ভার্মি কম্পোস্টে স্বাবলম্বী কৃষক কাশেম
২২ জুলাই ২০২৩, ১০:৪৩ পিএম | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কৃষক আবুল কাশেম। কেঁচো সার উৎপাদনের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেছেন মাশরুম, পানের বরজ, শাক-সবজির বাগান, নার্সারি, মাছ চাষ ও গরুর খামারসহ সমন্বিত কৃষি খামার। কেঁচো সার, মাশরুমসহ খামারে উৎপাদিত শাক সবজি, মাছ ও গরুর দুধ বিক্রি করে প্রবাস ফেরত আবুল কাশেম এখন মাসে আয় করেন প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
সম্প্রতি মীরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের কৃষক আবুল কাশেমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে দোচালা টিনের ঘর। ঘরের নিচে সিমেন্টের তৈরি ৩৪টি রিং স্ল্যাব। এ সময় কথা হয় আবুল কাশেমের সঙ্গে। তিনি বলেন, এসব রিং স্ল্যাবে ২ বছর ধরে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন তিনি। রিং স্ল্যাবে গোবর, মুরগির বিষ্ঠা ও কলাগাছ টুকরা টুকরা করে কেটে মিশ্রণ করা হয়। স্ল্যাবে ছেড়ে দেওয়া হয় কেঁচো। তারপর চটের বস্তা দিয়ে স্ল্যাব ঢেকে রাখা হয়।
জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা হিসেবে পাওয়া ৬টি রিং ও বাকি রিংগুলো নির্জ খরচে এবং ৩ হাজার কেঁচো দিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি শুরু করেন। প্রথমে রিং ও ঘর নির্মাণসহ মোট খরচ হয় প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এক মাসে উৎপাদন হয় ১০ মণ কেঁচো সার। প্রতি কেজি সার ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি প্রতি কেজি কেঁচো এক হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করেন তিনি। এছাড়া মাশরুম, নার্সারির চারা, মাছ, গরুর দুধ বিক্রি করে উদ্যোক্তা আবুল কাশেমের এখন মাসে আয় ৩০ হাজার টাকা। আয়ের অর্থ দিয়ে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছেন।
এদিকে আবুল কাশেমের উৎপাদিত কেঁচো সার স্থানীয় কৃষকদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। করেরহাট ইউনিয়নের বিশ্বটিলা এলাকার কৃষক শিপন মিয়া জানান, আবুল কাশেমের কেঁচো সার ফসলে ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছি। পাশাপাশি তার সমন্বিত কৃষি খামার আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
কৃষক আবুল কাশেম বলেন, আমাদের দেশে যে হারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ছে, তাতে ধানের চাষ করে লাভ হয় না। তাই কৃষি বিভাগের পরামর্শে কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করি। উৎপাদিত জৈব সার স্থানীয় কৃষকদের কাছে বিক্রি করছি। এছাড়া পিচ হিসেবে অথবা কেজি দরে কেঁচো কিনতে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, টেকনাফসহ বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আসেন। পাশাপাশি মাশরুম উৎপাদন করে খরচের তুলনায় অর্ধেক লাভ করছি। সমন্বিত কৃষি খামার গড়ে তুলে অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ করছি শুধুমাত্র পরিশ্রমের মাধ্যমে।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট সার ফসল উৎপাদনে খুবই উপযোগী একটি সার। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে এ সার উৎপাদন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা কৃষক পর্যায়ে এ সারের ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি। সেই সঙ্গে এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় উৎকৃষ্টমানের ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রস্তুতে খামারিদের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে আসছি। স্থানীয় কৃষক আবুল কাশেম ইতোমধ্যে ভার্মি কম্পোস্ট সার, মাশরুম উৎপাদন ও সমন্বিত কৃষি খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে যারা বেকার ও হতাশ যুবকদের জন্য প্রকৃষ্ট উদাহরণ স্বাবলম্বী প্রবীণ কৃষক আবুল কাশেম।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক