শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন বাতিলের আবেদন গ্রহণ বা নাকচ কোনোটাই করা হয়নি। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে করা আবেদনের বিষয়ে শুনানিতে কোনো আদেশ দেননি শ্রম আদালত। কিন্তু এ মামলার পরবর্তী সাক্ষা গ্রহণের জন্য ১৩ জুলাই দিন ঠিক করেছেন। এ প্রতিবেদককে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, কোনো আদেশ না দেয়ার ফলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জামিনেই থাকবেন।

ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। গতকাল আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো: খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে এ আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মো: খুরশীদ আলম খান। ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে এ আবেদন করা হয়। এতে বলা হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে অবস্থান করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার জামিন বাতিল করা প্রয়োজন।

এর আগে গত ৬ জুন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। অন্য তিনজন হলেন-এমডি মো: আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো: শাহজাহান। ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন।