নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণের যন্ত্র
১৬ জুলাই ২০২৩, ১১:০২ পিএম | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নাগরিক ঐক্য, এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতারা। দলগুলোর নেতারা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। সে কারণে তাঁদের বাদ দিয়ে দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ দুটি দল নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ছাড়া দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ কোনো দলের নেই। নিবন্ধনের জন্য এবার ৯৩টি দল আবেদন করেছিল। যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নামের দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। তারা তাদের পছন্দমতো দলকে নিবন্ধন দিচ্ছে। পছন্দ না হলে দিচ্ছে না। তিনি বলেন, যে দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে, তারা কারা, কে কে আছেন, সে সম্পর্কে সবাই জানেন।
নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার পর নির্বাচন কমিশন থেকে নাগরিক ঐক্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয় উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমাদের জানানো হয়েছে, আমরা পরীক্ষায় পাস করেছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত কিছু বলা হয়নি। এখন গণমাধ্যম থেকে দেখা যাচ্ছে, দুটি দলকে তারা নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের দল এর মধ্য নেই। আমাদের ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, আমরা এখন মাঠে সক্রিয় আছি। কঠোর আন্দোলনের দিকে যাচ্ছি। আমরা যাতে আন্দোলনে ভালোভাবে সক্রিয় থাকতে না পারি সে জন্যে সরকারের ইঙ্গিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া সাজানো নাটক। সরকারি এজেন্সির নির্দেশ তারা এগুলো করছে। তিনি বলেন, নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সব শর্ত পূরণ করেই আবেদন করেছি। আমাদের জানানো হয়েছিল সব ঠিক আছে। পরে নির্বাচন কমিশন যেভাবে টালবাহানা শুরু করেছিল, তাতে আমরা আগেই আঁচ পেয়েছিলাম একটা সাজানো ঘটনা ঘটবে। বাস্তবেও তাই দেখা গেলা। নির্বাচন কমিশন দলকানা সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে এর আগে আমাদের বলা হয়েছিল, তারা যাচাই বাছাই করে নিবন্ধনের যে তালিকা প্রাথমিকভাবে তৈরি করেছে, তাতে আমাদের দল এক নম্বরে ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে অন্য দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। যে দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সরকারি এজেন্সি নিয়ন্ত্রিত দল। যেমন এক-এগারোর সময় গোয়েন্দা সংস্থা কিংস পার্টির নামে দল তৈরি করেছিল, এবারও সেই প্রক্রিয়া দেখা গেল। তিনি বলেন, দলের সভাপতি নুরুল হকের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে ৪০ মিনিট কথা হয়েছে। আমরা আমাদের প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা বলেছি, আমাদের দল প্রাথমিক তালিকায় এক নম্বরে থাকা সত্ত্বেও যেভাবে আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, তাতেই প্রমাণিত হয়েছে এই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমাদের হাইকোর্টে যেতে বলেছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ