ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না
২৫ জুলাই ২০২৩, ১১:৪৩ পিএম | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০৩ এএম
আরবি ইসলামী বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস আল মুহাররাম মূলত দোয়া, এস্তেগফার, তাওবাহ ও পরোপকারের মাস। এ মাসে জালতিকও পারলৌকিক বিষয়াবলিতে অধিক কল্যাণ ও মঙ্গল লাভের প্রত্যাশায় অধিকহারে দোয়া, মোনাজাত করা মুসলমান মাত্রেরই কর্তব্য। মহান আল্লাহ তায়ালা অনুগত বান্দাহদেরকে দোয়ার কতিপয় আদব শিক্ষা দিয়েছেন। এতদসম্পর্কে আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : ‘তোমরা বিনিতভাবে ও গোপনে তোমাদের পরওয়ারদিগারকে ডাক, নিশ্চয় তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না’। (সূরা আল আরাফ : আয়াত ৫৫)। এই আয়াতে ‘তাদাররু’ শব্দের অর্থ হলো অক্ষমতা, বিনয় ও ন¤্রতা প্রকাশ করা এবং ‘খুফইয়াতান্’ শব্দের অর্থ হলো গোপনে ও নিরবে। এ শব্দ দ্বয়ে দোয়ার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ আদব বর্ণিত হয়েছে। প্রথমত, অপারগতা ও অক্ষমতা এবং বিনয় ও ন¤্রতা, যা দোয়ার প্রাণশক্তি। মহান আল্লাহর কাছে এর মাধ্যমে নিজের অভাব-অনটন ব্যক্ত করা। দ্বিতীয়ত, চুপি চুপি ও সংগোপনে দোয়া করা, যা উত্তম এবং কবুলের নিকটবর্তী। করাণ, উচ্চঃস্বরে দোয়া চাওয়ার মধ্যে প্রথমত, বিনয় ও ন¤্রতা বিদ্যমান থাকা কঠিন। দ্বিতীয়ত, এতে রিয়া ও সুখ্যাতির আশঙ্কা রয়েছে। তৃতীয়ত, এতে প্রকাশ পায় যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এই কথা জানে না যে, আল্লাহ তায়ালা সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সবই তিনি জানেন এবং সরব ও নিরব সব কথাই তিনি শোনেন। এ কারণেই খায়বার যুদ্ধের সময় দোয়া করতে গিয়ে সাহাবায়ে কেরামের কণ্ঠের আওয়াজ উচ্চ হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন : ‘তোমরা কোনো বধিরকে অথবা অনুপস্থিতকে ডাকাডাকি করছ না যে, এত জোরে বলিতে হবে; বরং একজন সর্বশ্রোতা ও নিকটবর্তীকে সম্বোধন করছ’। (সহিহ বুখারী : ৬৬১০; সহিহ মুসলিম : ২৭০৪)। অনুরূপভাবে আল্লাহ তায়ালা জনৈক নবীর দোয়া উল্লেখ করে বলেন : ‘যখন সে তার পালনকর্তাকে অনুচ্চস্বরে ডাকল’। (সূরা মারিয়ম : আয়াত ৩)। এতে বুঝা গেল যে, অনুচ্চস্বরে দোয়া করা আল্লাহ তায়ালার পছন্দ।
পূর্ববর্তী নবী-রাসূল, ওলি-আউলিয়াগণ অধিকাংশ সময় আল্লাহর জিকিরে ও দোয়ায় মশগুল থাকতেন। কিন্তু কেউ তাদের আওয়াজ শুনতে পেত না। বরং তাদের দোয়া ও আল্লাহর মাঝে সীমিত থাকত। তাদের অনেকেই সমগ্র কুরআন মুখস্ত তিলাওয়াত করতেন; কিন্তু অন্য কেউ টেরও পেত না। অনেকেই প্রভূত দ্বীনি এলেম অর্জন করতেন; কিন্তু মানুষের কাছে তা প্রকাশ করে বেড়াতেন না। অনেকেই রাতের বেলায় স্বগৃহে দীর্ঘ সময় সালাত আদায় করতেন, কিন্তু আগন্তÍকরা তা বুঝতেই পারত না। হযরত হাসান বসরী (রহ:) বলেছেন : আমি এমন অনেককে দেখেছি, যারা গোপনে সম্পাদন করায় মতো কোনো ইবাদত কখনো প্রকাশ্যে করনেনি। ইবনে জুরাইজ (রহ:) বলেন : দোয়ায় আওয়াজকে উচ্চ করা ও শোরগোল করা মাকরূহ। (তাফসিরে ইবনে কাসির)। ইমাম আবু বকর জাসসাস (রহ:) বলেন : আলোচ্য আয়াত থেকে জানা যায় যে, নিরবে দোয়া করা জোরে দোয়া করার চাইতে উত্তম। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উত্তমপন্থা অবলম্বন করার তাওফিক এনায়েত করুন, আমীন!
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ