যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন : প্রাণঘাতী তাপে ভুগছে বিশ্ব
২২ জুলাই ২০২৩, ১১:২০ পিএম | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
চলতি জুলাইয়ের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যারিজোনার ফিনিক্সে দৈনিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১শ’ ১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) উপরে তাপমাত্রার মধ্যে সবচেয়ে ভাল যা ঘটছে, তা হল শহরটির বিদ্যুৎ গ্রিড নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছে। এর অর্থ হল, ফিনিক্সের বাড়িঘর, অভ্যন্তরীণ কর্মক্ষেত্র এবং সর্বজনীনভাবে উপলব্ধযোগ্য শীতাতপ ঘরগুলি কাজ করছে। শহরটিতে চরম তাপ বা হিট স্ট্রোকে অনেকের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও হবে এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কিন্তু যদি অ্যারিজোনার গ্রিড বিপর্পস্ত হয়, তাহলে, প্রথমেই তাপ মানুষকে মেরে ফেলবে এবং যুক্তরাষ্ট্র এক সময় প্রচন্ড দাবদাহের হারিকেন ক্যাটরিনা দেখতে পাবে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, যেখানে ১০কোটি তীব্র গরমে মানুষ তাপ-পরামর্শক বিজ্ঞপ্তির অধীনে রয়েছে, বর্তমানে সারা বিশ্বে এ ধরনের চরম তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে।
ভূমধ্যসাগরের বেশিরভাগ অংশ একই ধরনের দাবদাহের মধ্যে রয়েছে। মাদ্রিদ থেকে কায়রো পর্যন্ত তাপমাত্রা ৪০ ডিগি সেলসিয়াস (১শ’৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে। কায়রোর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বেইজিংয়ে ১৮ জুলাই ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টানা ২৭ তম দিন সহ গত ২৩ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙেছে। বিস্তৃত তীব্র উত্তাপ বৈশি^ক প্রতিকূলতা বৃদ্ধি করছে, ফসলহানি এবং গবাদি পশু হত্যা সহ বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করছে। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে এটি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য যে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, তার প্রভাব শহরগুলোতে সবচেয়ে বেশি। কম গাছপালা, বেশি সূর্যালোক-শোষণকারী পাকারাস্তাগুলি এবং বেশি বর্জ্যনিষ্কাশন তাপ উৎপন্ন করে সার্বিক তাপমাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। শহরগুলিতে প্রায়শই অতি দূষিত বায়ু বিরাজ করে, বিশেষ করে এমন জায়গাগুলিতে যেখানে সবচেয়ে দরিদ্ররা বাস করে। নোংরা বাতাসের পাশাপাশি চরম উত্তাপ ফুসফুস এবং হৃৎপিন্ডের প্রসারণ ঘটিয়ে শারিরীক জটিলতা ঘটাচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলি বসবাস করে উন্নয়নশীল বিশ্বে, যেখানে শীতাতপনিয়ন্ত্রণের অভাব দাবদাহকে প্রাণঘাতি করে তুলেছে। এই দেশগুলির নেতাদের বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদদের অন্তত ভোটের জন্য হলেও শীতলকরণ পরিকল্পনা নেয়া উচিত। দুর্ভাগ্যবশত, এই ধরনের কৌশল এমন জায়গাগুলিতে কাজ করে নপ, যেখানে ভোটাররা ইতিমধ্যেই রাজনীতিবীদদের ব্যর্থতার জবাব দিতে অপারগ। গবেষণাগুলি বলছে যে, যে স্থানগুলিতে পরিস্থিতি এখনও কোনও মারাত্মক পর্যায়ে পৌছায়নি, সেখানে ভয়ানক তাপপ্রবাহের ঝুঁকি বাড়ছে। কিন্তু, অদূর ভবিষ্যতে তীব্র উত্তাপ মোকাবেলার প্রস্তুতি তাদের নেই। সৌভাগ্যবশত, ফিনিক্স অন্তত জানে যে, আগামী কয়েক দশকে কি ঘটতে যাচ্ছে এবং কী করতে হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক