সুরমা নদী ভাঙনের মুখে জালালপুর মসজিদ
২৫ জুন ২০২৩, ১১:১৭ পিএম | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে শত বছরের পুরনো জালালপুর জামে মসজিদ। ইতোমধ্যেই শত পরিবার হারিয়েছে বসতভিটা, এখন ভাঙ্গন এসে ঠেকেছে মসজিদে। সহায় সম্বল হারিয়ে অনেকেই রয়েছেন সঙ্কটে। নদীর ভাঙ্গন এমন ভয়াল রূপ ধারণ করায় কেউ কেউ ঘর-বাড়ি অন্যত্রে সরিয়ে নিচ্ছেন। নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ আবার নির্ঘুমে কাটাচ্ছেন রাত।
সরেজমিন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের প্রাচীনতম গ্রাম জালালপুরে গিয়ে দেখা যায়, শত বছরের পুরাতন মসজিদটি সুরমার ভাঙ্গনের একেবারে দারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। মসজিদের সামনে ছিল শতাধিক কবর চলে গেছে নদীর তলদেশে। নদীর স্রোতে শুধু পশ্চিম পাড় ভাঙ্গছে! আর পূর্বপাড় গড়ছে। প্রতিদিনই নতুন করে নদী ভাঙ্গছে, এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও বসবাস করছে খেটে খাওয়া তীরবর্তী মানুষ। মসজিদের এক পাশে নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। কিছু অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে মসজিদ নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয়রা ইনকিলাবকে জানান, মসজিদের সামনে এক সময় ছিল পুকুর, ঈদগাহ, কবরস্থান, স্কুল ও খেলার মাঠ । গত কয়েক বছরে গ্রামের শতশত পরিবার ভিটামাটি হারিয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েকশত একর কৃষি জমি। অনেকেই নিজেদের জায়গা জমি নদীতে হারিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করছেন। আবার অনেকেই হয়েছেন নিঃস্ব। এভাবে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা না করা হলে এখানে গ্রাম হিসাবে কোনো চিহ্ন থাকবে না।
জালালপুর মসজিদের ইমাম মাওলানা জাহির আলী ইনকিলাবকে বলেন, ২৮ বছর ধরে এ মসজিদে ইমামতি করছি। চেয়ে ছিলাম মসজিদের খেদমত করে বাকি জীবন পার করবো। এখন দেখছি তা আর সম্ভব হবে না। কখনো মনে করিনি মসজিদটি এভাবে নদীতে বিলীনের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছবে।
উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইজ্জত আলী ইনকিলাবকে বলেন, মসজিদটি শত বছরের পুরাতন। এখন নদী ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। কিভাবে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
দোয়ারাবাজার উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ছায়েম ইনকিলাবকে বলেন, জালালপুর মসজিদের সামনে নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ স্থানীয় এমপির সুপারিশের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানভীর আশরাফী ইনকিলাবকে বলেন, জালালপুর মসজিদসহ নদীর ভাঙ্গন এলাকা ঘুরে দেখেছি। ভরাটের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। কয়েক দিনের মধ্যেই ভাঙ্গন রোধের কাজ আরম্ভ হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গাবতলীতে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্নামেন্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি লালু
যমুনার ভাঙনের মুখে আলোকদিয়াবাসীর বসতবাড়ি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
কুষ্টিয়া চিনিকলসহ দেশের ৬ চিনিকল চালু হওয়ায় ভারতের দম্ভ খতম!
নোবিপ্রবির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর
৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
এলজিইডির এক প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
আবাসিক হোটেলের নামে মাদকের আড্ডা
নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা
খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো
কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু
বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার
আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা