ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না
১৯ জুলাই ২০২৩, ১১:৩০ পিএম | আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
মহান আল্লাহ পাক নিখিল বিশ্বের ¯্রষ্টা এবং অনন্ত বিজ্ঞানী। ভূম-ল ও নভোম-লের দিন, মাস এবং বছর গণনা ও সময় নির্ধারণের বিষয়টি তিনি সৃষ্টির আদি লগ্নেই স্থিরীকৃত করে দিয়েছেন। এতদপ্রসঙ্গে আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও জমীনের সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর কাছে গণনায় মাস বারটি, এর মধ্যে চারটি হলো নিষিদ্ধ মাস। এটাই প্রতিষ্ঠিত দ্বীন। কাজেই এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করো না। (৯ নং সূরা আত্ তাওবাহ: আয়াত ৩৬-এর প্রথমাংশ)।
এই আয়াতাংশের অর্থ ও মর্মের প্রতি গভীর দৃষ্টিতে তাকালে যে তত্ত্ব ও তথ্য সুস্পষ্ট দিবালোকের মতো ফুটে উঠে, তা হলো এই। যেমনÑ (এক) এই আয়াতাংশের দ্বারা এ ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, মাসগুলোর ধারাবাহিকতা নির্ধাারিত হয়েছে আসমান ও জমীনের সৃষ্টি পরবর্তী মুহূর্তেই। আর এখানে কী কিতাবিল্লাহ বলে আরো সুস্পষ্ট করা হয়েছে যে, বিষয়টি সৃষ্টির প্রথম দিনেই তাকদীরে সুনির্দিষ্ট করা আছে। আর সে অনুসারে লওহে মাহফুজে লিখিতও রয়েছে।
(দুই) আর এ কথাও বলে দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহর নিকট গণনায় মাস হলো বারটি। এখানে উল্লেখিত ইদ্দত শব্দের অর্থ গণনা। আর শাহরুন-এর বহুবচন হলো শুহুর। এতে করে আয়াতের সারমর্ম হলোÑ আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা বারটি নির্ধারিত। এতে কম-বেশি করার কারো সুযোগ নেই। জাহেলিয়াত যুগের লোকেরা এই নির্ধারণকে পরিবর্তন করলেও তোমরা (বিশ্বাসীরা) তা বদলাতে পার না। তোমাদের কাজ হবে আল্লাহর এ নির্দেশ মোতাবেক সেটাকে ঠিক রেখে আনুগত্য প্রদর্শন করা।
(তিন) হিজরী দশম সালে বিদায় হজ্জের সময় মিনা প্রান্তরে প্রদত্ত ভাষণে রাসূলুল্লাহ (সা:) নিষিদ্ধ ও সম্মানিত মাসগুলোকে চিহ্নিত করে বলেনÑ তিনটি মাস হলো ধারাবাহিক, যথাÑ যিলকদ, যিলহজ্জ ও মহররম। অপরটি হলো রজব। (সহীহ বুখারী: ৩১৯৭, সহীহ মুসলিম: ১৬৭৯)। হযরত আবু বাকরাহ (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, নিশ্চয়ই সময় আবার ঘুরে তার নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ফিরে এসেছে, সে পদ্ধতিতে আল্লাহ পাক আসমান ও জমীন সৃষ্টি করেছেন, সে দিনের মতো। মাসের সংখ্যা বারটি। তন্মধ্যে চ্রটি হচ্ছে নিষিদ্ধ বা মর্যাদাপূর্ণ মাস। তিনটি পরপর যিলকদ;, যিলহজ্জ ও মহররম। আর হচ্ছে মুদার গোত্রের রজব মাস, যা যুমাদাস সানী ও শাবান মাসের মাঝখানে থাকে। (সহীহ বুখারী: ৪৬৬২; সহীহ মুসলিম: ১৬৭৯)
(চার) আর এ কথাও প্রণিধানযোগ্য যে বছরের বারটি মাসের ধারাবাহিকতা নির্ধারণ ও সম্মানিত মাসগুলোর সাথে সম্পৃক্ত হুকুম আহকামকে সৃষ্টির প্রথম পর্বের আল্লাহর নিয়মের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সঙ্গতিশীল রাখাই হলো দ্বীন ইসলাম। এতে কোনো মানুষের কম-বেশি কিংবা পরিবর্তন-পরিবর্ধন করার প্রয়াস অসুস্থ বিবেক ও মন্দ স্বভাবের আলমত। আর এর দ্বারা আরো প্রমাণিত হয় যে, মাসগুলোর ধারাবাহিকতা এবং মাসগুলোর যে নাম ইসলামী শরীয়াতে প্রচলিত তা মানব রচিত পরিভাষা নয়, বরং মহান রাব্বুল আলামীন যে দিন আসমান ও জমীন সৃষ্টি করেছেন, সে দিনই মাসের তরতীব, নাম ও বিশেষ মাসের সাথে সংশ্লিষ্ট হুকুম আহকাম সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এর মাঝে যে বা যারা পরিবর্তন সাধনের চেষ্টা-তদবির করবে, তাদের অবিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করাটাই সমীচীন হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
তেজগাঁও থানার হত্যা মামলা ইনু-মেনন-পলক-দীপু মনি, মামুন-রুপা-শাকিল গ্রেপ্তার
নিজ বাড়িতে কোয়াড নেতাদের আমন্ত্রণ জানালেন বাইডেন
ফিরলেন লিটনও, সঙ্গী পাচ্ছেন না শান্ত
থিতু হয়ে ফিরলেন সাকিব
হঠাৎ কেন ভারত সফরে যাচ্ছেন চীন ঘনিষ্ঠ মুইজ্জু
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ফের ৫ দিনের রিমান্ডে
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীর পদত্যাগ
হেলিকপ্টারের তেল শেষ! ভোটপ্রচারে যেয়ে বিপাকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
নির্বাচনের পর শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি
রামাল্লায় ভারী অস্ত্র নিয়ে আল জাজিরা অফিসে ইসরাইলি সেনাদের হানা
শান্ত-সাকিবের সাবধানী শুরু
ট্রাম্পের সঙ্গে আবারো মুখোমুখি হতে চ্যালেঞ্জ কমলার
পরিচারককে অপমান! মেয়েকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে বিপাকে রণবীরের বোন
হার্ট অ্যাটাক করেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না, হাসপাতালে ভর্তি
দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধে অচল তিন পার্বত্য জেলা
যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছে প্রথম দিনেই বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে যে আলোচনা হলো মোদির
পাগড়ি বিতর্কে সাফাই দিয়ে বিজেপিকে তোপ রাহুলের
বিপুল সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাবে বাংলাদেশ : আশা ৪ মার্কিন সিনেটের
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ড. জাকির নায়েক
খালেদা জিয়া মানসিকভাবে অনেক শক্ত : মুশফিকুল আনসারী