ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
উপ-রেজিস্ট্রার আবু হানিফা-সহকারী রেজিস্ট্রার জাকির হোসেনসহ দেড় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ অবৈধ :: নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির তদন্ত কমিটি :: সুপারিশের আলোকে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসির অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণিত

Daily Inqilab ফারুক হোসাইন

২৭ জুন ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৩, ১১:৪২ পিএম

দেশের আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষকদের সুদীর্ঘ আন্দোলনের ফসল ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার দাবী পুরণ করার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের সাথে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু আলেম সমাজের প্রাণের এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণœ হয়েছে প্রাক্তন ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহর অনৈতিক কর্মকা- ও অনিয়মের কারণে। নৈতিকতা শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানটি তৎকালীন ভিসি ও তার ঘনিষ্ঠ অনুসারিদের অনিয়ম, জালিয়াতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসির অনিয়ম, গুরুতর চারিত্রিক স্খলনের অভিযোগ দেশের ওলামা-মাশায়েখকে বিষ্মিত ও লজ্জিত করেছে। আর এসব অভিযোগের প্রমাণও পেয়েছে উচ্চশিক্ষার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ভিসির বিরুদ্ধে উঠা অনিয়মের তদন্ত করতে গিয়ে রীতিমত অনিয়মের পাহাড় খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। যদিও তদন্ত শেষে রিপোর্ট প্রদান করলেও দীর্ঘদিন ধরে তা আটকে রেখেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত প্রতিবেদনে অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও কোন এক অজানা কারণে আহসান উল্লাহর মেয়াদকালে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়নি মন্ত্রণালয়। তবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ১৯ জুন তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে ড. আহসান উল্লাহ ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নিয়োগের ক্ষেত্রে এলাকা, দলীয় প্রীতি সর্বাগ্রে রাখেন। সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন তার নিজের এলাকা চট্টগ্রাম থেকে। পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে গিয়ে বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করেছেন। বিজ্ঞপ্তি প্রদানের আগেই দিয়েছেন নিয়োগ। আবার যাদের নিয়োগ দিয়েছেন তাদের কাছ থেকে কর্মকর্তাদের ১০-১৫ লাখ এবং কর্মচারীদের ৫-১০ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১১২ জনের একটি নিয়োগ থেকেই হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ১০ কোটি টাকা। এছাড়া বাড়ি ভাড়ার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে ভিসির ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত উপ-রেজিস্ট্রার আবু হানিফার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ওই ভিসিকে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছেন তৎকালীন সিন্ডিকেট সদস্য ও ভবানীপুর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. হাসান মাসুদসহ আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বাকুলিয়া থানা জামায়াতের রুকন পদে থাকা, জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, একাধিক পূরুষের সঙ্গে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক, শিশু বলৎকার, নিয়ম বহির্ভূত-অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান, নিয়োগ বাণিজ্য, নিয়োগে অনিয়ম, বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত যৌথ তদন্ত কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও সদস্য ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম-সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান। তদন্ত কমিটি ভিসির বিরুদ্ধে অনিয়মের সকল অভিযোগেরই প্রমাণ পেয়েছে। প্রমাণিত তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়ার পর গত ১৯ জুন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহর ব্যক্তিগত চরিত্র, রাজনৈতিক মতাদর্শ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে প্রেরণ করে। উক্ত প্রতিবেদনে প্রমাণিত অভোযোগগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে সুপারিশের আলোকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রাক্তন ভিসির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ:
ভিসি প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ চট্টগ্রাম বাকুলিয়া থানার জামায়াতে ইসলামির ১৩ নং ক্রমিকের রুকন। তিনি এখনও ভিতরে ভিতরে জামায়াতে ইসলামির সাথে গোপনে যোগাযোগ রাখেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমেদ জানিয়েছেন, ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ আমার জানা মতে তিনি জামায়াতে ইসলামের খুব বড় মাপের নেতা। তিনি বাকুলিয়া থানা জামায়াতে ইসলামের কার্যকলাপের সাথে জড়িত কিনা এমন প্রশ্ন করে তাকে ক্ষুদ্র পরিসরে চিন্তা করা হচ্ছে বলে মনে হয়। ৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এবং ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর ড. আহসান উল্লাহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামকে শক্তিশালী করার জন্য পুনরায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন যা অদ্যাবধি বহাল আছে। মোট কথায় তিনি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর একজন বড় মাপের নেতা। কমিটিও তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে।

শিশু বলৎকার ও পূরুষের সঙ্গে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটির কাছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম ছায়েফ উল্লাহ জানান, ধানম-ির শিক্ষাবোর্ডের কোয়ার্টারের বাড়িটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়। ওই ভবনটি প্রথমে একাডেমিক হিসেবে ব্যবহার হলেও ভিসি সেটিকে আবাসিক ভবনে পরিবর্তন করেন এবং সেখানে থাকেন। সেখানে অনৈতিক কর্মকা-ও হয়। রাজু নামক এক কর্মচারীর সাথে ভিসির অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। শহীদুল, সামিউল (চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী) তাদের সাথেও ভিসির অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক ছিল। এছাড়াও ৮-১০ জনের সাথে ভিসির এ ধরণের সম্পর্ক ছিল। এসব অনৈতিক সম্পর্কের ফলশ্রুতিতে ভিসিকে ব্লাকমেইল করে অনেকে চাকরি নেন। আবু হানিফা ভিসির সব অনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গী।

জাকির হোসেনের অবৈধ নিয়োগ:
সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস জাকির হোসেনকে অবৈধভাবে বয়স ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেন আহসান উল্লাহ। যথাযথ নিয়োগপ্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়াই বিধিবহির্ভূতভাবে মো. জাকির হোসেনের ব্যক্তিগত আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিসির একক সিদ্ধান্তে মো. জাকির হোসেনকে নিয়োগপত্রে নিয়োগের ধরণ, শর্ত এমনকি বেতন স্কেল কোন কিছুই উল্লেখ না করে অস্থায়ীভিত্তিতে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত চাকরির নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ্র প্রার্থীকে যে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে এবং শিক্ষা জীবনে সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণী/সমমান গ্রেড থাকতে হবে ” ও অভিজ্ঞতা “ প্রার্থীকে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেকশন অফিসার বা সমপর্যায়ের (জাতীয় বেতন স্কেলের ৯ ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব পদে কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। শর্ত থাকা সত্ত্বেও জাকির হোসেনের একটিতে অর্থাৎ স্নাতকে ৩য় শ্রেণী এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেকশন অফিসার বা সমপর্যায়ের (জাতীয় বেতন ছেলের ৯ম গ্রেড ও তদূর্ধ পদে কমপক্ষে ৫ বছর কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়াই ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি সহকারী রেজিস্ট্রারের শূন্য পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

ইউজিসির তদন্ত কমিটির কাছে তৎকালীন ভিসি আহসান উল্লাহ জানান, সহকারী রেজিস্ট্রার, সহকারী পরিচালক ও উপ-রেজিস্ট্রার এর নিয়োগের তফসিল সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন নেই। সেকশন অফিসার পদের নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশের মূল কপি নেই। তবে চূড়ান্ত মেধাক্রম এর মূল কাগজ তিনি দেখিয়েছেন। আবু হানিফা ও মো. জাহির হোসেনের নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশের কোন মূল কাগজও দেখাতে পারেননি তিনি।

সাবেক রেজিস্ট্রার রোশন খান জানান, আমি রেজিস্ট্রার থাকলেও কখনো আমাকে গুরুত্বপূর্ণ কাজগপত্র দেয়া হত না। সব সময় তা আবু হানিফাকে দেয়া হত। আবু হানিফা ও জাকিরের ব্যক্তিগত ফাইলে অনেক ঘাটতি রয়েছে। ভিসি স্যার বোর্ড সদস্যকে ডেকে সবার স্বাক্ষর নিতেন কিন্তু ফাইলে রাখার জন্য কাগজ দিতেন না।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ বিষয়ে পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৩ এর ধারা-১২ এ উল্লিখিত ভাইস চ্যান্সেলরের ক্ষমতা ও দায়িত্বে অস্থায়ীভিত্তিতে জনবল নিয়োগের ক্ষমতার বিষয়ে উল্লেখ নেই। কিন্তু ভিসি মো. জাকির হোসেনকে অস্থায়ীভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করেছেন। এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদনের কোন তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে অস্থায়ীভিত্তিতে প্রদত্ত নিয়োগটিতে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে কমিটি মনে করে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৩ এর ধারা ২২(২)(ঞ) অনুযায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, তাহাদের দায়িত্ব ও চাকরির শর্তাবলী নির্ধারণ করা সিন্ডিকেটের দায়িত্ব। কিন্তু ভিসি চাকরীর শর্তাবলী সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদন না নিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। এক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে কমিটি মনে করে। তাছাড়া, উক্ত নিয়োগের শর্তাবলীর স্বাক্ষরিত মূল কাগজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটির নিকট উপস্থাপন করতে পারে নি।

জাকির হোসেনের ¯œাতকে ৩য় শ্রেণী রয়েছে এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেকশন অফিসার বা সমপর্যায়ের (জাতীয় বেতন স্কেলের ৯ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব পদে মাত্র ২ (দুই) বছরের অভিজ্ঞতা ছিল (যদিও তার অস্থায়ীভাবে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগটি বিধিসম্মত ছিল না)। কিন্তু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী শিক্ষা জীবনের সকল পরীক্ষায় ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেকশন অফিসার বা সমপর্যায়ের ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করা যেতে পারে মর্মে উল্লেখ রয়েছে। তবে কয়টি শর্ত শিথিল করা হবে সে বিষয়ে কোন উল্লেখ নেই।

প্রাক্তন ভিসির ঘনিষ্ট সহচর উপ-রেজিস্ট্রার আবু হানিফা :
বিগত বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে ড. আবু হানিফাকে অবসর সুবিধা বোর্ডে মূল্যায়ন কর্মকর্তা হিসেবে সুপারিশে কোন বিজ্ঞপ্তি বা নিয়ম নীতি ছাড়াই অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে যাকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার হিসেবে সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনৈতিকভাবে ভিসি তার একক ক্ষমতাবলে নিয়োগদান করে তার মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য, বাড়িভাড়া ও যাবতীয় ক্রয় করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ জানান, তিনি ২০১৯ সালের জুন থেকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য পদে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ সভায় তিনি প্রথম উপস্থিত হয়ে নিয়োগের অনিয়ম সম্পর্কে জানতে পারেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি মো. আবু হানিফাকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-রেজিস্ট্রার পদে প্রেষণে পদায়ানের আদেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই দিনে তিনি ওই পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশ ও ১৮ জানুয়ারি ৩য় সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেষণে কর্মরত প্রার্থী হিসেবে আবু হানিফা উপ-রেজিস্ট্রারের স্থায়ী পদে আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে করেননি। তার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বা সমপর্যায়ের পদে ৫ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১ম শ্রেণির পদে মোট ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার শর্ত রয়েছে। কিন্তু আবু হানিফার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কাজের কোন অভিজ্ঞতা নেই। তাছাড়া, যেহেতু যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের কোন কাগজপত্র এবং পূর্বতন প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি, সেহেতু তার পূর্বতন প্রতিষ্ঠানের চাকরিকাল গণনার কোন সুযোগ নেই। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করা যেতে পারে মর্মে উল্লেখ রয়েছে।

সিন্ডিকেটের অনুমোদন না নিয়ে ভিসি উপ-রেজিস্ট্রার পদের তফসিল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলের তফসিল নিজেই অনুমোদন করেছেন। যা তিনি আইনত করতে পারেন না। এছাড়া আবু হানিফার ক্ষেত্রে শিথিলের শর্ত প্রযোজ্য হবে না। এ থেকে তদন্ত কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আবু হানিফার নিয়োগটি যথাযথভাবে হয়নি।

কমিটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, আবু হানিফার নিয়োগের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশমালা/কার্যবিবরণীর মূল কপি বার বার চাওয়া হলেও ভিসি তদন্ত কমিটির কাছে তা উপস্থাপন করেনি। এর পরিবর্তে ভিসি সুপারিশমালার ফটোকপি দেখিয়েছেন যা টেম্পারিং করা বলে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৩ এর ২২(২)(ঞ) অনুযায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, তাদের দায়িত্ব ও চাকরি শর্তাবলী নির্ধারণ করা সিন্ডিকেটের দায়িত্ব। কিন্তু ভিসি এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে চাকরির শর্তাবলী সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদন না নিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। এক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে কমিটি মনে করেছে। এছঅড়া নিয়োগের শর্তাবলীর স্বাক্ষরিত মূল কাগজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটির নিকট উপস্থাপন করতে পারেনি।

দেড় শতাধিক অবৈধ নিয়োগ: প্রাক্তন ভিসি আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে ৪১ জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৫৮ জন নিয়োগ দিয়েছেন। এই পদে ১৩ জন মেধাক্রমে থাকার পরও বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সেকশন অফিসার পদের ১১ জন প্রার্থীকে উচ্চতর পদে (সহকারী রেজিস্ট্রার/সহকারী পরিচালক/সমমান পদে) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সহকারী প্রোগ্রামার পদে ২ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৪ জনকে নেয়া হয়েছে, অডিট অফিসার পদে ১ জনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২ জনকে, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ১৬ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন যারা অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মেধাক্রমে ছিলেন তাদেরকে উচ্চতর পদে (সেকশন অফিসার পদে) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে ২ জনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, ফাটোমেশিন অপারেটর পদে ১ জনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২ জনকে, অফিস সহায়ক পদে ২৪ জনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩১ জনকে এবং নিরাপত্ত প্রহরী পদে ৩ জনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৪ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ২১ আগস্ট ও ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স এর শর্ত শিথিলযোগ্য ছিল না কিন্তু ২০১৮ সালের ২৪ মে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বয়স শিথিল বরা হয়েছে। সর্বোপরি উপরোক্ত সকল পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশের মূল কাগজ দেখাতে পারেননি যা ভিসি আহসান উল্লাহ লিখিতভাবেও তদন্ত কমিটির কাছে জানিয়েছেন।

তৎকালীন সিন্ডিকেট সদস্য মাওলানা মো. হাসান মাসুদ জানান, আমরা ভাইভার নম্বর হাতে লিখি, অনেকদিন পর দেখি টাইপ করা নম্বরের কাগজ আমার কাছে স্বাক্ষরের জন্য নিয়ে আসে। আমি এর বিরোধিতা করি।

তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কমিশনের অনুমোদিত পদের চেয়ে অতিরিক্ত নিয়োগ দেয়া, মেধাক্রমে থাকার পরও বাদ দেয়া, নিচের সিরিয়াল নম্বরওয়ালাদেরকে নিয়োগ দেয়া, মেধা তালিকা না মানা এবং যে পদের জন্য আবেদন করা হয়েছে সেই পদের বাহিরে অন্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যা আইনের ব্যত্যয়।

বাড়িভাড়ায় অনিয়ম: বসিলায় তিনটি বাড়ি ভাড়া করা হয়েছে এর মধ্যে আহমেদ ভিলা প্রতিমাসে ২ লাখ ৬৩ হাজার, আছিয়া মঞ্জিল ২ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৮ টাকা এবং করিম মঞ্জিল ৫৪ হাজার ৪৭০ টাকা করে। তবে চূড়ান্তভাবে বাড়িভাড়ার চুক্তিনামা সম্পাদনের পূর্বে আইনগত ও আর্থিক পরামর্শ তথা সিন্ডিকেট কিংবা অর্থ কমিটির অনুমোদন নেয়া হয়নি। যাতে প্রতীয়মান হয় যে, ত্রুটিপূর্ণ চুক্তি এবং আর্থিক সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে অফিসের জন্য ভাড়াকৃত ভবন মালিকদের অনিয়মিতভাবে জামানত প্রদান করা হয়েছে। পরীক্ষার খাতাপত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরীক্ষার উত্তরপত্র করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে। যেমন উত্তরপত্রের প্রয়োজন ছিল ১৩ লাখ ৯৫ হাজার কিন্তু কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে ৩০ লাখ, আবার প্রয়োজন ছিল ৩৩ লাখ কার্যাদেশ দেয়া হয় ৪৫ লাখ। এছাড়া সহকারী পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পদে জিয়াউর রহমানের নিয়োগও সিন্ডিকেটের অনুমোদন না নিয়েই শর্ত শিথিলের তফসিল নিজেই অনুমোদন করেছেন ভিসি। যা তিনি করতে পারেন না।

কমিটির সুপারিশ : তদন্ত কমিটির সুপারিশে বলা হয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ’র বেআইনি ও অনৈতিক কার্যক্রম এবং দুর্নীতির কারণে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি এতটাই ক্ষুণœ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, বলৎকার ও জামায়াতে ইসলামির রুকন ইত্যাদি অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনে সরকারের বিশেষ বাহিনী দ্বারা অধিকতর তদন্তের সুপারিশ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ভিসির ক্ষমতা ও দায়িত্বের মধ্যে অস্থায়ীভিত্তিতে বা কোনভাবে জনবল নিয়োগের কোন উল্লেখ না থাকা সত্ত্বেও আহসান উল্লাহ আইনের তোয়াক্কা না করে জাকির হোসেনকে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করেন। পরবর্তীতে ভিসি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৩ এর ধারা ২২(২)(ঞ) অনুযায়ী, ‘কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, তাহাদের দায়িত্ব ও চাকরির শর্তাবলী নির্ধারণ’ করা সিন্ডিকেটের দায়িত্ব সংক্রান্ত বিধানটি সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করে চাকরির শর্তাবলী সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদন না নিয়ে বেআইনিভাবে একক ক্ষমতাবলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে মো. জাকির হোসেনের শিক্ষা জীবনে একটিতে ৩য় বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট পদের প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি সহকারী রেজিস্ট্রারের স্থায়ী পদে নিয়োগ প্রদান করেন। যা আইনত অবৈধ। নিয়োগটি শুরু হতেই বাতিল (ভয়েড এড ইনিশিও) বিধায় জাকির হোসনকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

একইভাবে মো. আবু হানিফাকে উপ-রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে, বিধায় তার নিয়োগের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশ/কার্যবিবরণীর মূলকপি না থাকা এবং নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশ/কার্যবিবরণীর যে ফটোকপি দেয়া হয়েছে তা টেম্পারিং করা বলে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়।

তিনি কয়েকদফা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক রেজিস্ট্রার রোশন খানের সাক্ষ্যমতে আহসান উল্লাহ আবু হানিফার নিকট সকল গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল কাগজপত্র সংরক্ষণ করতেন। তাই উক্ত টেম্বারিংয়ের দায় আবু হানিফার ওপরও বর্তায়। এক্ষেত্রে বেআইনীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এরুপ অসৎ একজন ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয় হতে অবিলম্বে অপসারণের সুপারিশ করা হয়েছে।

অন্যান্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট অনুমোদিত না হওয়ায়, মেধাক্রমে থাকার পরও বাদ দেয়া, নিচের সিরিয়াল নম্বরধারীকে নিয়োগ দেয়া, মেধা তালিকা না মান এবং যে পদের জন্য আবেদন করা হয়েছে সেই পদের বাহিরে অন্য কোন পদে নিয়োগ দেয়া আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। তাই এসব নিয়োগ শুরু থেকেই বাতিল বিধায় প্রেসিডেন্ট ও কমিশনের প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করে নিয়োগ কমিটি গঠনপূর্বক সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত ন্যূনতম নির্ধারিত যোগ্যতা অনুযায়ী উন্মুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওইসব পদে প্রয়োজনে জুরুরি ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বর্তমানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ হয় এবং পূর্বের সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে যারা আবেদন করেছিলেন উভয়ক্ষেত্রে কেবল বয়সের শর্তটি শিথিল করে তাদের নিয়োগ পরীক্ষায় পুনরায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।

শিক্ষক পদের বিষয়ে কমিশনের অনুমোদন না থাকায় শিক্ষক পদে উতোপূর্বে যে অস্থায়ী নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। এজন্য অস্থায়ী নিয়োগসমূহ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির সংবিধি প্রণয়নের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাক্তন ভিসি ড. আহসান উল্লাহ বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াগুলো সব নিয়ম মেনেই হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে যে শর্ত দেয়া ছিল সেটি মেনেই নেয়া হয়েছে। এছাড়া নিয়োগ তিনি একা দেন না সিন্ডিকেট সভা অনুমোদন করে বলে জানান।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুদিন আগে নিয়োগ পাওয়া ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠি আমি হাতে পেয়েছি। এখন যেহেতু বন্ধ, তাই বন্ধের পরে কি করা যায় সেটা দেখবো। চিঠির বিষয়ে আইনজীবী ও সিন্ডিকেটে সঙ্গে কথা বলে, পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাতে পরবর্তীতে কোন আইনি জটিলতা না হয়।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা