আইভিএফ : নিঃসন্তানদের জন্য আশার আলো
২২ জুলাই ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
১৯৭৮ সালের জুলাইতে ম্যানচেস্টারে লুইস ব্রাউনের জন্মের পর সবাই অবাক হয়ে দেখেছিল যে, দুটি চোখ, দশটি হাতের আঙুল, দশটি পায়ের আঙুল নিয়ে কৃত্রিমভাবে জন্মানো বিশ্বের প্রথম ‘টেস্ট-টিউব শিশু’টি অন্য শিশুদের মতাই স্বাভাবিক ছিল। এমন একটি বিশ্বে যেখানে প্রতি ৬ জনের একজন বন্ধ্যাত্বের শিকার, সেখানে ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ (আইভিএফ) সারা বিশ্বে বন্ধ্যাত্বের প্রধান চিকিৎসা হয়ে উঠেছে। সেই থেকে এ পর্যন্ত টেস্ট টিউব বা কাঁচের পাত্রে অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ জন্মেছে। আইভিএফ শিশুরা অন্যান্য শিশুদের মতোই সুস্থ এবং স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের মা-বাবার কাছে, যাদের অধিকাংশই সুদীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ্যাত্বের সাথে লড়াই করে, তাদের কাছে তারা অলৌকিকের থেকে কিছু কম নয়। যদিও আইভিএফ চিকিৎসা বেশিরভাগ সময়ই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়, তবে বিজ্ঞান উন্নতির সাথে এই চিকিৎসা পদ্ধতিটির আরো উন্নতি ঘটছে এবং নিঃসন্তানদের জন্য আশার আলো ছড়াচ্ছে।
প্রডুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে আইভিএফ মহিলাদের জন্য আরো ভাল এবং নিরাপদ হয়ে উঠছে, একই সাথে একাধিক শিশু প্রসবের হার হ্রাস পাচ্ছে, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণের সংখ্যা কমে গেছে। হরমোন চিকিৎসা এবং ডিম্বাণু ও শুক্রাণু হিমায়িত করে টেস্ট টিউবে এবং সারোগেসি বা বিকল্প জঠরে প্রবেশ করানোর মতো মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে আইভিএফ অনেককে সন্তান জন্মের পথ করে দিয়েছে। তবুও মহিলাদের জন্য শারীরিকভাবে যন্ত্রণাদায়ক এবং দম্পতিদের জন্য মানসিকভাবে পীড়াদায়ক। এটি এখনও প্রক্রিয়াটি কঠিন ও ব্যয়বহুল রয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে এক পর্বের আইভিএফ চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার পর্যন্ত ডলার খরচ হতে পারে। দেশটিতে ২০১৮ সালে জন্ম নেওয়া ৭ লাখ ৭০ হাজার শিশুর জন্য ৩টি করে পর্ব বা সাইকেল প্রয়োজন হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে এই চিকিৎসা নেয়াদের প্রায় অর্ধেক তাদের কোলে একটি শিশু নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে, এমনকি টানা কয়েক বছর এবং আট পর্বের চিকিৎসার পরেও।
দ্য ইকোনোমিস্টের প্রযুক্তি ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা মানব দেহের স্টেম সেলগুলো বা মজ্জা নিয়েও কাজ করছেন, যা শরীরের অনেক বিশেষ কোষে পরিণত হওয়ার ক্ষমতা রাখে, তারা ত্বক এবং রক্তকোষ থেকে ডিম্বকোষ তৈরি করার গবেষণা করছেন, একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যাকে বলা হচ্ছে ভিট্রো গেমটোজেনেসিস (আইভিজি)। কিছু দল এসব কৌশ মানুষের ওপর প্রয়োগ করার জন্য কাজ করছে। এটি সফল হলে দান করা ডিম্বাণু, শুক্রাণু এবং ভ্রুণের ওপর তাদের গবেষণার জন্য আর নির্ভর করতে হবে না, যা প্রায়ই রোগীরা উদারভাবে প্রদান করে থাকে। অন্যান্য দল সরাসরি ভ্রুণ তৈরির জন্য স্টেম সেল ব্যবহার করার কাজ করছে। যেখানে ১৯৬০ এবং ৭০-এর দশকের লিঙ্গ বিপ্লব নারীদের ইচ্ছা না থাকলে সন্তান না নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছিল, সেখানে উদীয়মান প্রযুক্তিগুলো আরো একটি নতুন বিপ্লবের সূচনা করতে পারে, যা নারী ও পুরুষকে তাদের ইচ্ছামতো সময় ও সঙ্গীর সাথে সন্তান ধারণ করতে ক্ষমতা দিতে পারে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক