মধ্যরাতে গাড়ি থেকে সড়কে লাশ নিক্ষেপ
১৬ জুলাই ২০২৩, ১১:০৩ পিএম | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
জাতীয় পার্টি- জেপি’র কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম বাহাদুরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে লাল রঙের একটি প্রাইভেটকার থেকে শ্যামলীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে তার লাশ এক তরুণ ও এক তরুণী ফেলে যায়। পরে পথচারীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাত ও হাতের কব্জি ভেঙে এবং পায়ে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আব্দুস সালাম বাহাদুর (৫৮) জেপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে। ঢাকায় ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোডের ৩৫-এ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগে ঠিকাদারি করতেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের সময় জগন্নাথ কলেজের ছাত্রনেতা ছিলেন। জেপি হওয়ার পর কিছুদিন দলের সহযোগী সংগঠন যুব সংহতিতে ছিলেন তিনি। পরে মূল পার্টিতে যোগ দেন। রাজনীতিতে তিনি পুরো মাত্রায় সক্রিয় ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত ১১টার দিকে শ্যামলীর কলেজগেট এলাকার প্রধান সড়কে লাল রঙের একটি প্রাইভেটকার থেকে সালামের লাশ ফেলে দুর্বৃত্তরা গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। সালাম বাহাদুরের পকেটে বিজনেস কার্ড দেখে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে।
শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উৎপল বড়–য়া বলেন, ইতোমধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা গাড়িটি শনাক্ত করেছি। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
সালাম বাহাদুরের মামাতো ভাই আখতারুজ্জামান বলেন, শনিবার বেলা একটার দিকে ধানমন্ডির বাসা থেকে তিনি বের হন। আর ফিরে আসেননি। পরে মধ্যরাতে পুলিশ ফোন করে মৃত্যুর খবর পরিবারকে জানায়। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। কারো সঙ্গে তার এমন কোনো বিরোধও ছিল না। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে ইংরেজি মাধ্যম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ লেভেলে পড়ছে। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই আগেই মারা গেছেন। সালাম ছিলেন দ্বিতীয়। গতকাল বিকেলে তার লাশ বুঝে নিয়ে ইন্দুরকানির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে পরিবার। রাতেই জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করার কথা।
আখতারুজ্জামান বলেন, যারাই তাকে হত্যা করুক পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। রাজনৈতিক কারণে না ব্যবসায়িক কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। সালাম বাহাদুরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ব্যবসা করতেন। যে কারণে প্রায় দিনই তিনি অনেক রাত করে বাসায় ফিরতেন। শনিবারও দুপুরে বের হওয়ার পর পরিবারের লোকজন খোঁজ খবর করেনি। রাত ১১টা বাজলেও তারা কোন চিন্তা করেননি। এর মধ্যে পুলিশের ফোনে তারা বিষয়টি জানতে পারেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ