মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তাদের পোশাক নিয়ে নতুন নির্দেশনা
২৪ জুন ২০২৩, ১১:০৬ পিএম | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পোশাক ও মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর ওপর নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফরমাল কোনও অনুষ্ঠান এবং মিডিয়ায় কথা বলার সময়সহ আনুষ্ঠানিক পোশাক এবং জনসন্মুখে চলাফেরার সময় মানানসই পোশাক পরিধানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সম্প্রতি বিভাগীয় কমিশনারদের সমন্বয় সভায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সভাপতিত্ব সম্প্রতি বিভাগীয় কমিশনার মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২০১৮ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োজিত নারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট ড্রেসকোড করাছিলো। এ বিষয়ে মতামত নিতে একটি জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) উইমেন নেটওয়ার্ক। এটি মহিলা কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংগঠন। জরিপের বিষয়ে ২১টি প্রশ্ন তৈরি করে ১ হাজার ২৪৫ নারী ও পুরুষ কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। এ জরিপের ফল বিশ্লেষণ করে পরে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বিসিএস পুরুষ অফিসারদের জন্য পোশাক নির্ধারণ করা আছে। এর মধ্যে ফুলশার্ট ইন করে প্যান্ট ও জুতা-মোজা দাপ্তরিক কাজের নির্ধারিত পোশাক। যদিও গ্রীষ্মকালে পুরুষের হাফহাতা শার্টের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে বলা না হলেও তা অফিসিয়াল পোশাক হিসেবে গ্রহণযোগ্য ও বিবেচিত। নারীদের ড্রেসকোডের ব্যাপারে জরিপে অংশগ্রহণ করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ের পুরুষ ও মহিলা কর্মকর্তা। এর মধ্যে রয়েছে মধ্যম পর্যায়ের ৭০ শতাংশ মহিলা ও ৩০ শতাংশ পুরুষ কর্মকর্তা এবং জুনিয়র পর্যায়ের ৬৫ শতাংশ মহিলা ও ৩৫ শতাংশ পুরুষ কর্মকর্তা।
সভায় বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিভাগ এবং মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে গুরুতর অপরাধ সংক্রান্ত মামলা ৩৪৮টি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে নির্দেশনা দেয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের বলা হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে জেলা টাস্কফোর্স পরিচালিত চোরাচালানবিরোধী অভিযান ৩৪টি হ্রাস পেয়েছে। যেসব জেলায় অভিযান কম হয়েছে সেখানে জেলা প্রশাসকদের চোরাচালানবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযান জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে দেয়া হয়। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অভিযান জোরদার করতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণকে নির্দেশনা দিতে বিভাগীয় কমিশনারদের বলা হয়। গত এপ্রিল মাসের তুলনায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সংখ্যা ৫০৫টি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মামলার সংখ্যা ৩৪৬টি হ্রাস পেয়েছে। যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক প্রয়োগসিদ্ধভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখা এবং মোবাইল কোর্টের তথ্য ই-কোর্ট সিস্টেমে প্রত্যেক মাসের ৫ তারিখের মধ্যে আবশ্যিকভাবে আপলোড করতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণকে নির্দেশনা দিতে বলা হয়।
ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮ এর আওতায় দায়েরকৃত মামলাগুলো পর্যালোচনা করা হয়। গত এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা ৩ হাজার ৫৩৬টি বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট আদালতে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৩০৯টি বেড়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর আওতায় ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়েরকৃত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলো ২ হাজার ৫৪২টি এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১ হাজার ৩৩৭ মামলা অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব মামলা অতিদ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেয়া হয়। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টের অভিযান এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে ৬টি বৃদ্ধি পেয়েছে, মামলার সংখ্যা ৫টি বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থদ-িত আসামির সংখ্যা ৩ জন বৃদ্ধি পেয়েছে। কারাদ-িত আসামির সংখ্যা ১ জন বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থদ- ও কারাদ- উভয়দ-ে দ-িত আসামির সংখ্যা একজন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আদায়কৃত জরিমানার পরিমাণ ২ হাজার ৭০০ টাকা হ্রাস পেয়েছে। এ জন্য যৌন হয়রানি প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। সভায় কার্যপত্রে বলা হয়, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত ৭৪টি অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে এক মাসের ঊর্ধ্বে ঢাকা বিভাগে ১টি করে, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩টি , রাজশাহী বিভাগে ১টি, খুলনা বিভাগে ২টি, রংপুর বিভাগে ১টি করে মোট ৮টি অভিযোগ অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রেরণ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়। তিন মাসের ঊর্ধ্বে ঢাকা বিভাগে ১২টি করে, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮টি করে, খুলনা ৫টি করে, বরিশাল বিভাগে ২১টি করে, রংপুর বিভাগে ৩টি করে, ময়মনসিংহ বিভাগে ২টি করে মোট ৪০টি অভিযোগ অনিষ্পন্ন রয়েছে। তিন মাসের ঊর্ধ্বে অনিষ্পন্ন অভিযোগের প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দ্রুত প্রেরণের নির্দেশনা দেয়া হয়।
ভূমি অধিগ্রহণে মামলার সংখ্যা গত এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে ২৫৫টি হ্রাস পেয়েছে। ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির আবেদন নিষ্পত্তির সংখ্যা ১৯১টি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংক্রান্ত কাজে জনগণ যাতে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা এবং অধিগ্রহণ কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অন্চ্ছিুক এক বিভাগীয় কমিশনার ইনকিলাবকে বলেন, আসলে নিদের্শনাটা ভাল। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ফরমাল কোনও অনুষ্ঠান এবং মিডিয়ায় কথা বলার সময়সহ আনুষ্ঠানিক পোশাক এবং জনসন্মুখে চলাফেরার সময় মানানসই পোশাক পরিধানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার