১৫ জুলাই ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ পীর সাহেব চরমোনাই

জাতীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৮ জুলাই ২০২৩, ১১:৫৩ পিএম | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৩, ১২:০৫ এএম

দেশের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার। এরা দিনের ভোট রাতে চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। এটাকে বৈধ সরকার বলতে পারি না। অবৈধ সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধীকার নেই। এরা ক্ষমতায় গেলে আর নামতে চায় না। জাতীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। ইসলাম ও দেশের জন্য রাজনীতি করি। এমপি ও সম্পদের লোভে রাজনীতি করি না। অথর্ব সিইসির পদত্যাগ,ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসন, এবং জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গতকাল শনিবার পুরানা পল্টনস্থ দলীয় অফিসে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় দলীয় আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মাঠে ময়দানে একটা পরীক্ষার ব্যাপার আছে সেই পরীক্ষায় আমাদের নীতি আদর্শে যাতে দূর্বলতা না আসে। পীর সাহেব জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন ফসল ঘরে উঠানোর মৌসুম এসেছে। নাক ডেকে ঘুমালে ঘরে ফসল আসবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি নীতি আদর্শের রাজনীতি করে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সেই আদর্শের রাজনীতি করে না। ইসলামের দাওয়াত নিয়ে ময়দানে সরব থাকতে হবে। মু’মিনের চরিত্র নিয়ে মাঠে ময়দানে থাকতে পারলে বিজয় আসবেই বলে পীর সাহেব চরমোনাই উল্লেখ করেন।

মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরীর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন,অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, মাওলানাইমতিয়াজআলম, কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূম,আলহাজ আব্দুর রহমান,অধ্যাপক নাসির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, প্রকৌশলী আতিকুর রহমান মুজাহিদ ও ছাত্র নেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ। পীর সাহেব চরমোনাই অথর্ব সিইসির পদত্যাগ, ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল এবং জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী ১৫ জুলাই শনিবার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে সমাবেশ, ১৬ জুলাই থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী থানা পর্যায়ে প্রতিনিধি সমাবেশ এবং সেপ্টেম্বর মাসে জেলা ও মহানগরে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সন্ত্রাসীরা হাতপাখার প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীমের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে। তার পরেও ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্র্মীরা অত্যান্ত ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছেন। পীর সাহেব বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশই ইসলামের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাজ করছে। বর্তমান সরকার আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর অংশ হিসেবে আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেননি’ (নাউজুবিল্লাহ) বানর থেকেই মানুষ সৃষ্টি হয়েছে বলে শিক্ষা সিলেবাস চালু করেছিল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলাম বিদ্বেষী এবং ধর্মীয় জ্ঞান থেকে বঞ্চিত করার জন্য বিতর্কিত শিক্ষা নীতি চালু করেছিল। একমাত্র ইসলামী আন্দোলনই এসব নাস্তিক্যবাদ শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছিল। পীর সাহেব বলেন, আমরা পরামর্শের ভিত্তিতে আগামীকে বৃহত্তর কর্মসূচি দিবো। প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের পক্ষে যুদ্ধে অবর্তীণ হতে হবে। ভোট চোর জালেম সরকার থেকে দেশবাসীকে মুক্তি পেতে হবে। তিনি সরকার প্রধানের উদ্দেশ্যে করে বলেন, পুলিশ মিলিটারি আপনাদের নিরাপত্তার জন্য চার দিকে পাহারা দেন। একটু চিন্তা করুন কবরে গেলে কে পাহারা দিবে ? তিনি বলেন, চোর গুন্ডাদের হাতে রাজনীতি ছেড়ে দিলে হবে না। আলেমদেরও রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে। মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জগদ্দল পাথরের ন্যায় এই সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। আগামী ৪১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়। আওয়ামী লীগ এককভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চায়। আমরা প্রয়োজনে রক্ত দেবো তবু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। এই জালেম সরকারকে হটিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, খালেদ বিন ওয়ালিদ, আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী (রহ.) এর মতো মুজাহিদ চাই। এই সরকারকে টেনে হেঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ মদিনার সনদে দেশ চালাবে বলে মিথ্যাচার করেছে। এরা জাতির সাথে প্রতারণা করছে। এদের বিশ্বাস করা যায় না। তিনি বলেন, রাষ্ট্র এখন অকার্যকর। এরা দেশপ্রেমিক না এরা ক্ষমতা প্রেমিক। রাজীতিতে গুনগত পরিবর্তন আনতে হবে। ইসলামের চেতনা জনগণকে জাগ্রত করে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে যারা আছেন
‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব
যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত
জিনিসের দাম একবার বাড়লে কমানো কঠিন: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তরুণদের প্রস্তুতি নিতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
আরও

আরও পড়ুন

বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে যারা আছেন

বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে যারা আছেন

‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব

‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব

সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ

মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের ২ কর্মী বহিষ্কার

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের ২ কর্মী বহিষ্কার

পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক

পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক

পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত

পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত

পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ

পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ

ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি

ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি

এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!

আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!

ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু

ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

মতিঝিলে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান শুরু আইসিডিডিআর,বি’র

মতিঝিলে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান শুরু আইসিডিডিআর,বি’র

স্বামীর অগোচরে স্ত্রী অন্য কারও সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে?

স্বামীর অগোচরে স্ত্রী অন্য কারও সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে?

চাঁদপুর মেঘনায় মালবাহী জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত ১

চাঁদপুর মেঘনায় মালবাহী জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত ১

পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি

পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি

যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত

যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত

১৬ বছরে নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গিয়েছিল : সংস্কার কমিশন প্রধান

১৬ বছরে নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গিয়েছিল : সংস্কার কমিশন প্রধান

জিনিসের দাম একবার বাড়লে কমানো কঠিন: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

জিনিসের দাম একবার বাড়লে কমানো কঠিন: পরিকল্পনা উপদেষ্টা