আবুল কাশেমের সহযোগীদের খোঁজে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা
০৫ জুলাই ২০২৩, ১১:২৮ পিএম | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি অর্থ পাচার মামলার আসামি আবুল কাশেমের বিপুল পরিমান অর্থ বিদেশে পাচার এবং কতিপয় দুর্নীতিবাজ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতার বিষয়টি তদন্তে নেমেছে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। একই সাথে তার সাথে যে সব দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের লেনদেন রয়েছে তাদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। খুব দ্রুত তদন্ত শেষ করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হবে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, আবুল কাশেম বিদেশে বিপুল পরিমান টাকা পাচারে কার কার সাহায্য নিয়েছে সে বিষয়ে জোর তদন্ত করা হচ্ছে। তাকে (আবুল কাশেম) যেসব দুনীতিবাজ ব্যাংক কর্মকর্তা সহযোগিতা করেছে আমরা তাদেরও তালিকা করছি। একই সাথে আবুল কাশেমের ঘনিষ্ট দুনীতিবাজ ব্যবসায়ীদেরও তালিকা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এ তালিকা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে উপস্থাপন করা হবে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, আবুল কাশেমকে দ্রুত কারাগার থেকে বের করে দেশের বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করছেন একটি প্রভাবশালী মহল। ওই মহলটি দুনীতি ও টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বারণ আছে। নাম প্রকাশনা করার শর্তে তিনি বলেন, আবুল কাশেমের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করছেন আদালত। কিন্তু আমরা এখনো তাকে হেফাজতে নেইনি। এ কারণে রিমান্ড কার্যকর করা যাচ্ছে না। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পরও কেন তাকে সিআইডি হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে নাÑ জানতে চাইলে ওই কর্মকর্থা বলেন, সিআইডি প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া এই মুহূর্তে হজ্ব পালনের জন্য দেশের বাইরে আছেন। আগামি সপ্তাহে তিনি দেশে আসবেন। এরপরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২৬ জুন সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিব অর্থ পাচারের মামলায় আবুল কাশেমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২১ জুন বুধবার রাতে বিদেশ যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দরে আটকা পড়েন কাশেম। পরে তাকে সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর আগে গত ৩১ মে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার, তার স্ত্রী একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাদিয়া চৌধুরী, আলেশা মার্টকে মোটরসাইকেল সরবরাহকারী এস কে ট্রেডার্সের মালিক আল মামুন এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা কাশেমসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে সিআইডি। আসামিদের দেশ ছাড়ার ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিল। ওই মামলায় এ পর্যন্ত সিআইডি কেবল কাশেমকেই গ্রেফতার করেছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শরিফুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ
আ.লীগের দোসর সালাম আলী এখন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী!
ঘুস নেওয়ার অভিযোগ, টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ
তালাক নিয়ে যুক্তরাজ্যে যেতে চান বাশার আল-আসাদের স্ত্রী
গভীর রাতে মেসে ছাত্রীদের বিক্ষোভ, মালিকের দুই ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ