটি পেট্টো কনকর্ড’ চাকরি পদবি দেখিয়েছেন জুনিয়র অফিসার। এখানে ৬৪ হাজার ৪শ’ ডলার অতিরিক্ত দেখিয়েছেন। ‘এমটি পেট্টো রেঞ্জার’র এ তিনি জুনিয়র অফিসার হিসেবে ১১ মাসে আয় করেন ৩শ’ ডলার। কিন্তু এখানে কাগজপত্রে দেখানো হয় ৮ গুণ বেশি। ‘ এমটি পেট্টো স্ক্যাম’ থেকে আয় দেখিয়েছেন ৯ গুণ বেশি। ‘এমটি পেট্টো শামস’ এ থেকে অতিরিক্ত ৩৮ হাজার ৪শ‘ মার্কিন ডলার আয়ের কাগজপত্র দাখিল করেছেন। ‘এমটি ওশান হাক’ থেকৈ অতিরিক্ত আয় দেখিয়েছেন ৬শ‘ মার্কিন ডলার। একই জাহাজে দ্বিতীয়বারের প্রতি মাসে অতিরিক্ত আয় দেখিয়েছেন ৩ হাজার মার্কিন ডলার। ১২ মাসে অতিরিক্ত আয় দেখিয়েছেন ৩৬ হাজার ডলার। ‘এমটি ওশান স্কিল’ র ৮ মাসের চাকরিতে অতিরিক্ত ৬৮ হাজার ৮শ’ মার্কিন ডলার আয় বেশি দেখিয়েছেন। ‘এমটি ওশান সানরাইজ’ এ তিনি চীফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মর্মে তথ্য দিয়েছেন। এখানে তিনি ৫৩ হাজার ৫৫০ মার্কিন ডলার আয় অতিরিক্ত দেখিয়েছেন। ‘এমটি অঞ্জনি‘তে অতিরিক্ত আয় দেখান ১৬ হাজার ৫শ’ মার্কিন ডলার। ‘এমটি বাদরাইনি’তে ১০ হাজার অতিরিক্ত আয় দেখিয়েছেন। ‘এমটি পারগিয়াতি’তে ৪৯ হাজার ৬শ’ ডলার বেশি বেতন দেখিয়েছেন। ‘এমটি নারা’য় বাড়তি আয় দেখিয়েছেন ৫২ হাজার ৫শ‘ ডলার। ‘এমটি চ্যালেঞ্জ পয়েন্ট’ এ ৪২ হাজার, ‘এমটি ঈগল শার্লট’ এ ২২ হাজার ২০৪ ডলার, ‘এমটি ট্রিজ ট্রেডদুবাই’ এ ৫৯ হাজার ৫৪১ ডলার, একই জাহাজে দ্বিতীয় মেয়াদে ৫৪ হাজার ৫৭৫ ডলার অতিরিক্ত আয়ের তথ্য দেন। ‘এমটি এসপি বার্লিন’ এ অতিরিক্ত আয় দেখিয়েছেন ২১,৯১৫ ডলার,‘ এমটি ফুজি গ্যালাক্সি’ এ বাড়তি দেখান ১,৬৯,৪৮ ডলার, ‘এমটি অ্যামাজি গ্যালাক্সি’ ১৬,৪৭১.৫ ডলার। ‘এমটি পেট্টো কনকর্ড,’‘এমটি পেট্টোস্ক্যাম’নামক জাহাজে তিনি কখনোই চাকরি করেননি। এমন বহু অসঙ্গতির মীমাংসা না করেই দাখিল করা হয়েছে অনুসন্ধান প্রতিবেদন। প্রায় ৩ বছর অনুসন্ধান শেষে গত ২৮ নভেম্বর ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বিষয়ক প্রতিবেদনটি (স্মারক নং-০০.০১.০০০০.৫০২.০১.০৮৯.১৯-৩১৩৩) জমা দেন উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। ৩০ নভেম্বর গিয়াসউদ্দিন আহমেদ কমিশন বরাবর ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন দেন। এখন জোর তদবির চলছে কমিশন থেকে প্রতিবেদনটি অনুমোদন করানো তথা দায়মুক্তি দেয়ার। জানাগেছে, এ বাবদ ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদের বরাদ্দ অন্তত: ৩ কোটি টাকা। এ বিষয়ে গতকাল শনিবার যোগাযোগ করা হয় ক্যাপ্টেন মো: গিয়াসউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, এখনও অনুসন্ধান চলছে। বিষয়টি কি পর্যায়ে রয়েছে আমি বলতে পারবো না।

এদিকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের বৈধ কোনো উৎস দেখাতে না পারলে কমিশন নিশ্চয়ই সেটি বিবেচনায় নেবেন। এখানে লবিং-তদবিরের কোনো সুযোগ নেই-মর্মে মন্তব্য করেছেন দুদক সচিব মো: মাহবুব হোসেন।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

আনচেলত্তির মাইলফলক ম্যাচ জয়ে রাঙাল রিয়াল

আনচেলত্তির মাইলফলক ম্যাচ জয়ে রাঙাল রিয়াল

৩০ পেরোনোর আগেই ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন জিদানপুত্র

৩০ পেরোনোর আগেই ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন জিদানপুত্র

ব্রুকের সেঞ্চুরিতে অজিদের জয়রথ থামিয়ে টিকে থাকল ইংল্যান্ড

ব্রুকের সেঞ্চুরিতে অজিদের জয়রথ থামিয়ে টিকে থাকল ইংল্যান্ড

বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন বাইডেনের

বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন বাইডেনের

পাবর্ত্য চট্টগ্রামে দুর্গম পাহাড়ি সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন সেনা প্রধানের

পাবর্ত্য চট্টগ্রামে দুর্গম পাহাড়ি সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন সেনা প্রধানের

নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

আম্মু তোমাকেও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

আম্মু তোমাকেও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

দেশের মাজার রক্ষা করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

দেশের মাজার রক্ষা করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য চীন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য চীন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

ক্ষোভ বাড়ছে ভারতে

ক্ষোভ বাড়ছে ভারতে

ভারতীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন ড. ইউনূস

ভারতীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন ড. ইউনূস

সোনারগাঁওয়ে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা, আহত ৮

সোনারগাঁওয়ে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা, আহত ৮

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চায় পবিপ্রবির গ্রাজুয়েটবৃন্দ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চায় পবিপ্রবির গ্রাজুয়েটবৃন্দ

হামজাকে পাওয়ার আরও কাছে বাংলাদেশ

হামজাকে পাওয়ার আরও কাছে বাংলাদেশ

বান্দরবানে জামাতুল আনসারের ৩১ সদস্য কে ৪ মামলায় জামিন

বান্দরবানে জামাতুল আনসারের ৩১ সদস্য কে ৪ মামলায় জামিন

সাগরে লঘুচাপ, চার সমুদ্রবন্দরে বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত

সাগরে লঘুচাপ, চার সমুদ্রবন্দরে বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত

সকল অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে -চকরিয়ায় নারী সমাবেশে বক্তারা

সকল অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে -চকরিয়ায় নারী সমাবেশে বক্তারা

সেনা কর্মকর্তা হত্যাকারীদের অবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে

সেনা কর্মকর্তা হত্যাকারীদের অবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে

অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি পঞ্চগড়ে

অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি পঞ্চগড়ে

আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার