এই সরকারের হাতে দেশ ও ইসলাম নিরাপদ নয়
১৫ জুলাই ২০২৩, ১১:৪৪ পিএম | আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
এই সরকারের হাতে দেশ ইসলাম নিরাপদ নয়। এরা দেশপ্রেমিক ইসলাম প্রেমিক ও মানবতা প্রেমিক হতে পারে না। এরা ক্ষমাতপ্রেমিক। এই জালেম সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই সরকার সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের ভোট রাতে চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকারের ধোকায় দ্বিতীয় বার পা’ দিতে চাই না। সরকারের পদত্যাগসহ অথর্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চ.জ) পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরনে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবি, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবহেলা ও চরম অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। পীর সাহেব চরমোনাই বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহেরশান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি পূর্ণসমর্থন দিয়ে ৩ মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামীআন্দোলনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ,প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্যআল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, উপদেষ্টা আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলাম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল মজুমদার, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, হাসমত আলী ও নুরুজ্জামান সরকার।
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমপীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার স্বাধীনতার ৫৩ বছরের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে দিনের ভোট রাতে গ্রহণ করে। সরকার জনগণের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকারকে হত্যা করেছে। শান্তিসমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে’ বক্তব্য চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটকে বাড়িয়ে তুলবে। দেশের নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় না। নির্বাচনের নামে জাতির সাথে প্রহসন না করে দলীয়ভাবে ঘোষণা দিলেই হয়, রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করার কী দরকার? সরকার ক্ষমতাপ্রেমী সরকার। তাই যে কোন ভাবে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে।দেশ আমাদের, নির্বাচনও আমাদের। সুতরাং আমার দেশের জনগণই সিদ্ধান্তনেবে নির্বাচন কিভাবে হবে? এখানে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। বিদেশীদের প্রেসক্রিপশনে রাষ্ট্র ও নির্বাচন পরিচালিত হবে না। দেশের মানুষ নানা সঙ্কট ভোগকরছে। নিত্যপণ্যের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনদূর্বিষহ করে তুলেছে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জাতীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রাজপথ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সঙ্কট আরো ঘুণিভূত হচ্ছে। সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের ন্যায় কলঙ্কিত নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। তিনি বলেন,সংবিধান রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে। তারাই বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল ও অবরোধ করেছে, ৫ শতাধিক মানুষ হত্যা করেছে।
প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আমরা সাহাবায়ে কেরামের রঙ্গে রঙ্গীন হতে চাই। এদেশে আমরা ভেসে আসিনি। এদেশে অন্যায় জুলুম হবে লুটপাট হবে আর আমরা ঘরে বসে থাকবো না। তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না। তিনি বলেন, সংবিধান দেশের জনগণের কল্যাণে পরিবর্তন করতে হবে। জাতীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, কৃষক শ্রমিকের মাথায় হাত। ঘুষ ছাড়া এখন কোনো অফিস খুঁজে পাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর প্রার্দুভাবে জনগণ দিশেহারা। তিনি বলেন, শিক্ষা সিলেবাসে সরকার নাস্তিক্যবাদে ভরে ফেলেছে। আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী বলেন, এই জালেম সরকারকে উৎখাত করতে মর্দে মুজাহিদদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বার বার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন চুরমার করে দিতে হবে। জাতীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, এক দফার এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি। এই শ্লোগান আজকে নতুন কিছু না। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন আইয়ূব বিরোধী আন্দোলন এবং ৭১ এর আন্দোলনেই এক দফা এক দাবির বিজয় হয়েছিল। তিনি বলেন, ভোট চোর আর টাকা চোর খালাতো ভাই। জনগণ এই ভোট চোর সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর গ্রেপ্তার, একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করছে সরকার : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
দোকান বরাদ্দের বিষয় খতিয়ে দেখতে কমিটি
শুটিং ফেডারেশন চলছে অপুর নির্দেশেই!
বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে পোশাক কারখানায় ৪৩২ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি তাজওয়ার আউয়াল
সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ
রংপুর রেঞ্জের নতুন ডিআইজি আমিনুল ইসলাম
গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার ৯৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি
বগুড়ায় সহযোগী সহ শীর্ষ সন্ত্রাসী সাগরকে নৃশংস কায়দায় হত্যা
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
গুজবে কান দেবেন না : জনপ্রশাসন সচিব
কোয়াড সম্মেলনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
এনজিও,নাস্তিকদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সংগ্রাম চলবে- চরমোনাই