মারিয়ানা ট্রেঞ্চ নিয়ে ৫ তথ্য
২৫ জুন ২০২৩, ১১:২০ পিএম | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
পৃথিবীর স্থলভাগের থেকেও অনেক অনেক বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ পানিভাগ। পানির ওপরে যেমন হাজার হাজার সুউচ্চ পর্বত রয়েছে, তেমনি পানির নিচে রয়েছে গভীর সমুদ্র খাত। এরমধ্যে সবথেকে বিস্ময়কর হচ্ছে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই খাত দৈর্ঘ্যে ২ হাজার ৫৪০ কিলোমিটার। এই খাতের গভীরতম বিন্দু ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৬ হাজার মিটার বা ১১ কিলোমিটার গভীরে! এই গভীরতা আটলান্টিকের তিন গুণ। এমনকি পৃথিবীর উচ্চতম পর্বত মাউন্ট এভারেস্টকেও এই খাতে ডুবানো যাবে। এই খাতের গভীরতম বিন্দুতে যে চাপ অনুভূত হয়, তা ৫০টি জাম্বো জেটের সমান। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। খুব কম মানুষই মারিয়ানা ট্রেঞ্চের গভীরে গিয়েছে। প্রথম অভিযান হয় ১৯৬০ সালে। ট্রিয়েস্ট বাথিস্ক্যাফ নামের একটি সাবমার্সিবল দিয়ে মারিয়ানা ট্রেঞ্চের গভীরে গিয়ে ইতিহাসে নাম লেখান জ্যাক পিকার্ড এবং ডন ওয়ালশ। তাদের ওই অভিযানের আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল সমুদ্রের অত গভীরে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে না। কিন্তু তারা অতল গভীরে গিয়েও জীবন্ত প্রাণী দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তারা জানান, সমুদ্র সম্পর্কে মানুষের সমস্ত পূর্ব ধারণা এক নিমিশে উধাও হয়ে গিয়েছিল। এরপর ২০১২ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্র টাইটানিকের পরিচালক জেমস ক্যামেরন মারিয়ানা ট্রেঞ্চে নেমেছিলেন। তিনিও ব্যক্তিগতভাবে ডিজাইন করা একটি সাবমার্সিবলে করে ওই খাতে নামেন। সেখানে পাওয়া গিয়েছিল প্লাস্টিকের ব্যাগ! এরকম আরেকজন অনুসন্ধানকারী ভিক্টর ভেসকোভো। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের একজন বিনিয়োগকারী। ২০১৯ সালে মারিয়ানা ট্রেঞ্চের ১০ হাজার ৯২৭ মিটার গভীরে নেমে বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন তিনি। ভিক্টর ট্রেঞ্চের একদম গভীরে ভূমিতে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং কিছু ক্যান্ডির মোড়ক পেয়েছিলেন। সেসময় সমুদ্র দূষণের এই করুণ বাস্তবতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা হয়েছিল। মারিয়ানা ট্রেঞ্চে আছে জীবনের অস্তিত্ব! হ্যাডাল জোনে খুব কম অভিযানই চালিয়েছে মানুষ। সমুদ্রের ওই অঞ্চলে কি আছে তার সামান্য জ্ঞান রয়েছে আমাদের। দীর্ঘ সময় ধরে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, এত গভীরে যেখানে কখনও সূর্যের আলো পৌঁছায়নি এবং তাপমাত্রা সবসময় শূন্যের নিচে থাকে সেখানে কোনো প্রাণীর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। সেখানে জলের চাপ এত বেশি যে মানুষের হাড় গুঁড়িয়ে যাবে একা একাই। কিন্তু সেই গভীরতায়ও শেষ পর্যন্ত প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে! ২০০৫ সালে এক গবেষণায় মারিয়ানা ট্রেঞ্চের গভীরে এক ধরণের প্ল্যাংটন খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। কেউ জানে না সমুদ্র আসলে কত গভীর হতে পারে। সমুদ্র আসলে কত গভীর তা নিশ্চিতভাবে বলা এখনও অসম্ভব। কারণ সমুদ্রের মাত্র ২০ শতাংশ এলাকার ম্যাপ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে মানুষের পক্ষে। যদিও সমুদ্রের ওপর দিয়ে হাজার হাজার বছর ধরে চলাচল করছে মানুষ। কিন্তু এর গভীরে কি আছে তার বেশিরভাগ এখনও আমাদের অজানা। চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের যে ম্যাপ মানুষ তৈরি করেছে, পৃথিবীরও এত দারুণ ম্যাপ তৈরি করা সম্ভব হয়নি। সিএনএন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কেবল সেবন নয় মাদক ব্যবসায়ও জড়িত তারকারা, ডিসেম্বরের পরে দেখে নেবে কে?
গাবতলীতে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্নামেন্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি লালু
যমুনার ভাঙনের মুখে আলোকদিয়াবাসীর বসতবাড়ি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
নোবিপ্রবির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর
৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
এলজিইডির এক প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
আবাসিক হোটেলের নামে মাদকের আড্ডা
নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা
খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো
কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু
বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার
আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা