দেশে শিশুশ্রম বাড়ছে
১৯ জুলাই ২০২৩, ১১:১৩ পিএম | আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্য ঠিক করেছিল সরকার। তবে সেই শিশুশ্রম নিরসন তো দূরের কথা গত এক দশকে কমার বদলে বেড়েছে শিশু শ্রম। গত এক দশকে যে পরিমাণ শিশুকে শ্রম থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে তার চেয়ে বেশি নতুন করে যুক্ত হয়েছে। ফলে সরকারের নেয়া উদ্যোগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক হয়নি। এখন আর বাকি দেড় বছরের মধ্যে সরকারের শিশু শ্রম নিরাসনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর দেশের আইনে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতা ভিন্ন। গত ১০ বছরে দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৭ হাজার, ২০১৩ সালে যা ছিল ৩৪ লাখ ৫০ হাজার জন। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএস জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ-২০২২ প্রকাশ করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহসান ই এলাহি, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টমো পাউটিয়াইনেন। সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ব্যুরো মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মতিয়ার রহমান। এই জরিপের কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশে শিশুশ্রম নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাতে দেখা গেছে, দেশে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ৪৯ লাখ শিশু বিভিন্ন সেক্টরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের শিশু আইন-২০১৩ অনুসারে, অনুর্ধ্ব ১৮ (আঠারো) বছর বয়স পর্যন্ত সবাই শিশু হিসেবে গণ্য হবে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এ বলা হয়েছে, শিশুদের ন্যূনতম বয়স ১৪ বছর। এর কম বয়সীদের কাজে নিয়োগ করা যাবে না। শিশুর অভিভাবক কাজ করানোর জন্য কারও সঙ্গে কোনো প্রকার চুক্তি করতে পারবেন না। তবে, এই আইনের প্রয়োগ তেমন একটা নেই বললেই চলে। দেশের সব সেক্টরেই শিশুরা পরিবারের প্রয়োজনে শিশু শ্রমে যুক্ত হচ্ছে।
বিবিএসের জরিপে দেখা গেছে, ২০১৩ সালে দেশে কর্মে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৯ জন। যা দশ বছরের ব্যবধানে বেড়ে ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৩৭ হাজার জন। এরমধ্যে শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করে ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭ জন। আর বাকি ১৭ লাখ ৬০ হাজার ৮৩০ জন শিশু কাজ করলেও তারা শিশু শ্রমিক নয়।
জরিপে দেখা গেছে, এখনো ১০ লাখ ৬৮ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। যা ২০১৩ সালে ছিল ১২ লাখ ৮০ হাজার ১৯৫। অর্থাৎ ১০ বছরের ২ লাখ ১২ হাজার শিশু শ্রমিক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ফিরে এসেছে। কিন্তু এতে আত্ম তৃপ্তির কোন সুযোগ নেই কারণ এই সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আসার কথা ছিল। মোট শিশু শ্রমিকের এখনো ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মেয়ে শিশুর তুলনায় ছেলে শিশুদের অংশগ্রহণ বেশি। তবে একই সময়ে বেড়েছে ঝুঁকিমুক্ত কাজে শিশুদের অংশগ্রহণ। ২০১৩ সালে ঝুঁকিমুক্ত কাজে নিয়োজিত ছিল চার লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন শিশু। যা ২০২২ সালে প্রায় তিন লাখ বেড়ে হয়েছে সাত লাখ সাত হাজার ৮৮৫ জনে।
জরিপে দেখা যায়, সামগ্রিক শিশু শ্রমিকের হার ২০১৩ সালের ৪ দশমিক তিন থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ দশমিক চার শতাংশ। জরিপে তথ্য বলছে, দেশে এখন মোট পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা তিন কোটি ৯৯ লাখ ৬৪ হাজার পাঁচজন। যা ২০১৩ সালে ছিল তিন কোটি ৯৬ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৪ জন। এক দশকে শিশু বেড়েছে তিন লাখ ১১ হাজার ৬২৩ জন।
জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৫-১৭ বছর বয়সী শিশুদের সংখ্যা হলো ৩৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন। তাদের মধ্যে যথাক্রমে শ্রমজীবী শিশুর সংখ্যা ৮ দশমিক ৯ শতাংশ) এবং শিশুশ্রমে নিযুক্ত শিশুর সংখ্যা ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৩ সালের শিশুশ্রম জরিপে দেখা গেছে যে, ৫-১৭ বছর বয়সী শিশুদের সংখ্যা ছিল ৩৯,৬৫২,৩৮৪। তাদের মধ্যে যথাক্রমে ৩,৪৫০,৩৬৯ সংখ্যক ( ৮ দশমিক ৭ শতাংশ) শ্রমজীবী শিশু এবং শিশুশ্রমে নিযুক্ত শিশুর সংখ্যা ছিল ১,৬৯৮,৮৯৪ বা ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাতীয় শিশুশ্রম জরিপের উদ্দেশ্য ছিল শ্রমজীবী শিশুর সংখ্যা, শিশুশ্রম এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা চিহ্নিত করা; বিভিন্ন সেক্টর, অবস্থান এবং পরিবার অনুযায়ী শিশু জনগোষ্ঠীর তথ্য সংগ্রহ করা। এছাড়া শিশু জনসংখ্যার শিক্ষা অর্জনের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের এই উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেশ থেকে শিশুশ্রম নির্মূল করার জন্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়।
জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুযায়ী ৫১ দশমিক ৭৯ শতাংশ (২০,৬৯৮,০৭৭ বা ২০ দশমিক ৭০ মিলিয়ন) হলো পুরুষ শিশু এবং বাকি ৪৮ দশমিক ২১ শতাংশ (১৯২৬৫৩৭৫ বা ১৯ দশমিক ২৭ মিলিয়ন) হলো নারী শিশু। কর্মজীবী শিশুদের সংখ্যা ৩,৫৩৬৯২৭ জন, যার মধ্যে ২,৭৩৪,০৪৪ পুরুষ শিশু এবং ৮০২,৮৮৩ নারী শিশু রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের মধ্যে পুরুষ শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ৮৯৫,১৯৫ এবং নারী শিশুর সংখ্যা ১৭৩০১৭ জন।
৫-১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে, গ্রামাঞ্চলে ৩০ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন শিশু এবং শহরাঞ্চলে ৯ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন শিশু রয়েছে। গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে কর্মরত শিশুদের সংখ্যা যথাক্রমে ২,৭২৫,৪০০ (৯ শতাংশ), এবং ৮৯১,৫২৭ (৮ দশমিক ৪ শতাংশ)। একইভাবে, গ্রামীণ এলাকায় শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ১,৩৩৭, ৪৬৪ (৪ দশমিক ৪ শতাংশ) এবং শহরাঞ্চলে ৪৩৮,৬৩৪ (৪ দশমিক ৬ শতাংশ)। গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে জড়িত শিশু রয়েছে যথাক্রমে ৮৩২.৬৯৩ (২ দশমিক ৭ শতাংশ) এবং ২৩৫৫১৯ জন (২ দশমিক ৪ শতাংশ)।
অর্থনৈতিক খাতসমূহের বিবেচনায়, ৫-১৭ বছর বয়সী মোট শিশুদের মধ্যে ১,০৭৯,৫৫৯ বা ১ দশমিক শূন্য ৮ মিলিয়ন শিশু কৃষি খাতে, ১,৯৯১,৮০৬ বা ১ দশমিক ১৯ মিলিয়ন শিশু শিল্প খাতে এবং ১,২৭০,৪৩১ বা ১ দশমিক ২৭ মিলিয়ন শিশু যথাক্রমে সেবা খাতে নিয়োজিত রয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে শিশুদেরকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহসান এ ইলাহি বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩ বছরে ১ লাখ ৯০ হাজার শিশুকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। আমরা ২৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছি যার মাধ্যমে ১২ লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। আমরা ইতিমধ্যে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করেছি। শিগগরিই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, আমরা শিশুদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনবো। তাদের কর্মমুখী শিক্ষা দেয়া হবে যাতে লেখাপড়া শিখে কাজ করতে পারে। এবং পরিবারগুলো যাতে বাচ্চাদেরকে লেখাপড়া করতে পাঠায় তার জন্য পরিবারগুলোকে ও আর্থিক সহায়তা করা হবে। শিশুশ্রম জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং দারিদ্র্যের কারণেই শিশুদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করা হয়। ধনী পরিবারের ছেলেরা তো শিশু শ্রমিক হয় না। সরকার দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমাতে কাজ করছে। আমরা আর্থিকভাবে ভালো অবস্থানে যেতে পারলে এগুলো এমনিতেই কমে যাবে।
অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড শাহনাজ আরেফিন বলেন, শিশুশ্রম সেভাবেই হোক নিরসন করতে হবে। কারণ তারাই আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই সুন্দর পৃথিবীর গড়তে হলে যেসব কারণে শিশু শ্রম তৈরি হয় সেগুলোকে বন্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, স্কুলগুলোতে মিড ডে মিল চালু করলে শিশুদেরকে কাজ থেকে স্কুলে ফেরানো যাবে। আমাদের দেশের চার দেয়ালের ভেতরে যে শিশুশ্রম হয় তাদের আমাদের বের করে আনতে হবে। বাসা বাড়িতে অনেক বাচ্চারা শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এদিকে গত মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে ৪০ শতাংশ শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শিশুশ্রম বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়। তাই শিশুশ্রম বন্ধ করে শিশুদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। সবধরনের শিশুশ্রম বন্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে শিশুশ্রমকে নিষিদ্ধের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করতে করে শিশু নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।
জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি অনুযায়ী ২০১৩ সালে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তালিকায় ৩৮টি কাজকে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সম্প্রতি আরো ৫টি কাজ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। ২০২১ সালের জুনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ইউনিসেফের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬০ মিলিয়ন। শেষ চার বছরে বাড়ে ৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন গ্রেফতার
চোটে ছিটকে গেলেন রাসেল, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেন জোসেফ
তারাকান্দায় অজ্ঞান পার্টির নারী সদস্য গ্রেফতার
টেস্ট দলে শান্তর জায়গায় শাহাদাত
যশোর সেনানিবাসে কোর অব সিগন্যালস এর অধিনায়ক সম্মেলনে সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
রাশিয়ান ড্রোন হামলার তীব্রতায় ইউক্রেনের সাধারণ পরিবারগুলো বিপর্যস্ত
ছাত্রদলের সহায়তায় রাবিতে ভর্তির স্বপ্ন পূরণ আবু সাইফের
জলবিদ্যুৎ ভাগাভাগিতে দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির প্রস্তাব ড. ইউনূসের
ঝিকরগাছায় নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাঁশ বাগানে
যশোরে ডা. শামা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন
ইনু-সাদেক খান ও সলিমুল্লাহ নতুন মামলায় গ্রেফতার
"খুনসুটি" নিয়ে ছোট পর্দার ফিরছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা এবং খায়রুল বাসার"
কন্যার ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে মুজিবের ছবি সরানো হয়েছে : মাহফুজ আলম
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছীতে সবুজ নামের এক যুবককে মোটরসাইকেলসহ পুড়িয়ে হত্যা
টাঙ্গাইলে নিরাপদ সড়কের দাবীতে রাস্তায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী
ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভক্ত করেছে, আমরা বিভক্তি দুর করে এক্যবদ্ধ জাতী চাই- ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব
আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে অস্ট্রেলিয়া-বালি ফ্লাইট বন্ধ
১০০০ গোলের স্বপ্ন এখনও দেখছেন রোনালদো?
কুয়াকাটায় রাস উৎসবের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি, সাজ সাজ রব
কাপ্তাইয়ের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সীতাকুণ্ড হতে গ্রেপ্তার