ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না
২২ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল্ মুহাররাম শব্দটিকে তিনটি রূপে (মুহাররামুন, মুহাররামান, মুহাররামাতুন) কুরআনুল কারীমে সর্বমোট পাঁচবার ব্যাবহভর করেছেন। এতে করে এই শব্দটিা অর্থ ও মর্ম যে ব্যাপক ও সুদূর বিস্তৃত তা সহজেই অনুমান করা যায়।
(এক) ‘মুহাররামুন’ রূপে শব্দটির ব্যবহার আল কুরআনে তিনবার লক্ষ করা যায়। (১) ইরশাদ হয়েছে: ‘আর তারা যখন বন্দিরূপে তোমাদের কাছে উপস্থিত হয় তখন তোমরা মুক্তিপণ দাও, অথচ তাদের বহিষ্কার করাই তোমাদের ওপর হারাম ও নিষিদ্ধ ছিল’। (সূরা বাকারাহ : আয়াত ৮৫)। (২) ইরশাদ হয়েছে: ‘তারা আরো বলে, এসব গবাদি পশুর পেটে যা আছে তা আমাদের পুরুষের জন্য নির্দিষ্ট এবং এটা আমাদের স্ত্রীদের জন্য অবৈধ ও হারাম। আর সেটা যদি মৃত হয় তবে সবাই এতে অংশীদার’। (সূরা আল আনয়াম : আয়াত ১৩৯)। (৩) ইরশাদ হয়েছে: ‘হে আমার পরওয়াদিগার! আমি আমার বংশধরদের কিছু সংখ্যককে অনুর্বর উপত্যকায় আপনার মর্যাদাপূর্ণ পবিত্র ঘরের কাছে বসবাস করালাম। হে আমাদের পরওয়াদিগার! এ জন্য যে তারা যেন সালাত কায়েম করে’। (সূরা ইবরাহীম: আয়াত ৩৭)। এই আয়াতসমূহের আলোকে অনুধাবন করা যায় যে, মুহাররামুন শব্দটি নিষিদ্ধ, অবৈধ এবং অলঙ্ঘনীয় মর্যাদার অধিকারী অর্থেও ব্যবহৃত হয়েছে।
(দুই) ‘মুহাররামান’ রূপে শব্দটির ব্যবহার আল কুরআনে একবার লক্ষ করা যায়। (১) ইরশাদ হয়েছে: ‘বলুন, আমার প্রতি যে ওহী করা হয়েছে তাতে লোকে যা খায় তার মধ্যে আমি কিছুই নিষিদ্ধ বা হারাম পাই না; মৃত, বহমান রক্ত ও শূকরের মাংস ছাড়া, কেননা এগুলো অবশ্যই অপবিত্র’। (সূরা আল আনয়াম : আয়াত ১৪৫)। এখানে ‘মুহাররামান’ শব্দটি নিষিদ্ধ ও হারাম অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
(তিন) ‘মুহাররামাতুন্’ রূপে শব্দটির ব্যবহার আর কুরআনে একবার পরিদৃষ্ট হয়। (১) ইরশাদ হয়েছে: ‘আল্লাহ বললেন, তবে তা চল্লিশ বছর তাদের জন্য নিষিদ্ধ ও অবৈধ করা হলো, তারা জমীনে উ™£ান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াবে। কাজেই আপনি ফাসিক সম্প্রদায়ের জন্য দুঃখ করবেন না’। (সূরা আল মায়েদাহ : আয়াত ২৬)।
এখানে ‘মুহাররামাতুন’ শব্দটি নিষিদ্ধ ও অবৈধ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। পরিশেষে একথা স্পষ্টতই বলা যায় যে, মুহাররাম শব্দটির অর্থ ও মর্ম খুবই ব্যাপক ও বিস্তৃত। এর দ্বারা কেবলমাত্র অবৈধ ও নিষিদ্ধ অর্থই বোঝায় না, বরং এর দ্বারা শ্রেষ্ঠতম মর্যাদার অধিকারী বস্তু এবং বিষয়কেও চিহ্নিত করা হয়। যেমন পবিত্র কাবা গৃহকে মর্যাদাপূর্ণ গৃহ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। সুতরাং ইসলামী বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস ‘আল মুহাররামকে’ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বৎসরের প্রথমে সংস্থাপন করে এর মর্যাদা, সম্মান ও মর্তবাকে সীমাহীন স্তরে উন্নীত করেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বস্তুত ‘মুহাররাম’ কেবলমাত্র গুণবাচক একটি নামই নয় বরং এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট রয়েছে মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের পছন্দনীয় জীবনব্যবস্থা ইসলামের যাবতীয় হুকুম-আহকাম ও ব্যবহারিক কর্মপন্থা। এ জন্য বিশ্ব মুসলিম মিল্লাতের উচিত মাহে মুহাররামের যথাযথ মর্যাদা ও পবিত্রতাকে প্রাণপণে অক্ষুণœ ও অমলিন রাখা। আল্লাহ পাক আমাদের এর জন্য বরকতময় তাওফীক এনায়েত করুন, এটাই আজকের একান্ত প্রত্যাশা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক