শেষ সময়ে জমজমাট কেনাকাটার প্রত্যাশা
২৬ জুন ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর হাটে গরু-মহিষের সরবরাহ প্রচুর। তবে এখনও বাড়ছে না ক্রেতা সমাগম। বেচাকেনাও চলছে ধীরে। বিক্রেতা ও বেপারীরা এখন ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন। পশুর হাটে দাম নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় গরুর দাম বেড়েছে। ক্রেতাদের দাবি, গরুর বাজারেও সিন্ডিকেটের কারসাজি চলছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেও সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, শেষ সময়ে জমে উঠবে কোরবানির পশুর হাট। এদিকে মহানগরী এবং জেলার ২২২টি বৈধ হাটের পাশাপাশি যত্রতত্র অবৈধ হাট বসেছে। এর ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে নগরীর পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সড়কে হাট বসায় যানজটে দুর্ভোগে পড়ছে ঘরমুখো মানুষ।
পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র একদিন। তবে গতকাল পর্যন্ত বাজারে কেনাকাটা তেমন জমেনি। গ্রামের হাটগুলোতে বিক্রি বাড়লেও মহানগরীর পশুর হাটে তেমন জমেনি কেনাকাটা। ক্রেতারা বলছেন, এবার দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে। এতে অনেকের বাজেট ফেল করছে। আর তাই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন ক্রেতারা। তাদের প্রত্যাশা শেষ সময়ে ন্যায্য দামেই মিলবে কোরবানির পশু।
বিক্রেতারাও ধর কষাকষি না করে পশু ছেড়ে দেবেন। দাম নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। এতে গরুর পেছনে খরচ বেড়ে গেছে। দূর-দূরান্ত থেকে গরু আনার সময় অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া লেগেছে। হাটে আসার পর খুঁটি ভাড়া থেকে শুরু করে গরুর খাবার কেনা থাকা-খাওয়া সব মিলিয়ে যে খরচ তা গরুর দামের সাথে সমন্বয় করতে হচ্ছে। এ কারণেই গতবারের তুলনায় দাম কিছুটা বাড়তি বলে জানান তারা।
বিক্রেতাদেরও প্রত্যাশা শেষ সময়ে ক্রেতারা পছন্দের গরুটি কিনে নেবেন। মহানগরীর হাট ঘুরে দেখা গেছে, শুরুতে গরু-মহিষ ও ছাগলের সরবরাহ কিছুটা কম থাকলেও গতকাল থেকে সরবরাহ বাড়তে শুরু করে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম, তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাকে ট্রাকে গরু আসছে পশুর হাটে। এ অঞ্চলে গরুর পাশাপাশি মহিষও কোরবানি দেওয়া হয়। ফলে গরুর সাথে মহিষও উঠেছে পশুর হাটে। নগরীর পোস্তারপাড়ের স্থায়ী ছাগলের হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে হরেক জাতের ছাগল। অন্য পশুর হাটগুলোতেও ছাগল বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি হাট এখন গবাদিপশুতে ভরপুর।
তবে সে তুলনায় ক্রেতা কম। মহানগরীতে যারা কোরবানি দেবেন তাদের অনেকে গরু রাখার ঝামেলা এড়াতে শেষ সময়ে কোরবানির পশু ক্রয় করেন। এ কারণে কেনাকাটা এখনও কিছুটা কম বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে আজ বিকেল থেকে কেনাকাটা জমজমাট হয়ে ওঠার প্রত্যাশা করছেন সবাই।
জেলার হাটগুলোতে উল্টোচিত্র। সেখানে কেনাবেচা বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার পশুর দাম কিছুটা বেশি। চট্টগ্রামের বাজারে ছোট এবং মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। এ কারণে এসব গরুর দামও হাঁকা হচ্ছে বেশি। ঢাউস গরুর সরবরাহও প্রচুর। তুলনামূলকভাবে এসব বড় গরুর দাম কিছুটা কম। তবে ক্রেতাদের পছন্দ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী লাল গরু। বিশেষ করে পাহাড়-টিলা এবং গ্রামে কৃষক ও গৃহস্থের বাড়িতে লালিত-পালিত হৃষ্টপুষ্ট গরুর চাহিদা এবং দাম দুটোই বেশি। খামারে কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরুও আছে বাজারে।
তবে এসব গরুর তুলনায় গৃহস্থের বাড়িতে লালিত-পালিত গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি। বৃহত্তর ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও রংপুর অঞ্চল থেকেও কোরবানির গরু এসেছে। ওইসব এলাকায় বিভিন্ন খামারে লালিত-পালিত গরুর পাশাপাশি কৃষকদের কাছ থেকে কেনা গরুও এসেছে হাটে। রাজশাহী অঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়াও ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হৃষ্টপুষ্ট গরু ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
মহানগরীর স্থায়ী অস্থায়ী নয়টি হাটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা সমাগম হচ্ছে। এসব হাটে গরু বিক্রেতা, বেপারী ও খামারিদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হাট এলাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে ক্রেতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করছেন ইজারাদারের কর্মীরা। হাটগুলোতে ক্রেতা আকর্ষণে আয়োজনের কমতি নেই। ধারাভাষ্য দেয়া হচ্ছে অনবরত। তাতে একদিকে বাজারের তথ্য যেমন মিলছে তেমনি হাস্যরসের ব্যবস্থাও রয়েছে। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত এসব হাটে বেচাকেনা চলবে।
বৈধ হাটের পাশাপাশি মহানগরী এবং জেলার খামারগুলোতেও জমজমাট বেচাকেনা চলছে। এসব খামার থেকে সরাসরি গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কোরবানি দাতারা। অনলাইনেও কেনাকাটা সারছেন অনেকে। হাট ও খামারের পাশাপাশি যত্রতত্র বসেছে কোরবানির পশুর হাট। অভিযোগ রয়েছে, কতিপয় কাউন্সিলরদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে মহানগরীতে এসব হাট বসেছে। যার কারণে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। অপরদিকে আবাসিক এলাকা পুঁতিগন্ধময় হচ্ছে। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- নগরীতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে বৈধ হাটের অন্তত ১০ গুণ বেশি অবৈধ হাট বসেছে। কতিপয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গরু বেপারিদের সাথে যোগসাজস করে এসব হাট বসিয়েছেন। কোন কোন ওয়ার্ডে একাধিক অবৈধ হাট বসানো হয়েছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বারুনিস্নান ঘাট, পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড বজ্র ঘোনা এলাকা, চর চাকতাই, ঝাউতলা বাজার, ফইল্যাতলি বাজার, লালখান বাজারের চানমারি রোড, সরাইপাড়া ১২ নং ওয়ার্ড কলকা সিএনজির পাশে, ১০ নং উত্তর কাট্টলী সূফী মাঈনউদ্দীন শাহ মাজারের পাশের মাঠ, এনায়েত বাজার-বাটালি রোড, আগ্রাবাদ, কাটগড় কন্ট্রোল মোড়, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ছয়টি অবৈধ হাটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে অসংখ্য অবৈধ পশুর হাট বসেছে।
আবাসিক এলাকার মাঠ, পাড়ার গলি, নির্মাণাধীন ভবন, খেলার মাঠ এমনকি সড়কের ওপরও বসেছে এসব অবৈধ হাট। কাউন্সিলরদের যোগসাজস থাকার কারণে এসব হাটের বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশন কঠোর হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযানে তাদের সতর্ক করা হচ্ছে। তবে পশুর হাটের ঝক্কি-ঝামেলা এবং হাসিল এড়াতে অনেকে এসব অবৈধ হাট থেকে পশু কিনে নিচ্ছেন। বৈধ হাটের তুলনায় এসব অবৈধ হাটে দামও অপেক্ষাকৃত কম।
জেলা পর্যায়ে জমে উঠছে পশুর হাট : কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। ঈদকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন পশুর হাট। দরকষাকষিতে সরগরম দেশের হাটগুলো। ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির পশু থাকলেও ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি মাঝারি আকৃতির প্রতি। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে’র প্রতিবেনে-
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। কোরবানির সময় যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতা-বিক্রেতারা ঘুরছেন বিভিন্ন হাটে। সাইজ ও দামে পছন্দ হলে, ক্রয় করে ফিরছেন বাড়িতে। কাঙ্খিত দামের অপেক্ষা করছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
বাগেরহাট প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটে ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী ২২টি পশুর হাট বসেছে। স্থানীয় ব্যবস্থাপনায়ও অস্থায়ী হাট বসছে বিভিন্ন এলাকায়। এর মধ্যে সব থেকে বড় পশুর হাট ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা গরুর হাট। গতকাল সোমবার সকাল থেকেই হাজার হাজার পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক-ডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে হাটটি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা।
বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া থেকে গরু নিয়ে আসা খামারি মতিয়ার রহমান বলেন, চারটি গরু নিয়ে আসছিলাম। ২টি বিক্রি করেছি। অনেক লোকজন থাকলেও, দাম ভাল বলে না। খুলনার বটিয়াঘাটা থেকে বাগেরহাটের সিএন্ডবি বাজার এলাকা থেকে গরু কিনতে আসা আফজার হোসেন বলেন, গরুর দাম এবার অনেক বেশি। দেখতেছি, কিন্তু দামে হচ্ছে না। দামে হলেই কিনব।
খাবার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক পন্যের দাম বাড়ায় গরুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দাবি করে ব্যবসায়ী মল্লিক ফারুক হোসেন বলেন, যে ভূষি কিনেছি ৩৫ টাকা সেই ভূষি এখন ৬০ টাকা। ভুট্টার গুড়ি, খৈল, পালিশ সবকিছুরই দাম-ই বেশি। যার কারণে গরুর দামও অনেক। এই দাম বেশি থাকায় গৃহস্থরা গরু ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনেক হিসেবে নিকেশ করছেন। শুধু হাট নয় খামারিরা নিজ বাড়িতে বসেও কোরবানির পশু বিক্রি করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেও অনেকে গরু-ছাগল বিক্রি করছেন।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, কোরবানি উপলক্ষে জেলায় ২২টি হাট বসানো হয়েছে। প্রতিটি হাটে আমাদের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম রয়েছে। এছাড়া কোন অসাধু ব্যবসায়ী যাতে হরমন বা অন্য কোন খারাপ রাসয়নিক দিয়ে গরু বিক্রি করতে না পারে সেজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের নজরদারি রয়েছে বলে জানান তিনি।
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, দক্ষিণ ময়মনসিংহের ঐহিত্যবাহী গরু হাট গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রধান প্রধান হাট-বাজারে জমে উঠেছে কেনাবেচা। গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ছোট বড় হাটে এবার তুলনামূলক ভাবে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড় বেড়েই চলছে। গতবারের চেয়ে এবার দামও বেড়েছে। গফরগাঁও উপজেলা সদর সালটিয়া, পালের বাজার, গাভীশিমূল বাজার, কান্দিপাড়া, দত্তেরবাজার, শিবগঞ্জ বাজার, রসুলপুর আমরীতলা বাজার ও গয়েশপুর বাজারসহ আশে পাশের উপজেলা ও চরাঞ্চল থেকে প্রচুর গরু ছাগল উঠে। নামকরা বাজার গুলোতে পাইকাররা দূর-দূরান্ত থেকেও গরু আমদানি হয়। গফরগাঁও পৌরসভার সালটিয়া বাজারে গরু কিনতে আসা মো. ফয়জুল্লাহ জানান, গরুর দামের সাথে এবার ক্রেতার সংখ্যাও বেড়েছে। ৫০ হাজার টাকা থেকে দশ লাখ টাকা দামের গরু বাজারে উঠেছে। অনেক দর দাম করলেও গরু কেনা যাচ্ছে না তেমন। উপজেলার প্রধান সালটিয়া বাজারে গতকাল প্রচুর গরু-ছাগল ওঠে। সাধারণ মানুষ দামের কারণে গরু কিনতে না পেরে শেয়ারে গরু কিনছে। এবার শেয়ারে কোরবানি দেয়ার কথা জানান, আঠারদানা গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম।
গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী ও বিত্তশালী কৃষক এবং প্রবাসীরা পশুর হাটে ভিড় জমালেও সাধারণ মানুষের টার্গেট খাসি ক্রয় করার জন্য। তবে এবারে ঈদ হচ্ছে নির্বাচনী কোরবানির ঈদ। গরু বিক্রেতা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত বারের চেয়ে এবার গরুর দাম কম। কয়েক বছর গরু লালন পালন করে যে পরিমানে খরচ হয়ে থাকে তা গরু বিক্রি করে পাওয়া যায় না। গত এক বছর যাবত গরুর ভূষিসহ অন্যান্য খাবারে দাম দ্বি-গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য দিকে গরুর চিকিৎসা খরচ তুলনা মূলক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দিরাই (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য সুনামগঞ্জে প্রস্তুত রয়েছে এক লাখেরও বেশি পশু। এরমধ্যে ষাঁড় ৩১ হাজার ২১৫টি, বলদ ৭ হাজার ৮৯৮টি, গাভী ৮ হাজার ২১০টি, মহিষ এক হাজার ৩০১টি, ছাগল ৫ হাজার ৩৭০টি, ভেড়া চার হাজার ৪১৯টি, গৃহপালিত ছাগল ২৪ হাজার ৯৬৫টি ও ভেড়া ২৬ হাজার ৪’শটি। আর কোরবানির পশু বিক্রির জন্য জেলায় ৫০টি স্থানে হাট বসবে বলেও সুনামগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবারের ঈদুল আযহা উপলক্ষে সুনামগঞ্জে কোরবাণীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে এক লাখ নয় হাজার ৭৭৮টি। এরমধ্যে চাহিদা রয়েছে ৫৪ হাজার ৩৬২টি। ফলে উদ্বৃত্ত আছে ৫৫ হাজার ৪১৬টি পশু। দিরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. এফ. এম. বাবরা হ্যামলিন জানান, আমাদের দিরাইয়ে এ বছর মোট খামারীর সংখ্যা ৪৩৮ জন, কোরবানির জন্য প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ষাঁড় রয়েছে দুই হাজার ৩৬৯টি, বলদ ৮৩৪টি, গাভী এক হাজার ২১০টি, মহিষ ১৮৬টি, ছাগল ৫৪৬টি, ভেড়া ২৬৩টি, গৃহপালিত ছাগল এক হাজার ৯৯৮টি, ভেড়া দুই হাজার ১২৮টি। তিনি আরো বলেন, দেশে ছড়িয়ে পড়া লাম্পি স্কিন রোগে দিরাইয়ে কোন গরু আক্রান্ত হয়নি। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সাথে সাথেই ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালিয়েছি। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রচ- গরমের সময় জেলার কিছু কিছু উপজেলায় গরুর শরীরে লাম্পি স্কিন সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বৃষ্টি ও ঠা-া শুরু হওয়ার সাথে সাথেই সম্পূর্ণ থেমে যায়। এখন জেলার কোথাও এ সমস্যা আর নেই। আমাদের মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মার্চের মধ্যে রাষ্ট্র-সংস্কার কাজ শেষ হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
পাকিস্তান থেকে জাহাজে এবার যা যা এসেছে
জামালপুরে দুই ইজিবাইকের চাপায় সাংবাদিক নুরুল হকের মৃত্যু
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের সামরিক সদর দফতরের দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি
ব্রাজিলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩২
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ সিরিয়ায়
ঘনকুয়াশায় ৩ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু
গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে
কনসার্ট মঞ্চে স্বৈরাচার হাসিনার বিচার দাবি
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১৪ ফিলিস্তিনি
ঘনকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে: ইয়াকুব চৌধুরী
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি