অর্থ লুটের ডাকঘর
০৪ জুলাই ২০২৩, ১১:২৩ পিএম | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
বাংলাদেশ ডাক অধিদফতর পরিণত হয়েছে অর্থ লোপাটের ডাকঘরে। এখানে অর্থ আত্মসাৎ হয়। অনুসন্ধান-তদন্তে ধরা পড়ে। চলে কিছু লোকদেখানো তৎপরতাও। কিছু দিন যেতেই থেমে যায় সেই লোক দেখানো তৎপরতাও। জড়িত ডাক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে নেয়া হয় না কার্যকর কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। মুখোমুখি হতে হয়না কোনো ধরণের জবাবদিহিতার। উদ্ধার হয় না লুণ্ঠিত অর্থ। বরং জড়িতরা যাপন করেন নিশ্চিত ও স্বাচ্ছন্দ্য জীবন। এভাবে অর্থ লোপাটের ঘটনা এখন ডাক অধিদফতরে পরিণত হয়েছে নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়ে। গত দুই দশকে ৩০টির মতো অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটলেও অর্থ উদ্ধার হয়নি একটিও। ফলে পূর্বতন আত্মসাতের ঘটনা উৎসাহ যোগাচ্ছে পরবর্তী ঘটনায়। তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের।
ডাক অধিদফতর সূত্র জানায়, দেশের প্রাচীনতম সরকারি পরিষেবা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ইতিহাস দেড় শ’ বছরের পুরনো। মানুষের নাম-পরিচয়-ঠিকানার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ডাক বিভাগ এখন ক্ষয়িষ্ণু। নব্বই দশক থেকে প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্ব হ্রাস পেতে থাকে। আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির স্পর্শে ম্লান হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান। তবে এখনও মূল সেবার মধ্যে চালু রয়েছে সাধারণ চিঠিপত্র আদান-প্রদান, রেজিস্টার্ড চিঠিপত্র, জিইপি, ইএমএস, মানি অর্ডার, পার্সেল সেবা, ভিপিপি, ভিপিএল, ডাকটিকিট, ডাকদ্রব্য গ্রহণ, পেরণ ও বিলি, ইলেকট্রনিক মানি অর্ডার, ক্যাশ কার্ড, স্পিড পোস্ট। এছাড়া এজেন্সি সেবার মধ্যে রয়েছে ডাক জীবন বীমা, সঞ্চয় ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড, পোস্টাল অর্ডার, নন-পোস্টাল টিকিট মুদ্রণ ও বিতরণ।
ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন এ প্রতিষ্ঠানটি ক্রমেই খ্যাতনামা (?) প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে মূলত: প্রকল্পের নামে অবাধ লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে। জালজালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। জালিয়াতির ঘটনা উদঘাটিত হলেও কার্যকর শাস্তি হচ্ছে না জড়িতদের। কোথাওবা তাদের দেয়া হচ্ছে প্রাইজ পোস্টিং কিংবা পদোন্নতি।
হদিস নেই শত শত কোটি টাকার: বিভিন্ন প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন ডাক অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র। একাধিক তদন্তে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় তার রাজস্ব ক্ষতি বা আর্থিক ক্ষতির ৯২ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা আদায়ের নির্দেশ দেয়। এ টাকার মধ্যে যতটুকুন পেনশন, গ্রাচুইটি ও লাম্পগ্রান্ট থেকে ততোটুকুন আদায়ের জন্য বিএসআর পার্ট-১ এর বিধি-২৪৭ অনুযায়ী এবং অবশিষ্ট আর্থিক ক্ষতি পিডিআর অ্যাক্ট,১৯১৩ অনুযায়ী আদায়ের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি সদয় অনুমোদন দেন। এই অনুমোদনের ৬ মাস অতিক্রান্ত হলেও এসএস ভদ্রের কাছ থেকে এ অর্থ আদায় হয়নি।
জানাগেছে, এসএস ভদ্র অবসরে চলে গেলেও তার বিশ্বস্ত ও অনুগত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ডাক বিভাগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। তার অনুগত কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রের আত্মসাৎ হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি করছেন। ভদ্রকে যাতে কোনো অর্থ আপাত: পরিশোধ করতে না হয় সেই লক্ষ্যে তারা চালাচ্ছেন নানানমুখি তৎপরতা । রাজস্ব ক্ষতি বা আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে পিডিআর অ্যাক্ট -১৯১৩ অনুযায়ী বিধান অনুসারে লোপাট হওয়া টাকা পুনরুদ্ধারে সৃষ্টি করা হয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। এর ফলে সরকারি এ অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফিরে আসা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মো: সিরাজউদ্দিন ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম জিপিও থেকে আত্মসাৎ হয় ২৯ কোটি টাকা। তদন্তে প্রমাণিত হলেও প্রকৃত দায়ী ব্যক্তি রয়ে গেছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। নামকাওয়াস্তে মামলা করা হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই এ অর্থ পুনরুদ্ধারের। একই মহাপরিচালকের দায়িত্বপালনকালে চট্টগ্রাম জিপিওতে আত্মসাৎ হয় ৪ কোটি টাকা। সেই টাকা পুনরুদ্ধারের খবর নেই। নোয়াখালির খিলপাড়া পোস্ট অফিস থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়। দত্তপাড়া থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় ৫ কোটি টাকা। ঢাকা জিপিও থেকে আত্মসাৎ হয় ১৪ লাখ টাকা। ঢাকা নগরীরর উত্তর বিভাগে আত্মসাৎ হয় ৩৫ লাখ টাকা। মো: সিরাজউদ্দিন দায়িত্বে থাকাকালে এসব অর্থ পুনরুদ্ধারের কোনো ব্যবস্থাই নেননি। এছাড়া তিনি রংপুর ডিপিএমজি থাকাকালে একটি ফ্রডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় প্রশাসনিক আদালতে মামলা হয়। ওই মামলা অদ্যাবধি নিষ্পত্তি হয়নি। ডাক বিভাগের বর্তমান মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ (চলতি দায়িত্ব) থাকাকালে যশোর প্রধান ডাকঘর থেকে আত্মসাৎ হয় ১ কোটি টাকা। এটিও পুনরুদ্ধারের নাম নেই। গত দুই দশকে এ রকম অর্থ আত্মসাতের ঘটনা রয়েছে ৩০টির মতো। কিন্তু অদৃশ্য ইশারায় একটি ঘটনারও গভীর কোনো তদন্ত হয় নি। ফলে পূর্ববর্তী ঘটনাগুলো পরবর্তী ঘটনার উতসাহ জোগায়।
সঞ্চয় ব্যাংকের টাকা ‘হাওয়া‘ হয় যেভাবে : চট্টগ্রাম জিপিওর সঞ্চয় শাখার সাধারণ কাউন্টার থেকে ৪৫ লাখ টাকা হাওয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা ধরা পড়ে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট। ডাক বিভাগের নিজস্ব তদন্তে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট পদ্ধতিগতভাবে অর্থ আত্মসাতে জড়িত। সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন কথিত ইউনিয়ন নেতা ‘বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন’র সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি নিজের অনুগত কর্মচারিদের ব্যবহার করে আত্মীয়-স্বজন,ঘনিষ্টজন এমনকি নিজের গাড়ি চালকের নামে ভুয়া সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বছরের পর বছর ধরে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। টিআই সাইফুল ইসলাম চৌধুরী তার অনুগত আকতার আলী (এসবি-৭০০২২৪), লাকি আকতার (এসবি-৬৮৬৬৩৫), নূর মোহাম্মদ (এসবি-৬৬৮৭৪৬), আয়েশা বেগম (এসবি-৬৪২৫৭৫), রিহাবউদ্দিন (এসবি-৬৯০৪০৬), মুক্তা বেগম (এসবি-৬৮৯৭৩১), মুক্তা বেগম (এসবি-৭০০২৪৭), আরবার সালেনূর (এসবি-৬৬৬০১৩), লাকি আকতার (এসবি-৬৯৬২৫১), রায়ফা হোসেন (এসবি-৬৯৯৩৫০) এবং ড্রাইভার মো: খোকনের (এসবি-২৫৪৭৪৭) অ্যাকাউন্টের ভুয়া জমা দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে এই অর্থ তুলে নেয়া হয়। সাইফুলের চাকরিচ্যুত ড্রাইভারের নাম খোকন। আগে তার নামে একটি ফিক্সড ডিপোজিট (এফডি-২৫৪৭৪৭) করা হয়। ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এই অ্যাকাউন্টে জমা দেখানো হয় ১০০০ টাকা। ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ জমা দেখানো হয় ৫,০০,০০০ লাখ টাকা। ২০২০সালের ২৩ মার্চ এই অ্যাকাউন্ট থেকে মুনাফাসহ উত্তোলন করা হয় ৬ লাখ ৬৯ হাজার ২শ’ টাকা। ড্রাইভারের নামে অ্যাকাউন্ট খোলার কথা এক জবানবন্দীতে স্বীকার করেন খোকন। ডাক বিভাগের অভ্যন্তরীণ তদন্তে চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করা হলেও মূল হোতা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী থেকে যান ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
জড়িতদের পুনর্বহালে জোর তৎপরতা : ২০১৬ সালে একটি আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এ সিন্ডিকেটের তৎপরতার বিষয়টি নজরে আসে। তখন সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রাম জিপিওর টাউন ইন্সপেক্টর (টিআই)। তৎকালিন পোস্টমাস্টার (সঞ্চয়) ওয়াহিদুজ্জামানের মাধ্যমে সাইফুল তার ফুফাতো ভাই, সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী সদস্য নূর মোহাম্মদকে প্রথম ‘সঞ্চয় শাখা’য় পদায়ন করেন। সেখান থেকে তাকে সঞ্চয় সাধারণ শাখায় সহকারি পোস্টমাস্টার (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে ন্যাস্ত করান। লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, সহকারি পোস্টমাস্টার (চ.দা.) হিসেবে নূর মোহাম্মদকে পদায়ন করা হলেও ওই শাখায় কোনো লেজার অপারেটর পদায়ন করা হয়নি। মূলত: এটি ছিলো অর্থ আত্মসাতে পূর্ব পরিকল্পনারই অংশ। ফলে একাধারে সহকারি পোস্টমাস্টার (চ.দা.) এবং লেজার অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নূর মোহাম্মদ একাই। লেজার অপারেটরের পদ শূন্য রেখে একটি সম্পূর্ণ তদারকীবিহীন অবস্থা সৃষ্টি করা হয়। ফলে চট্টগ্রাম জিপিওতে অবস্থিত সঞ্চয় শাখা থেকে অন্তত: ৩০ কোটি টাকা সরিয়ে ফেলা সাইফুল- নূর মোহাম্মদের সিন্ডিকেটের জন্য নির্বিঘœ হয়। অথচ পোস্ট অফিস ভলিয়ম-৮ এর বিধি-৩০৪ অনুযায়ী সঞ্চয় শাখার অনিয়ম,অসঙ্গতি ও আত্মসাতের বিষয়ে নগর পরিদর্শক (সঞ্চয়) কর্তৃক পোস্টমাস্টার (সঞ্চয়) কে রিপোর্ট করার কথা। পোস্ট অফিস ভলিউম-৮ এর বিধি ৩১৭ এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা হচ্ছে এই যে, পোস্ট মাস্টার (সঞ্চয়) দৈনন্দিন কাজের ১০ শতাংশ লেনদেন দৈবচয়নের মাধ্যমে নির্বাচন করে সেটি সিডিউল এবং পেজার মিলিয়ে তা পাস বইয়ের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন। কিন্তু টিআই সাইফুল ইসলাম চৌধুরী এবং পোস্টমাস্টার (সঞ্চয়) ওয়াহিদুজ্জামানের পারস্পরিক সমঝোতায় সরকারি অর্থ লুটের বিষয়ে রিপোর্ট করেন নি। ওয়াহিদুজ্জামানও পাস বইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন নি। সিনিয়র পোস্টমাস্টার ড.নিজামউদ্দিনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি জালিয়াতির পুরোচক্রটিকে চিহ্নিত করে। তাতে দেখা যায়, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন আত্মসাত ও জালিয়াতচক্রে রয়েছেন পোস্টমাস্টার (সঞ্চয়) মো: ওয়াহিদুজ্জামান, পোস্টমাস্টার (সঞ্চয়) নিপুল তাপস বড়–য়া, সহকারি পোস্টমাস্টার (চ.দা.) নূর মোহাম্মদসহ অন্তত: ১৮ জন। কিন্তু ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অত্যন্ত চাতুর্যের সঙ্গে নিরীহ ডাক কর্মচারি মো: জয়নাল আবেদিন, কবির আহম্মদ এবং মোহাম্মদ হাসানকেও জড়ানো হয়। সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, নিপুল তাপস বড়–য়াসহ ৭জনের সঙ্গে উপরোক্ত তিন কর্মচারিকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পক্ষান্তরে মো: ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ থাকলেও অবসরে চলে যাওয়া মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সিরাজউদ্দিনের প্রশাসন শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। বরং তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে দাবি করা হলেও কাগজপত্রে তিনি ডাক অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। সিরাজউদ্দিনের ধারাবাহিকতায় ডাক অধিদফতরের বর্তমান মহাপরিচালক (চ.দা.) মো: হারুন অর রশিদও কোনো ব্যবস্থা নেননি। উপরন্তু মো: ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার ‘বৈধতা’ দেখিয়ে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, নিপুল তাপস বড়–য়া এবং সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে তাদের স্বপদে পুন:বহালের জোর তৎপরতা চলছে। চট্টগ্রামের পিএমজি সালেহ আহমেদ সাইফুল গংদের পুন:বহালে জোরালো তৎপরতা চালাচ্ছেন। অথচ আত্মসাৎকৃত প্রায় ৩০ কোটি টাকা পুন:উদ্ধারের কোনো নাম-গন্ধও নেই। বরং ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে ডাক অধিদফতরের বর্তমান প্রশাসন জালিয়াতচক্রের পক্ষেই কাজ করছে বলে জানা গেছে। অধিদফতরের নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদনে অপরাধের ন্যায় বিচার ও অর্থ পুনরুদ্ধারে কিছু সুপারিশ ছিলো। এর মধ্যে ছিলো ডাক বিভাগের জালিয়াতচক্রটিকে প্রমাণিকভাবে চিহ্নিত করতে ওই সময় একাধারে অতিরিক্ত পোস্টমাস্টার (চ.দা.) এবং লেজার অপারেটরের দায়িত্বে থাকা নূর মোহাম্মদ ব্যবহৃত মোবাইল সিম জব্দ, কল লিস্ট সংগ্রহ, ভয়েস রেকর্ড পুনরুদ্ধার এবং ডিজিএফআই,সিআইডি, এনএসআইয়ের মতো গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা নেয়ার সুপারিশ। কিন্তু এ সুপারিশ ডাক অধিদফতর অদ্যাবধি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে। লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধারের কোনো পদক্ষেপও নেয়া হয়নি।
কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি-জানতে যোগাযোগ করা হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সঙ্গে। কিন্তু তিনি হজ্বে আছেন-মর্মে তার দফতর থেকে জানানো হয়। পরে এ বিষয়ের ওপর বক্তব্য নিতে ফোন করা হয় বাংলাদেশ ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো: হারুন অর রশিদকে। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক