ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১
জিএম কাদের

কিছু পাপেট তৈরি করে সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৮ জুলাই ২০২৩, ১১:২৪ পিএম | আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালুর পায়তারা চলছে। দেশে একজন নেতা এবং আজীবনের জন্য নেতা থাকবেন। জনগণের কোন অধিকার থাকবে না, তারা প্রজা হিসেবে চাকরের মত বিবেচিত হবে। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দেশের ব্যবসায়ী ও পেশাদার সংগঠনসহ সব কিছুই এখন সিলেকশনের দিকে চলে গেছে। ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তারদের সংগঠনও সিলেকশনের দিকে যাচ্ছে। সরকার কিছু পাপেট তৈরি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়।
সরকার মানুষের মাঝে ভয়ের সংস্কৃতি ও হতাশা সৃষ্টি করতে পেরেছে মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, দুটি কাজ সরকার সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছে। একটি হচ্ছে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি। জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ে কথা বলতে পারছে না। নির্যাতন, নিষ্পেষণ এবং কঠোরভাবে দমনের ভয়ে মানুষ সরকারবিরোধী কর্মকা-ে যোগ দিতে আতঙ্কিত। আর দ্বিতীয়ত মানুষের মাঝে হতাশা সৃষ্টি করতে পেরেছে। তিন মাস দেশ বন্ধ ছিল, কিন্তু আন্তর্জাতিক কিছু সমর্থণের কারণে সরকার টিকে গেছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ মনে করে আন্দোলন করে কোনো ফল হবে না। এ দুটি বিষয় থেকে মানুষকে আস্থার জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। জনগণের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো কিছুই করতে পারবে না।
দেশে এখন গণতন্ত্র নেই জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, বর্তমান সরকার যেভাবে নির্বাচন করে যাচ্ছে, আগামীতেও এভাবে নির্বাচন করে যদি গ্রহণযোগ্য করতে পারে, তাহলে গণতন্ত্র রুদ্ধ হয়ে যাবে। তখন একজন নেতা থাকবেন, তিনি আজীবনই নেতা থাকবেন। একটিমাত্র দল থাকবে, তারা চাইলে শোভা’র জন্য কিছু পাপেট দল তৈরী করে রাখতে পারবে। নির্বাচনের পরিবর্তে হয় কিছুই সিলেকশনে হবে। কখনো নির্বাচন হলে সুপ্রীম লিডারের নির্দেশেই হবে। ##


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

'নিরাপদ চাঁদপুর' চাই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

'নিরাপদ চাঁদপুর' চাই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৩ মাসেরও বেশি সময় পর ঢাবিতে ক্লাস শুরু

৩ মাসেরও বেশি সময় পর ঢাবিতে ক্লাস শুরু

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

৩৫ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক, চলছে সমালোচনা

৩৫ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক, চলছে সমালোচনা

ইবিতে ভিসির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, মহাসড়ক অবরোধ

ইবিতে ভিসির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, মহাসড়ক অবরোধ

অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য

অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য

আ.লীগ নেতাদের সম্পর্কে চাঞ্চল্য তথ্য দিলেন যুব মহিলী লীগ নেত্রী

আ.লীগ নেতাদের সম্পর্কে চাঞ্চল্য তথ্য দিলেন যুব মহিলী লীগ নেত্রী

পরিচয় লুকানো ঢাবি শিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক কায়েম?

পরিচয় লুকানো ঢাবি শিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক কায়েম?

‘হিন্দুপ্রধান’ জম্মু দিয়ে বিজেপির পক্ষে ‘মুসলিম প্রধান’ কাশ্মির জেতা কি সম্ভব?

‘হিন্দুপ্রধান’ জম্মু দিয়ে বিজেপির পক্ষে ‘মুসলিম প্রধান’ কাশ্মির জেতা কি সম্ভব?

গাজীপুরে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ

গাজীপুরে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম

মীলাদুন্নবী মাহফিল থেকে আমরা ঈমানকে পুনর্জ্জীবিত করতে পারি  -সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল মক্কী

মীলাদুন্নবী মাহফিল থেকে আমরা ঈমানকে পুনর্জ্জীবিত করতে পারি -সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল মক্কী

কলাপাড়ায় নবজাতককে রেখে পালিয়ে গেলেন মা

কলাপাড়ায় নবজাতককে রেখে পালিয়ে গেলেন মা

প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের গলায় পরাজয়ের মাল্য

প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের গলায় পরাজয়ের মাল্য

সিলেটে একদিনে ৫ থানার ওসি বদলি

সিলেটে একদিনে ৫ থানার ওসি বদলি

সংখ্যালঘু কমিউনিটি থেকে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগের দাবি

সংখ্যালঘু কমিউনিটি থেকে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগের দাবি

তেজগাঁও থানার হত্যা মামলা ইনু-মেনন-পলক-দীপু মনি, মামুন-রুপা-শাকিল গ্রেপ্তার

তেজগাঁও থানার হত্যা মামলা ইনু-মেনন-পলক-দীপু মনি, মামুন-রুপা-শাকিল গ্রেপ্তার

নিজ বাড়িতে কোয়াড নেতাদের আমন্ত্রণ জানালেন বাইডেন

নিজ বাড়িতে কোয়াড নেতাদের আমন্ত্রণ জানালেন বাইডেন

ফিরলেন লিটনও, সঙ্গী পাচ্ছেন না শান্ত

ফিরলেন লিটনও, সঙ্গী পাচ্ছেন না শান্ত

থিতু হয়ে ফিরলেন সাকিব

থিতু হয়ে ফিরলেন সাকিব