জাবিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস, স্নাতক ফাইনালের খাতা বাতিল
১২ জুন ২০২৩, ১১:২৪ পিএম | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রসায়ন বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার একটি কোর্সের প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁস করে পরীক্ষার কক্ষে সেই উত্তরপত্র নিয়ে প্রবেশ করার অভিযোগে খাতা বাতিল করা হয়েছে জাহিদ মোস্তফা নামে এক শিক্ষার্থীর। গত রোববার টপিকস ইন বায়োকেমিষ্ট্রি নামে ৪৩৩ নম্বর কোর্সের পরীক্ষাচলাকালীন এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রসায়ন ভবনের ২০৭ নম্বর রুমে দুপুর দুইটায় পরীক্ষা শুরুর চার-পাঁচ মিনিট পর কোর্স শিক্ষক অধ্যাপক নাসরিন জুয়েনা অভিযুক্ত জাহিদের রোল নম্বর ধরে তাকে সন্দেহের এক পর্যায়ে তার কাছে সম্পূর্ণ লিখিত উত্তরপত্রসহ একটি উত্তরপত্র পান। পরে পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার উত্তরপত্র বাতিল করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, প্রফেসর জুয়েনা ৪র্থ বর্ষের (৪৭ ব্যাচের) দুইটি কোর্স নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রথমটিতে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীর ইনকোর্সে খুব কম নম্বর পেলেও লিখিত অংশে অনেক বেশি নম্বর পাওয়ায় দ্বিতীয় পরীক্ষায় ওই পরীক্ষার্থীর বিষয়টি যাচাই করার একপর্যায়ে সম্পূর্ণ লিখিত উল্টরপত্রসহ তিনি নতুন আরেকটি খাতা আবিষ্কার করেন।
এ বিষয়ে প্রফেসর জুয়েনা বলেন, ‹তার কাছে নকল পাওয়া গেছে ও পরীক্ষার খাতা এক্সপেল হওয়ার মত যথেষ্ট এভিডেন্স পাওয়া গেছে। তখন আমরা খাতা বাতিল করে চেয়ারম্যানের কাছে রিপোর্ট করে পাঠিয়ে দিয়েছি।›
প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ফাঁসের বিষয়ে এমন ঘটনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আরজু মিয়া বলেন, ‹আমি শুনছি ব্যাপারটা। এটা হয়ত কোন কারণে লিক হয়ে গেছে। ছেলেটা কিভাবে কোথথেকে যে পাইছে এটা তা ইনকোয়ারী না করে বলতে পারবো না। পরীক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে যতটুকু সিকিউরিটি ম্যানটেনন করার করেছি। কিন্তু সে কিভাবে প্রশ্ন পাইছে বা পাইছে কিনা এজন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যান মাহবুব কবির স্যারকে বলা হয়েছে ইনকোয়ারী করার জন্য কমিটি করে দিতে।
এদিকে, ফাইনাল পরীক্ষার্থী একাধিক পরীক্ষার্থী নাম না প্রকাশ শর্তে জানান, ‹পরীক্ষার হলে বাইরে থেকে উত্তরপত্রে সব প্রশ্নের উত্তর লিখে প্রবেশ করার মাধ্যমে বলা যায় সে এর আগেও এভাবে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এর দায় কোনোভাবেই পরীক্ষা কমিটির এড়ানোর সুযোগ নেই। চূড়ান্ত পরীক্ষায় এ অবস্থা কোনভাবেই কাম্য নয়। তাই এই কোর্সের পরীক্ষা বাতিল করে নতুন প্রশ্নপত্রে আবার পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। অভিযুক্ত জাহিদ মোস্তফাকে কল করা হলেও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, তিন সদস্যবিশিষ্ট চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটিতে অন্য দুজন হলেন একই বিভাগের প্রফেসর ডিএম শফিকুল ইসলাম ও প্রফেসর তাহমিনা হক।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
বিহারীরা কেমন আছে
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার
মোরেলগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত